আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
93 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (66 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।

১। একজন মেয়ের এক ছেলের সাথে বিয়ের কথা চলছিল। ছেলে মেয়েকে তীব্রভাবে পছন্দ করা শুরু করে বিয়ে চলাকালীন সময়ে আর মেয়েরও ছেলেকে অনেক পছন্দ হয়। বিয়ে প্রায় হয়ে যাবে যাবে এমন পরিস্থিতিতে ছেলের মা মেয়ের চেহারা সুন্দর না বলে হঠাৎই বিয়ে ভেঙ্গে দেন। ছেলের বড় বোন নিজে মেয়েকে পছন্দ করেছিলেন। ঐ ছেলের অন্যত্র বিয়ে হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তার বড় বোনের সাথে মেয়েটির এখনো সম্পর্ক রয়ে গেছে। ঐ মেয়েটি ছেলেটির বড়বোনের সাথে(ছেলের সাথে না) এখনো ফোনে কথা বলে। ছেলের বড় বোন মেয়েটিকে জীবনের যেকোন প্রয়োজনে সাহায্য সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ। ছেলের বড় বোনের সাথে মেয়েটার এখনো এভাবে ফোনে কথা বলে যাওয়াটা কি ঠিক হচ্ছে?
একই প্রশ্ন একজন মেয়ে যার ডিভোর্স হয়েছে তার জন্য। ডিভোর্সের পর কি আগের পক্ষের ননদ, জা, শাশুড়ি এদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা উচিত হবে শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে?

২। মেয়েটা ছেলেটার বড়বোনকে দিয়ে ছেলেকে বলতে চায় যে ছেলেটা যেন মেয়েটার সুখ শান্তি, বারাকাহর জন্য দুয়া করে যায় আজীবন। ছেলেটার বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরেও কি যেই মেয়েকে সে তীব্রভাবে পছন্দ করতে তার জন্য দুয়া করাটা ছেলেটার উচিত হবে? মেয়ে যদি নিজের বিয়ের পরেও ঐ ছেলে ও ছেলের পরিবারের হিদায়াত, শান্তিপূর্ণ জীবন, সুস্বাস্থ্যের জন্য দুয়া করে যায় সেটাও কি উচিত হবে? দুয়ার মাধ্যমে কি ফিতনায় পতিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
কোনো দিক হতে কোনো সমস্যা না হলে এবং ছেলের প্রতি আকর্ষিত হওয়ার শংকা না থাকলে ছেলের বড় বোনের সাথে মেয়েটার এখনো এভাবে ফোনে কথা বলা যাবে। 

 ডিভোর্সের পর আগের পক্ষের ননদ, জা, শাশুড়ি এদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা জায়েজ আছে।শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে এতে কোনো সমস্যা নেই।

(০২)
তার জন্য দোয়া করাটা ঠিক হবেনা।
কেননা এতে তার প্রতি আকর্ষিত হওয়ার শংকা আছে,মনের মধ্যে তাকে নিয়ে ভাবনা আসতে পারে,যাহা জায়েজ নেই।

কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে,
إِنَّ السَّمْعَ وَالبَصَرَ وَالفُؤَادَ كُلُّ أُولَئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُولًا.

...নিশ্চয় কান, চোখ, হৃদয় এর প্রতিটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। সূরা বনী ইসরাঈল (১৭) : ৩৬

قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ [٢٤:٣٠] 

মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।

হাদী শরীফে এসেছেঃ 

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।

فَالْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ، وَالْأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الِاسْتِمَاعُ، وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الْكَلَامُ، وَالْيَدُزِنَاهَا الْبَطْشُ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الْخُطَا، وَالْقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى، وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الْفَرْجُ وَيُكَذِّبُهُ

রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, চোখের জিনা হল [হারাম] দৃষ্টিপাত। কর্ণদ্বয়ের জিনা হল, [গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক] কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে শোনা। জিহবার জিনা হল, [গায়রে মাহরামের সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন। হাতের জিনা হল, [গায়রে মাহরামকে] ধরা বা স্পর্শকরণ। পায়ের জিনা হল, [খারাপ উদ্দেশ্যে] চলা। অন্তর চায় এবং কামনা করে আর লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবে রূপ দেয় [যদি জিনা করে] এবং মিথ্যা পরিণত করে [যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে জিনা না করে]। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৯৩২}


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...