আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
153 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
edited by
একজন ত্রিশ বছর বয়সী মহিলা, আপাতদৃষ্টিতে প্র‍্যাক্টিসিং মুসলিমাহ। গত মাসে ভালোই আমল, ইবাদাহ চলছিল। হঠাত তার অস্বাভাবিক সেক্সুয়াল ডিজায়ার ফিল করেন, এমন এর আগে কখনোই হয়নি, সেই সময়টায় প্রথমে কয়দিন তার জোর করে স্বলাত আদায় করা লাগত, মানে নিজের সাথে অনেক যুদ্ধ করে। আস্তে আস্তে ২-১ দিনের মধ্যে পুরোপুরি সালাত ছেড়ে দিলেন। ওই সময়ে যিলহজ্জ মাসের রোজাও তিনি রাখছিলেন, তবুও এক অস্বাভাবিক কিছু তিনি বোধ করতেন। ২ রাতেই তিনি ৬+ বার তার হাজব্যান্ড এর সাথে মিলিত হন, এর আগে কখনো এমন হয়নি, বেশ কয়েকবার নাকি তিনি ঘুমের মধ্যে করেছেন তার হাজব্যান্ডের মতে, আর দিনে তার সেটা মনেই থাকতনা। তিনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলেন না, উঠে দাঁড়াতেও পারছিলেন না, ওই সময়ে ২ দিন সে কোন এ্যাপ এ অন্য পুরুষদের সাথেও আজেবাজে আলাপ করছিলেন, সেটাও নাকি তার পরদিন সব মনে থাকতনা। তার হাজব্যান্ড এর কাছে যখন শুনলেন কিছু বিষয় যা তার একদমই মনে থাকতনা তখন তিনি ৪ কুল, আয়াতুল কুরসি দিয়ে সেল্ফ রুকইয়াহ শুরু করেন আর পরে ২-৩ দিনের মধ্যে অনেকটাই স্বাভাবিক বোধ করলেন। তিনি অনুতপ্ত, হতাশ হয়ে যাচ্ছেন, যেহেতু এমন পাপ তিনি আগে কখনো করেন নি, আর এখনো বারবার শুধু বলছেন আমি পবিত্র হব কিভাবে? আল্লাহ এই পাপ যদি প্রকাশ করে দেন? রিসেন্টলি, উনি আবার সালাতে অনীহা, ঘুম না আসা, একা একা কথা সারা রাত কথা বলা, ঘাড়ে ব্যাথা, মধ্য রাতে দরজার পাশ দিয়ে ২ দিন কাউকে যেতে দেখা, হঠাত পিরিয়ডে প্রব্লেম হওয়া, এসব সমস্যা হচ্ছে। উনি মানসিকভাবে স্ট্যাবল থাকতে পারছেন না, এই হঠাত কান্না করেন, আবার হাসেন। আবার তার সেই গায়রে মাহরামদের সাথে চ্যাটিং এর জন্য আফসোস, কান্না, হতাশা এসব ও করেন। উনি ওনার হাজব্যান্ড কে সব বলতে চান, কিন্তু ভয় পাচ্ছেন যদি সম্পর্ক খারাপ হয়! আবার মাঝে মাঝে সুইসাইডাল চিন্তাও করেন, পর পুরুষ দেখেছে তাই নিজের প্রতি ঘৃণা থেকে ডিভোর্স দিয়ে একা থাকতে চান, হুটহাট মন পরিবর্তন,  হঠাত মেজাজ ও নিয়ন্ত্রণ এ রাখতে পারছেন না। ওনার এমতাবস্থায় করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (58,470 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://www.ifatwa.info/4313 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,

আল্লাহ সবকিছুর খালিক ও মালিক,জগতের সব কিছু উনার হুকুমেই সংগঠিত হয়, তাবিজ বা ঔষধের অদ্য কোনো ক্ষমতা নেই। এমন আক্বিদা পোষণ করে জায়েয ও বৈধ কালামের মাধ্যমে চিকিৎসা হিসেবে ঝাড়-ফুক ও তাবিজ ব্যবহার বৈধ আছে।বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/226  

সুতরাং আকিদা বিশুদ্ধ তথা শে'ফা দানকারী একমাত্র আল্লাহ তা'আলা এমন আকিদা বিশ্বাস রেখে ঔষধী গাছের অংশ বিশেষ দ্বারা তাবিজ ব্যবহার করতে পারবেন।

নিম্নোক্ত হাদীসে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি নিজ নাবালিগ সন্তাদিকে তাবিজ লঠকিয়ে দিতেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়-

আমর ইবনে শুয়াইব তার সনদে বর্ণনা করেন,

ﻋﻦ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﺷُﻌَﻴْﺐٍ ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ، ﻋَﻦْ ﺟَﺪِّﻩِ ، ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ، ﻗَﺎﻝَ : ( ﺇِﺫَﺍ ﻓَﺰِﻉَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟﻨَّﻮْﻡِ ﻓَﻠْﻴَﻘُﻞْ : ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻜَﻠِﻤَﺎﺕِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺘَّﺎﻣَّﺎﺕِ ﻣِﻦْ ﻏَﻀَﺒِﻪِ ﻭَﻋِﻘَﺎﺑِﻪِ ﻭَﺷَﺮِّ ﻋِﺒَﺎﺩِﻩِ ، ﻭَﻣِﻦْ ﻫَﻤَﺰَﺍﺕِ ﺍﻟﺸَّﻴَﺎﻃِﻴﻦِ ﻭَﺃَﻥْ ﻳَﺤْﻀُﺮُﻭﻥِ ﻓَﺈِﻧَّﻬَﺎ ﻟَﻦْ ﺗَﻀُﺮَّﻩُ ) . . ﻓَﻜَﺎﻥَ ﻋَﺒْﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦُ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ، ﻳُﻠَﻘِّﻨُﻬَﺎ ﻣَﻦْ ﺑَﻠَﻎَ ﻣِﻦْ ﻭَﻟَﺪِﻩِ ، ﻭَﻣَﻦْ ﻟَﻢْ ﻳَﺒْﻠُﻎْ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ﻛَﺘَﺒَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﺻَﻚٍّ ﺛُﻢَّ ﻋَﻠَّﻘَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﻋُﻨُﻘِﻪِ

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, যখন তোমাদের মধ্যে কেউ ঘুমে ভয় পায়, তখন সে যেন পড়ে-  'আউযু বিকালিমা-তিল্লাহিত-তাম্মাতি মিন গাদাবিহি ওয়া ই'ক্বাবিহি ওয়া শাররি ইবাদিহি ওয়া মিন হামাযাতিশ-শায়াতিনি,ওয়া আইয়াহদুরুনএই দু'আ পড়লে শয়তান কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি, তার সাবালক সন্তানাদিকে তা শিক্ষা দিতেন।এবং নাবালক সন্তাদির গলায় উক্ত দু'আ তাবিজ আকারে লিখে ঝুলিয়ে দিতেন। (মিশকাতুল মাসাবিহ-২৪৭৭)

তবে আক্বিদা বিশুদ্ধ না থাকলে,এমন শিকড় দ্বারা তাবিজ ব্যবহার বৈধ হবে না।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

উক্ত বোনের জন্য এমতাবস্থায় বেশী বেশী ইস্তিগফার করা ও দোয়া করা উচিত। সেই সাথে তিনি যদি কোন ধরণের গুনাহে লিপ্ত থাকেন তা পরিহার করা আবশ্যক। হোক তা চোখের গুনাহ বা গায়রে মাহরামের সাথে চ্যাটিং করা ইত্যাদী। তার শারীরিক সমস্যার জন্য দুই ধরণের চিকিৎসা গ্রহণ করা যেতে পারে। ক. মেডিকেল ট্রিটমেন্ট খ. রুক্বইয়া করা। যারা রুকইয়াহ শরঈয়াহতে স্পেশালিস্ট আপনি তাদের সাথে এবিষয়ে কথা বললে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

আপনি আমাদের অফিসে যোগাযোগ করুন। Islamic online madrasa এর ওয়েবসাইটে ঢুকলে অফিসের মুবাইল নাম্বার পাবেন। সেই নাম্বারে যোগাযোগ করলে IOM যেই উস্তায রুক্বইয়ার কোর্স করান তার সাথে যোগাযোগ করার সম্পূর্ণ তথ্য পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ। এবিষয়ে আরো জানুন: https://ifatwa.info/86282/ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...