আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
আমার নানাশ্বশুর ৩০০ বিঘা সম্পদের মালিক ছিলেন। উনার এক মেয়ে(প্রথম সন্তান)যিনি আমার শ্বাশুড়ি,এবং দুই ছেলে। নানাশ্বশুর আমার শ্বাশুড়ির অগোচরে তার দুই ছেলের নামে সমস্ত সম্পত্তি লিখে দেন মা কে কোনো অংশ ই দেয়া হয়নি। মা কে শুধু শহরে আড়াই শতক জমি দেয়া হয় কিন্তু সেটাও বন্টিত হয় মৃত্যুর পর কুরআন যেভাবে বন্টনের কথা বলে সেভাবে।কিন্তু পিতা জীবিত থাকাবস্থায়তো সম্পদ দান করতে চাইলে সমানভাবে বন্টন করতে হয় জানি। আমার দুই মামাশ্বশুর ও বোনের হকের বিষয়ে সচেতন নয়।
আমার শ্বাশুড়ি প্রচন্ড কষ্ট পেলেও মেনে নিয়েছে এবং স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রয়েছে। এরমধ্যে ছোট মামাশ্বশুর এবং নানা-নানি নিয়মিত যাওয়া আসা করেন। ছোট মামাশ্বশুর তাদের সেই জমির সবজি,আম,কাঁঠাল আমাদের বাসায় নিয়ে আসেন। এবং আমার বিয়ের পর আমাকে ইদে থ্রি পিস দেন।বিয়ের সময় দ্বীনদারিতার জন্য এবং বিয়েতে অল্প সংখ্যক মানুষকে নেয়ার জন্য তারা আমাকে মেনে নিয়েছিল না।বিয়ের ১বছরেরও বেশি সময় পর মেনে নেয় আার আমাকে প্রায় দুই ভরি সোনার গহনা দেয় নানাশ্বশুর আর ঐ ছোট মামা মিলে।
বিদ্র: নানা-নানি পীর ভক্ত।
উস্তাদ জানতে চাচ্ছিলাম যে,
১।তারা যেসব খাবার (আটা,সবজি,ফল,রান্না করা খাদ্য) আমাদের বাসায় আনেন সেগুলো খাওয়া জায়েজ কিনা।৷ কারণ আমার জানা মতে মা কে বঞ্চিত করা ঐ সম্পদ হারাম।
২।আমাকে যে গহনা এবং থ্রি পিস দেয় সেটা নেয়া উচিৎ কিনা জানাবেন উস্তাদ ইনশাআল্লাহ।