আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
130 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (25 points)
আশা করি দেশের বর্তমান পরস্থিতি নিয়ে উস্তায অবগত আছেন। প্রবাসী ভাই বোনেরা ছাত্রদের পক্ষ নিয়ে এবং প্রতিবাদ স্বরুপ তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই তিন মাস দেশে রেমিটেন্স পাঠাবে না। হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠাবে। আর যদি সত্যি সত্যিই তারা দুই থেকে তিন মাস ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স না পাঠায়। তাহলে সরকারের বারোটা বেজে যাবে। তার পালানোর আর রাস্তা থাকবে না। সরকার অনেক বড় বিপদে পরে যাবে। তো ছাত্রদের ন্যায় দাবির পক্ষ হয়ে এবং প্রতিবাদস্বরূপ প্রবাসীদের এই সিদ্ধান্ত ইসলাম কি বলে??  স্বাভাবিক অবস্থায় তো হুন্ডি হারাম। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে সরকারকে উচিত শিক্ষা দিতে হুন্ডিতে লেনদেন করা যাবে কিনা???
by (25 points)
আমি হুন্ডির ব্যাপারে আর কিছু বিষয় উল্লেখ করছি যেগুলো ঐ ফতওয়া তে উল্লেখ করা হয়নি...

এক আলিম ফতওয়া দিয়েছেন, ফতওয়াটা আমি হুবহু তুলে ধরছি...

প্রশ্ন: আমি কয়েকজন আলেমকে হুন্ডি ব্যবসা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তাঁরা বললেন, হুন্ডি ব্যবসা হারাম, শরিয়তসিদ্ধ নয়। তবে আমাদের এলাকার একজন আলেম বললেন, এটি হালাল। এখানে সঠিক কোনটি? জানানোর অনুরোধ রইল।

প্রশ্নকারী-হুমায়ূন কবির

ঠিকানা- তিতাস কুমিল্লা

উত্তর: হানাফী মাযহাব অনুযায়ী হুন্ডি ব্যবসা মাকরুহ। হুন্ডি ব্যবসা নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোন দলীল নেই। হানাফি ফুকাহায়ে কেরাম কিয়াসের ভিত্তিতে একে মাকরুহ বলেছেন। তবে (عموم بلوى) তথা ব্যাপক প্রচলনের কারণে অনেকে হাম্বলী মাযহাব অনুযায়ী এর অবকাশ দিয়েছেন। মূলত হুন্ডি ব্যবসায়ী গ্রাহকের অর্থ নিরাপদে পৌঁছে দেয়ার চার্জ ও পারিশ্রমিক হিসেবে কিছু বিনিময় নিয়ে থাকে। তাই এটাকে অনেকে মানিঅর্ডারের মতো জায়েয বলেছেন। আর সরকারী আইনে যদিও হুন্ডি নিষিদ্ধ, কিন্তু (মুরতাদ সরকারের আইন মানা মুসলমানদের জন্য আবশ্যক নয়)। বিশেষ করে যে আইনের উদ্দেশ্যই হল, মুসলমানদের কষ্টার্জিত সম্পদ ইনকাম ট্যাক্সের নামে অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ করা। -ইমদাদুল ফাতাওয়া, ৩/১৪৫, ফিকহুল বুয়ু’, ২/৭৫২-৭৫৬ মাজাল্লাতু মাজমাইল ফিকহিল ইসলামী, ৪/৫২০ কিতাবুন নাওয়াজেল, ১২/৪০৪

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

এছাড়াও আরো কয়েক জন এই ব্যাপারে বলেছেন যে:

# হুন্ডিতে টাকা পাঠানো জায়েয। কোনো সরকার যদি রেমিট্যান্স দিয়ে জুলুম করে, তাহলে হুন্ডিতে টাকা পাঠানো জায়েয থাকবে না, আবশ্যক হয়ে যাবে।
#এটা উত্তম জায়েজ, সরকারের ভ্যাট ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়া জায়েজ৷ বিদ্যুৎ অবৈধভাবে চালানো জায়েজ

এখন আমার কথা হলো এভাবে যদি জায়েজ হয়, তাহলে তো যারা দুর্নীতি করতেছে, সরকারের টাকা যেসব এমপি মন্ত্রীরা আত্মসাৎ করতেছে সেগুলোও জায়েজ হয়ে যাবে। আল্লাহ ই ভালো জানেন। আমি এই ব্যাপারে কনফিউশনে আছি কোন ফতওয়া মানবো বুঝতেছি না। আমাকে বিষয় গুলো বিস্তারিত ক্লিয়ার করে দিলে ভালো হবে উস্তায।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ হারূন আল-আবদী (রহঃ) থেকে বর্ণিত।

عَنْ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ، قَالَ كُنَّا إِذَا أَتَيْنَا أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ مَرْحَبًا بِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لَنَا " إِنَّ النَّاسَ لَكُمْ تَبَعٌ وَإِنَّهُمْ سَيَأْتُونَكُمْ مِنْ أَقْطَارِ الأَرْضِ يَتَفَقَّهُونَ فِي الدِّينِ فَإِذَا جَاءُوكُمْ فَاسْتَوْصُوا بِهِمْ خَيْرًا "

তিনি বলেন, আমরা আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) -এর কাছে এলেই তিনি বলতেনঃ তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওসিয়ত অনুযায়ী স্বাগতম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বলতেনঃ লোকেরা অবশ্যই তোমাদের অনুগামী। অচিরেই পৃথিবীর দিকদিগন্ত থেকে লোকেরা তোমাদের নিকট দ্বীনি ইলম অর্জনের জন্য আসবে। তারা যখন তোমাদের নিকট আসবে,তখন তোমরা তাদেরকে ভালো ও উত্তম উপদেশ দিবে।(সুনানু তিরমিযি-২৪৯,তিরমিযী- ২৬৫০,২৬৫১, মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৪৭।)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অতীব জরুরী ও সাধারণ মাস'আলা মাসাঈল আয়ত্বে না থাকার কারণে দৈনন্দিন জীবনে দ্বীন-ইসলাম পালন করতে, যে সমস্ত দ্বীনি ভাই-বোন থমকে দাড়ান,এবং যাদের দ্বীনি ইলম অর্জনের কাছাকাছি কোনো নির্ভরযোগ্য মাধ্যম নেই, মূলত তাদেরকে দিকনির্দেশনা দিতেই আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস .....

মুহতারাম/মুহতারামাহ!
দ্বীনের পরিধি অনেক ব্যাপক, সকল বিষয়ে আলোচনা করা বা দিকনির্দেশনা দেওয়া স্বল্প পরিসরের এই ভার্চুয়ালি মাধ্যম দ্বারা আমাদের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। চেষ্টা করলেও প্রশ্নকারীর পিপাসা মিটানো সম্ভব হবে না। প্রত্যেক বিষয়ে আমরা শুধুমাত্র সামান্য আলোকপাত করে থাকি।

উপরোক্ত প্রশ্নটি যথেষ্ট ব্যাখ্যাসাপেক্ষ্য। তাই এই প্রশ্নটির উত্তরের জন্য আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট উলামায় কেরামের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা আপনার জন্য কল্যাণকর হবে বলেই আমাদের ধারণা।
তাছাড়া ইলম অর্জনের জন্য সফর করা অত্যান্ত  জরুরী। এবং কষ্ট করে ইলম অর্জন করাই আমাদের  আকাবির আসলাফদের রীতি ও নীতি। এদিকেই কুরআনের এই আয়াত ইঙ্গিত দিচ্ছে,

فَلَوْلَا نَفَرَ مِن كُلِّ فِرْقَةٍ مِّنْهُمْ طَائِفَةٌ لِّيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ

তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হলো না, যাতে দ্বীনের জ্ঞান লাভ করে এবং সংবাদ দান করে স্ব-জাতিকে, যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, যেন তারা বাঁচতে পারে।(সূরা তাওবাহ-১২২)
সুতরাং আপনাকে বলবো, আপনি বিস্তারিত জানতে স্ব-শরীরে কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করবেন।
প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।আল্লাহ তা'আলা আপনার ইলম অর্জনের স্পৃহাকে আরোও বাড়িয়ে দিক, আমীন!!


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...