আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের ওয়াসওয়াসা রিলেটেড ফ্রি কোর্স করেছি কোড আমি চেষ্টা করেছি,গ্রুপে পোস্ট করেছি,পেজে মেসেজ দিয়েছি,ওয়েবসাইটেও খুঁজেছি,মুফতি সাহেব কে কমেন্টে জিজ্ঞেস করেছি কিন্তু কোড পাইনি,আমি একাধিক একাউন্ট দিয়ে প্রশ্ন করার জন্য দুঃখিত,আমি চার বারের বেশি প্রশ্ন করেছি,আমাকে ক্ষমা করবেন,আপনাদের হক নষ্ট না হলে উত্তর দিয়েন উপকৃত হব ইন শা আল্লাহ।আমার কিছু জাদুর লক্ষণ ও আছে।
১.আমার চর্ম রোগ আছে,আর কাপড় ধুতে গিয়ে আমি বিভিন্ন ওয়াসওয়াসায় পড়ি, আমার কান্না আসে,এতে অনেক সময় লাগে আর আমার অনেক কষ্ট হয়, ইবাদত করতেও সমস্যা হয়, পড়াশুনা ও আছে,তাই আমি আর কাপড় ধুতে চাচ্ছি না, আমার কাপড়ে তেমন কোন বড় ধরনের নাপাকি লাগে না, সাদা স্রাব ধোয়ার সময় ব্যবহৃত পানির ছিটা লাগে, আবার প্রসাব পায়খানার পর পানি খরচ করার সময় পানির ছিটা লেগে যায়,বা সাদাস্রাব লাগে, অথবা দাঁত থেকে রক্ত পড়লে কুলি করার সময় কুলির পানি অথবা ছিটা লেগে যায়, আবার অনেক সময় নাপাকি নিয়ে সন্দেহ ও হয়, আলহামদুলিল্লাহ আমাদের বাসায় কাপড় ধোয়ার লোক আছে, ওনাকে তিনবার ধুতে বললে তিনবার ধুবে ইন শা আল্লাহ, কিন্তু প্রত্যেকবার ভালো করে নিংরাবে না, মানে আমি সন্তুষ্ট হতে পারি না, কাপড় ধোয়ার সময় দাঁড়িয়ে থাকলে আমি ওই কাপড় দিয়ে নামাজ পড়তে পারবো না কারণ আমি সন্তুষ্ট হতে পারি না,আমি অনেক নিংরাই,মাঝে মাঝে আমার হাতের চামড়া উঠে যায়,আমি কি অন্য কাউকে দিয়ে কাপড় ধোয়াতে পারবো?উনি যদি নিজের মত ধুয়ে নেয় তাহলে ধোয়ানোর পর যদি নাপাকীর আলামত না থাকে, তাহলে সেই কাপড় দিয়ে কি নামাজ পড়া যাবে?
২.একাধিক নাপাক কাপড় একসাথে ধোয়ার সময় একবার ধুয়ে, নিঙরিয়ে কলের উপর রাখার পর দ্বিতীয়বার ধোয়ার সময় কল না ধুয়ে আবার একই কলের উপর রাখলে এভাবে তিনবার ধুয়ে নিলে কি কাপড় পাক হবে?
৩. সামান্য নাপাকি লেগেছে, প্রসাব পায়খানার পর পানি খরচ করার সময় মিশ্রিত পানির ছিটা ফোটা,ঘায়ের পানি,সাদা স্রাব লেগেছে এই সমস্ত কাপড় কি পাউডার দিয়ে ট্যাপের পানিতে কেচে তারপর বালতি তে সাধারণ ভাবে জোর প্রয়োগ করে না নিঙরিয়ে ধোয়া যাবে?যদি দুইবার পানি বদলে ধুই,আমার কাপড়ে সাধারণত এই ধরনের নাপাকী ই লাগে।
৪. আমি কাপড় ধোয়ার সময় অনেক ওয়াসওয়াসায় পড়ি,প্রথমবার কাপড় ধোয়ার পর বালতির পানি যথাসম্ভব ফেলি কিন্তু তারপর ও কিছু পানি রয়ে যায় যেটা পানি ফেলে দেয়ার পর বালতি রেখে দিলে বালতির গা বেয়ে জমা হয়,এতে কি কোন সমস্যা হবে?এই পানি রয়ে গেলে এভাবে যদি দ্বিতীয় ও তৃতীয় বার ধুয়ে নিই এতে কি কাপড় পাক হবে?
৫.আলহামদুলিল্লাহ কাপড় ধোয়ার সময় প্রত্যেকবার হাত বালতি ধুতে হয় না জানি কিন্ত প্রথমবার ধোয়ার সময় বালতির পানি ছিটে হাত বেয়ে কনুই পর্যন্ত চলে আসে,দ্বিতীয়বার ধোয়ার সময় সেই পানি আবার বালতি তে পড়ে,আবার প্রথমবার বালতির পানি ফেলার সময় বালতির যেই অংশ ধরে উপুর করে পানি ফেলেছি দ্বিতীয়বার সেই অংশ ধরে পানি ফেলা যাবে? কারণ হাত বালতির উপরিভাগে লেগেছে কিন্তু হাতের কিছু অংশ তো বালতি নিচের ভাগে লেগেছে যেটুকু ধোয়া যায় না এভাবে কি কাপড় পাক হবে?
৬.আমি শৌচকার্য সারার পর আগে লো কমোড এ বসে পানি খরচ করতাম,এখন ওয়াসওয়াসা এর জন্য পারি না,মনে হয় বদনা দিয়ে পানি খরচ করার সময় কমোডের পানি আবার লজ্জাস্থানে লাগবে,আবার বদনা ভরার সময় পানি ছিটে কাপড়ে শরীরে লাগে,কমোড থেকে নেমে অনেক সময় নিয়ে পরিচ্ছন্ন হতে হচ্ছে,এক্ষেত্রে কি করতে পারি,এভাবে আসলে দিন দিন আরো অসুস্থ হচ্ছি,কি করতে পারি?আমি কি কমোড এ বসেই পরিষ্কার হবো?
৭.আমার ওয়াসওয়াসা এখন খাবার পর্যায়ে ও চলে আসছে,বাসায় প্যাকেটজাত মশলা দিয়ে অনেক সময় রান্না করা হয়,তখন মনে হয় মশলায় হারাম কোন উপাদান আছে কিনা এক্ষেত্রে কি করতে পারি?
৮.প্রতিবেশীর বাসা থেকে খাবার দিয়ে গেলে,দাওয়াত দিলে বা বাইরের খাবার এর ক্ষেত্রেও মনে হয় হারাম কোন উপাদান আছে কিনা,মাঝে মাঝে বাইরের খাবার খাওয়ার দরকার পড়ে এক্ষেত্রে কি করতে পারি?
৯.বাংলাদেশে উৎপাদিত প্যাকেট জাত খাবার কি উপাদান তালিকা চেক করে খেতে হবে?হারাম কোন উপাদান আছে কিনা এইজন্য
১০.প্যাকেটজাত খাবার অনেকে অস্বাস্থ্যকর বলে,এক্ষেত্রে প্যাকেটজাত খাবার খেলে কি গুনাহ হবে বা হারাম হবে?
১১.সৌদি আরব থেকে আগত চকলেট কি উপাদান তালিকা চেক না করে খাওয়া যাবে?হারাম কোন উপাদান আছে কিনা এইজন্য
১২.আমি আমার মায়ের বাসায় থাকি, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া,ঘরে চুল পড়ে থাকা, থালা বাসন ধোয়ার পর পানি পড়ে থাকা আম্মু পছন্দ করে না,এসব পড়ে থাকলে আমার আশঙ্কা হয় আমি হারাম কোন সুবিধা নিয়ে ফেললাম কিনা,এইজন্য আমি এইসব অনেক সময় নিয়ে পরিষ্কার করতে থাকি বাথরুম থেকে ভেজা পা নিয়ে আসার পর ঘর মুছতে থাকি ,কষ্ট পাই,এক্ষেত্রে কি আমার রিযিক এ হারাম ঢুকবে?আমার কি এসব কে পাত্তা দেয়া উচিৎ?
১৩.আমি কিভাবে নাপাকী জনিত বা অন্যান্য ওয়াসওয়াসা এর বিষয় গুলো বাদ দিতে পারি? কিভাবে বুঝবো কোনটা ওয়াসওয়াসা?এসব কে পাত্তা দিয়ে আমি দিন দিন অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি, দিন দিন আমার ওয়াস-ওয়াসা শুধু বাড়তেছে, চর্ম রোগ হয়েছে,কিন্তু বাদও দিতে পারি না,ভয় লাগে,মনে হয় যদি নাপাক থেকে যায়,যদি হারাম খেয়ে ফেলি এইসব,আমি ধোয়ামোছা করতে গিয়ে রুকাইয়া করার সময় পাচ্ছি না,কিন্তু এসব ছেড়ে দিলে ওয়াসওয়াসা চলে যাবে ইন শা আল্লাহ, কিন্তু এসব ছেড়ে দিতে গিয়ে যদি আমার নাপাকি রয়ে যায় তাহলে কি গুনাহ হবে?