শিরকের গুনাহ হবে কি?

Question

হুজুর একটা জিনিস নিয়ে আমি প্রায়ই ভাবি যে আল্লাহ ব্যতীত কারো জন্য ইবাদত করা শিরক। ঠিক তেমনি কোন গুনাহর থেকে বিরত থাকলেও তো আল্লাহর জন্যই বিরত থাকতে হবে। কারণ গুনাহর থেকে বাঁচা টাও তো একটা ইবাদত তাই। তো হুজুর আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে আমি একজন যুবক আমার একটা হারাম প্রেমের সম্পর্ক আছে। তাই যখন আমি প্রেমিকার সাথে থাকি রাস্তায় ঘুরি তখন যদি অন্য মেয়ের দিকে না তাকাই কারণ আমার প্রেমিকা রাগ করবে। এবং যখন ও সাথে থাকে না তখন যদি আমি অন্য মেয়ের দিকে না তাকাই এবং আমি বলি আমার প্রেমিকা আছে আমি ওর প্রতি লয়াল তাই আমি অন্য মেয়ের দিকে তাকাব না। এসবে কি শিরক হবে? যেহেতু মেয়েদের দিকে তাকানো গুনাহ। ব্যাপারটা কি এমন হচ্ছে যে আল্লাহর জন্য ওি গুনাহ থেকে বিরত থাকছে না বরং প্রেমিকার জন্য। আস্তাগফিরুল্লাহ। দয়া করে শায়খ জানাবেন। পেরেশানিতে আছি

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,

ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835 ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/1379

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

প্রশ্নের বিবরণমতে ইবাদত একমাত্র আল্লাহর জন্যই হওয়া চাই। যদি কেউ গায়রুল্লাহকে খুশী করার নিয়তে ইবাদত শুরু করে, তাহলে ঐ ইবাদতের সওয়াব পাওয়া যাবে না। তবে যেহেতু শিরক মূলক কোনো স্পষ্ট কথা মুখ দ্বারা উচ্ছারিত হয়নি, তাই ঈমান চলে যাবে না।