ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বিবাহের জন্য অভিভাবক শর্ত কি না? এ সম্পর্কে চার মাযহাবের ফুকাহায়ে কেরামদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে,
اختلف الفقهاء في كون الولي ركنا من أركان النكاح أو شرطا في صحته أو شرطا في جوازه ونفاذه.فقال المالكية والشافعية: الولي ركن من أركان عقد النكاح، فلا يصح النكاح بدون ولي بشروطه،............. وقال الحنفية:................... والولاية في النكاح نوعان:الأول: ولاية ندب واستحباب، وهو الولاية على البالغة العاقلة بكرا كانت أو ثيبا. والثاني: ولاية إجبار، وهو الولاية على الصغيرة بكرا كانت أو ثيبا، وكذا الكبيرة المعتوهة والمرقوقة. وللحنفية في الولاية على البالغة العاقلة أقوال لخصها الكمال فقال: وحاصل ما عند علمائنا في ذلك سبع روايات:وَقَال الْحَنَابِلَةُ: الْوَلِيُّ شَرْطٌ فِي صِحَّةِ النِّكَاحِ، فَلاَ يَصِحُّ نِكَاحٌ إِلاَّ بِوَلِيٍّ،
ভাবার্থ সংক্ষেপে.......মালিকী এবং শাফেয়ী মাযহাব মতে অভিভাবক ব্যতীত বিয়ে শুদ্ধ হবে না।হানাফি মাযহাব মতে, ওলায়ত দুই প্রকার,যথাঃ-(১)মুস্তাহাব ওলায়ত-জ্ঞান সম্পন্ন বালেগা মহিলা চায় বিবাহিত হোক বা অবিবাহিত হোক (২)ওলায়তে ইজবার নাবালেগা মহিলা,চায় বিবাহিত হোক বা অবিবাহিত হোক।ঠিক তেমনি বালেগা পাগল মহিলার বিধান।জ্ঞান সম্পন্ন বালেগা মহিলার অভিভাবকত্ব নিয়ে সর্বমোট সাতটি মতামত রয়েছে।হাম্বলী মাযহাব মতেও অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত বিয়ে হবে না।(আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-৪১/২৪৭-৪৯)
https://www.ifatwa.info/1525
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) অভিভাবকের অনুমতি ব্যতিত বিয়ে হয়ে যায়। তবে অভিভাবকের অনুমতি নিয়ে বিয়ে মুস্তাহাব করা মুস্তাহাব। মেয়ে যদি তার চেয়ে নিম্নশ্রেণীর কারো সাথে বিবাহ হয, তাহলে তখন বাবার অনুমোদনের উপর মওকুফ থাকবে। বাবা অনুমতি না দেয়ার পরও যদি মেয়ে সংসার করে তাহলে তখন যিনা হিসেব বিবেচিত হবে।