বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কালেরকন্ঠ পত্রিকায় ফানুসের উৎপত্তি ও ইতিহাস সম্পর্কে এভাবে আলোচনা করা হয়,
ফানুসের উৎপত্তি কারো কারো মতে ফানুসের প্রথম আবিষ্কারক ঋষি এবং সামরিক কৌশলবিদ ঝুঝ লিয়াং (১৮১-২৩৪ খ্রি.)। যাঁকে শ্রদ্ধাস্বরূপ কংমিং নামে ডাকা হতো। জনশ্রুতি আছে যে শত্রুরা যখন তাঁকে ঘিরে ফেলেছিল, তখন তিনি ফানুসের গায়ে বার্তা লিখে সাহায্য চেয়েছিলেন। এই কারণে চীনে এগুলো এখনো ‘কংমিং দেং’ নামে পরিচিত। এই নামটির আরেকটি প্রস্তাবিত উৎস হলো এই ফানুসের সঙ্গে কংমিংয়ের পরিধানকৃত টুপির সঙ্গে মিল থাকায় এর নাম কংমিং লণ্ঠন বলা হয়।
সিনোলজিস্ট ও বিজ্ঞানের ইতিহাসবিদ জোসেফ নিধামের মতে, ফানুস আবিষ্কার হয় খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে। সে সময় চীনের সৈন্যরা যুদ্ধের সময় সংকেত প্রদানের জন্য ছোট ছোট উষ্ণ বায়ু বেলুন নিয়ে পরীক্ষা করেছিল।
ধর্মাচারে ফানুস এখন এই বায়ু বেলুনগুলো ব্যবহার হয় বিভিন্ন ধর্মের পূজা উপলক্ষে। বৌদ্ধধর্মের সংবাদমাধ্যম ‘নির্ভানা পিসে’ এ ব্যাপারে একটি প্রবন্ধ আছে। সেখানে তারা লিখেছে, ‘স্বর্গের দেবতারা দেবরাজ ইন্দ্র কর্তৃক স্থাপিত চুলামণি জাদিকে এখনো পূজা করেন বিধায় আমরাও প্রবারণা পূর্ণিমার দিন ফানুস উড়িয়ে পূজা করি। ফানুস ওড়ানোর অর্থ ওই চুলামণি জাদির পূজা করা। প্রদীপপূজা করা। আমরা বুদ্ধকে প্রদীপপূজা করতে পারি খুব সহজেই, কিন্তু স্বর্গের চুলামণি জাদির উদ্দেশে ফানুস উড়িয়ে আকাশে তুলে পূজা করি।’
তাইওয়ানের নিউ তাইপেই সিটির পিংজি জেলায় একটি বার্ষিক ফানুস উৎসব পালন করা হয়। এতে লোকেরা ফানুসের গায়ে তাদের মনের ইচ্ছা ও শুভেচ্ছা লিখে ঈশ্বরকে বার্তা পাঠায়। ভারতে বড়দিনে স্টার অব বেথলেহেমের প্রতীক হিসেবে, আকাশে ফানুস ওড়ানো হয় যা নতুন বছরের প্রত্যাশা নিয়ে আসে।
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ফানুস উড়ানো বিজাতীয় সংস্কৃতির অংশ।এবং এই ফানুসকে বৈধ কোনো কাজে ব্যবহার করা কোনো অপশন নেই।বরং অনর্থক ও বেহুদা কাজেই ব্যবহার করা হয়ে থাকে।তাছাড়া এত্থেকে আগুন লেগে ক্ষতি হওয়ার ধরুণ বাংলাদেশ সহ অনেক দেশেই ফানুস উড়ানো নিষিদ্ধ।
সুতরাং ফানুস উড়ানো কখনো জায়েয হবে না।এবং ফানুসের ব্যবসা করাও কখনো জায়েয হবে না।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,তোমরা গোনাহ ও সীমালঙ্ঘনে একে অন্যকে সাহায্য করো না।(সূরা মায়েদা-০২)
হাদীস শরীফে এসেছে.....
ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻣَﻦْ ﺗَﺸَﺒَّﻪَ ﺑِﻘَﻮْﻡٍ ﻓَﻬُﻮَ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ) ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ( ﺍﻟﻠﺒﺎﺱ / 3512 ) ﻗﺎﻝ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﻓﻲ ﺻﺤﻴﺢ ﺃﺑﻲ ﺩﺍﻭﺩ : ﺣﺴﻦ ﺻﺤﻴﺢ . ﺑﺮﻗﻢ ( 3401
হযরত ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত,রাসুলুল্লাহ বলেন যে ব্যক্তি অন্য গোত্রে (অমুসলিম)-র অনুসরণ করবে সে তাদের-ই অন্তর্ভুক্ত হবে।(আবু-দাউদ-৩৫১২)বিস্তারিত জানুন-
4760
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
মুসলমানদের এমনিতেই বা নিজেদের কোন অনুষ্ঠানে ফানুস উড়ানো কখনো জায়েজ হবে না।
(২)
যে ঢোলের একদিক খালি থাকে,তাকে ডাফ বলা হয়,যাতে শব্দ হলেও মিউজিক আসে না,সেটার অনুমোদন রয়েছে।তবে বর্তমানে প্রচলিত ঢোল ইত্যাদির কোনো অনুমোদন নেই।কেননা আপডেটের এই সময়ে সবগুলোতেই এখন মিউজিক চলে আসে।