আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
79 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমরা টেলিগ্রাম এপ ফোনে ইন্সটল করার পর এপটি মোবাইলে আমার যত কন্ট্যাক্ট নাম্বার সেভ করা আছে, সেগুলো দেখার অনুমতি চায়। তাহলে আমার ফোনবুকের যাদের টেলিগ্রাম আছে তাদের সাথে টেলিগ্রাম এপে সহজেই যোগাযোগ করা যায়। এখন এভাবে টেলিগ্রাম এপকে নাম্বারগুলো দেখতে দেয়ার জন্য আমার কি ফোন নাম্বারগুলোর মালিকের অনুমতি নেয়া লাগবে? উল্লেখ্য, যারা টেলিগ্রাম একাউন্ট খুলে রেখেছে তারা তো টেলিগ্রামকে তাদের নাম্বার দিয়েই দিয়েছে। তার নাম্বার টেলিগ্রাম দেখতে পেলে শুধু এতটুকুই তথ্য পাবে যে, আমার সাথে ঐ ব্যক্তির কোন সম্পর্ক আছে। কিন্তু যাদের টেলিগ্রাম নেই, তাদের নাম্বার টেলিগ্রামকে দিতে কি তাদের অনুমতি নিতে হবে? আবার কারোর টেলিগ্রাম আছে কি নেই, সেটাও টেলিগ্রামকে নাম্বার না দিয়ে বুঝার উপায় নেই। তাই, এ বিষয়ে একটু সহায়তা করুন, হুজুর।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

অকারণে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের গোপনীয় বিষয় নিয়ে গুপ্তচরের ভূমিকা পালন করা গুনাহ। অনুমতি ছাড়া কারো কথা শোনা এবং তথ্য ফাঁস করা এবং কারো বিরুদ্ধে গোয়েন্দাগিরি করা জায়েজ নেই।

হজরত আলি (রা.) বর্ণনা করেন, ব্যতিব্যস্ত হয়ো না এবং কারো গোপন তথ্য ফাঁস করো না। কেননা তোমাদের পেছনে রয়েছে কেয়ামতের) ভীষণ কষ্টদায়ক এবং দীর্ঘস্থায়ী বিপদসমূহ’ (আদাবুল মুফরাদ)। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, যখন তোমার সঙ্গীর দোষ চর্চা করতে ইচ্ছা করে, তখন তোমার নিজের দোষ স্মরণ করো।’ (আদাবুল মুফরাদ)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো সম্প্রদায়ের কথা গুপ্তভাবে শুনল; অথচ সে তাদের কথাগুলো শুনুক তারা তা পছন্দ করছে না অথবা তারা তার অবস্থান টের পেয়ে তার থেকে দূরে পালিয়ে যাচ্ছে, কিয়ামতের দিন এ জন্য তার কানে সিসা ঢেলে দেওয়া হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৭০৪২)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
টেলিগ্রাম এপ ফোনে ইন্সটল করার পর এপটি মোবাইলে যত কন্ট্যাক্ট নাম্বার সেভ করা আছে, সেগুলো দেখার অনুমতি চায়,এক্ষেত্রে সেভ করা কন্ট্যাক্ট নাম্বার টেলিগ্রাম দেখতে পেলে শুধু এতটুকুই তথ্য পাবে যে, আপনার সাথে ঐ ব্যক্তির কোন সম্পর্ক আছে কিনা,তারও টেলিগ্রাম আছে কিনা।

ইহা ছাড়া তারা মূলত অন্য কোনো কাজ করবেনা। কোনোদিন সেই নাম্বার গুলোতে তারা ফোনও দিবেনা,কোনো কিছু তালাশ হয়রানি কিছুই করবেনা।

সুতরাং কন্ট্যাক্ট নাম্বার দেখতে দেয়াতে সমস্যা নেই। কাহারো অনুমতি নিতে হবেনা।

তদুপরি কেহ যদি আপনাকে বলে যে এইভাবেও তার নাম্বার কাউকে দেখতে দেয়া যাবেনা,সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে তার নাম্বার কন্ট্যাক্ট নাম্বার এর লিস্ট থেকে ডিলিট করে দিতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...