আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম,
চলমান ষষ্ঠ--নবম শ্রেণির ষান্মাসিক মূল্যায়ন পরীক্ষায় পরীক্ষার আগের রাতে প্রশ্ন পাওয়া যায় সোস্যাল মিডিয়াতে ৷ সরাসরি প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া যায় না৷ অনেকটা লুকোচুরি করে প্রশ্ন পাওয়া যায় কারণ আগের দিন রাতে প্রশ্ন স্যারদের জন্য পাঠানো হয়। তখন প্রশ্ন বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে যায়৷

 আমি একটা কোচিং সেন্টারে পাঠদান করায়। কোচিং কর্তৃপক্ষ চায় আমি যেন পরীক্ষার প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের সমাধান করে শিখিয়ে দিই। যাতে তারা পরীক্ষায় ভালো করে। আগের রাতে প্রশ্ন পাওয়া নিয়ে সরকারি ভাবে তেমন কোন কড়াকড়ি নেই। উচ্চ পদস্থ একজন কর্মকর্তা বলেছেন "এ মূল্যায়নে প্রশ্ন পেলেও শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে সমস্যা নেই কারণ এটি যোগ্যতাভিত্তিক মূল্যায়ন৷"
 কিন্তু প্রশ্নে এমন কিছু প্রশ্ন থাকে যেগুলো আগে থেকে না শিখলে তারা পারতো না কিন্তু শিখে যাওয়ার ফলে পারে৷ মোটকথা এ প্রশ্ন গুলো ফাঁসে শিথিলতা দেওয়া হয়েছে।  যাইহোক আমার প্রশ্ন হচ্ছে এভাবে আগে থেকে পাওয়া প্রশ্নের সমাধান শিক্ষার্থীদের জানানো জায়েজ হবে কিনা এবং এর বিনিময়ে আমি অর্থও নিচ্ছি।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

পরীক্ষায় কাহারো সাহায্য নেওয়া,কাহারো খাতা দেখে লেখা,প্রশ্ন ফাঁসের প্রশ্ন ও তার উত্তর দেখে পরীক্ষা দেয়া এ সবই ধোকা দেওয়ার শামিল,যাহা জায়েজ নেই। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এভাবে আগে থেকে পাওয়া প্রশ্নের সমাধান শিক্ষার্থীদের জানানো জায়েজ হবেনা এবং এর বিনিময়ে আপনি অর্থ নিলে সেটিও হালাল হবেনা।

এগুলো সবই শরীয়তের নীতিমালার খেলাফ কাজ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...