আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
165 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
reopened by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতূহ সম্মানিত উস্তায।
গতোকাল রাতে আমি আমার ভাইয়ার জন্য একটা প্রপোজাল এর ব্যাপারে ইস্তিখারা করে সাথে সাথেই ঘুমিয়ে যাই রাত ১১.৩০ এর দিকে।
স্বপ্নে দেখি আমাদের ভার্সিটিতে বড়ো কোনো অনুষ্ঠান হচ্ছে। সেখানে শতশত স্টুডেন্ট DSLR দিয়ে ছবি তুলছে।আর সাথে সাথেই সেই ছবি আমাদের ফোনে অটোমেটিক চলে আসছে।একজন আমার মোবাইল দেখে বলে তোমার মোবাইলে এতো সুন্দর ছবি উঠে? পরে বলি না,এগুলো DSLR দিয়ে তুলা ছবি।(ভার্সিটির যে জায়গায় এ অনুষ্ঠান হচ্ছিল সে জায়গাটা আমাদের গ্রামের একটা স্কুলের সাথে মিল রয়েছে,ভার্সিটির সাথে মিল নেই)

এরপর আমরা ৩ জন ক্লাসমেট মিলে কোথাও একটা যাই।সেখানে ঘুরে কোনো এক আত্নীয়ের বাসায় যাই।তাদের ঘর টিনের+মাটির।সেখানেও ঘুড়তে ঘুড়তে একটা রুমে যাই সবাই,যেয়ে দেখি একজন বৃদ্ধা বাকপ্রতিবন্ধি লোকের রুম সেটা। তার খাটের সিস্টেমটা খুব সুন্দর। কয়েকটি ক্বুরআন শরীফ রাখা আছে সেখানে, দেখে আমি খুব খুশি হই। এবং সে সিস্টেমের ব্যাপারে প্রসংশা করতে ছিলাম স্বপ্নেই। তারপরও বলি খুব সুন্দর না সিস্টেমটা?আমার এক ক্লাসমেট বলে হ্যা সুন্দর,তারপর একটা ছবি তুলে রাখি।
পরক্ষণেই দেখতে পেলাম দেয়ালে একটা লিফলেট সেখানে লিখা, 'ডাকাত আসলে টিনের উপর হাত দিয়ে জোড়ে জোড়ে আঘাত করবেন'।মূলত এর পরেই জানতে পেরেছি সেখানে একজন প্রতিবন্ধী বৃদ্ধা লোক থাকে।স্বপ্নে তখন মনে হয়েছিল এ বাড়ি নিরাপদ নয়।এখানে আর বেশিক্ষণ থাকা আমাদের জন্য ঠিক হবে না।

তারপর আমরা চলে আসি আমাদের বাসায়,বাসা আমাদের কিন্তু বাস্তব বাসার সাথে মিল নেই...।মা খাবার দিয়েছিলেন আমাদের যেহেতু অনেক দূর থেকে গিয়েছি সবাই খাবার নিচ্ছিল।এরমধ্যেই আবার আব্বা শান্ত মেজাজেই একজনকে বলে, 'বাবা!তোমার আব্বা তো তোমাকে কষ্ট করে পড়ায়,দামি জামা, জুতা ব্যাগ কিনে দেয়,আর তুমি আসছো ঘুরতে পড়াশুনা রেখে!'এরকমই কিছু বলতেছিল,মূল কথা এরকম ছিল, কষ্টকরে এতকিছু করে আর তুমি সেগুলো উড়াচ্ছো?।কথাগুলো শুনে উক্ত ব্যক্তি খুব অপমানবোধ করে।এইদিকে দূরে দাড়িয়ে আমিই কাদতে শুরু করে দেই(যদিও কেও দেখেনি),,,কিন্তু কিছু বলতে পারছিলাম না(বাস্তবেও এরকমই কেও আমাকে বা আমার আশেপাশের কাওকে কিছু বললে আমার কান্না শুরু হয়ে যায়)।এরমধ্যেই দেখি আরও ২-৩ জন ক্লাসমেটস আসছে ওদের একজন আবার দূরে টিউবওয়েল এর কাছে দাড়িয়ে  বলতেছিল আংকেল ওর ব্যাপার ওই বুঝবে.....
পরে আমরা সবাই চলে আসি,মা আগায় দিতে নিয়েছিল।পথিমধ্যে আমার ক্লাসমেটস বসে বসে কিছু একটা খাচ্ছে বা করছে আর আমি পিছনে দাড়িয়ে।এখানেও মা ওকে হাসতে হাসতে অপমান সূচক কথা বলে,,,এখানে দেখি সে (ক্লাসমেট) কিছু একটা বলতে শুরু করেছিল),, আমিও মা কে বলি, বলার মতো আর কিছু খুজে পাননা? এমন কথা বলতে হবে কেন,,,!!এমনটা বলেই কান্না শুরু করি(কেও কান্না দেখেনি) এই ভেবে যে,ওকে কেনো অপমান করবে?(বাস্তবে আমি ফ্রী মিক্সিং সর্বদা এরিয়ে চলি, সেখানে এরকম একসাথে কোথাও যাওয়া ত দূরের কথা)
এরপরই ঘুম ভেঙে যায়।উঠে দেখি ৪.৫১ বাজে।

এক্ষেত্রে আমরা ইস্তিখারা পজিটিভ ভাববো নাকি নেগেটিভ ভাববো?(বাস্তবে কারোরই মন পুরোপুরি পজিটিভ না সে মেয়ের ব্যাপারে)

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

যখন কারো সামনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এসে উপস্থিত হবে।এবং সে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না যে, সে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিবে।তাহলে এমন পরিস্থিতে তার জন্য উচিৎ ইস্তেখারা করা তথা ভালো দিক কে অন্বেষণ করা।অবশ্যই ইস্তেখারা, নামাযের মাধ্যমেই করবে। ইস্তেখারার পদ্ধতি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ এক হাদীসে বলেন, দুই রা'কাত নামায পড়ে বিশেষ মনোযোগের সাথে (নিম্নে উল্লেখিত) দু'আ পড়বে। তাহলে হয়তো তার মন কোনো এক দিকে ধাবিত হবে,বা সে স্বপ্নযোগে কোনো এক ইশারা পাবে।

যেমন হযরত জাবির রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে

 عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعَلِّمُنَا الِاسْتِخَارَةَ فِي الأُمُورِ كُلِّهَا، كَمَا يُعَلِّمُنَا السُّورَةَ مِنَ القُرْآنِ، يَقُولُ: " إِذَا هَمَّ أَحَدُكُمْ بِالأَمْرِ، فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ مِنْ غَيْرِ الفَرِيضَةِ، ثُمَّ لِيَقُلْ:

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সব কাজে ইস্তিখারাহ্ শিক্ষা দিতেন। যেমন পবিত্র কুরআনের সূরাহ্ আমাদের শিখাতেন। তিনি বলেছেনঃ তোমাদের কেউ কোন কাজের ইচ্ছা করলে সে যেন ফরজ নয় এমন দু’রাক‘আত সালাত আদায় করার পর এ দু’আ পড়েঃ

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ، وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ العَظِيمِ، فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلاَ أَقْدِرُ، وَتَعْلَمُ وَلاَ أَعْلَمُ، وَأَنْتَ عَلَّامُ الغُيُوبِ، اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ خَيْرٌ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي - أَوْ قَالَ عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ - فَاقْدُرْهُ لِي وَيَسِّرْهُ لِي، ثُمَّ بَارِكْ لِي فِيهِ، وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ شَرٌّ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي - أَوْ قَالَ فِي عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ - فَاصْرِفْهُ عَنِّي وَاصْرِفْنِي عَنْهُ، وَاقْدُرْ لِي الخَيْرَ حَيْثُ كَانَ، ثُمَّ أَرْضِنِي " قَالَ: «وَيُسَمِّي حَاجَتَهُ»

ভাবার্থঃ ‘‘প্রভু হে! আমি তোমার জ্ঞানের ওয়াসিলাহ্তে তোমার অনুমতি কামনা করছি; তোমার কুদরতের ওয়াসিলায় শক্তি চাচ্ছি আর তোমার অপার করুণা ভিক্ষা করছি। কারণ তুমিই সর্বশক্তিমান আর আমি দুর্বল। তুমিই জ্ঞানী আর আমি অজ্ঞ এবং তুমিই সর্বজ্ঞ। প্রভু হে! তুমি যদি মনে কর যে, এই জিনিসটি আমার দ্বীন ও দুনিয়ায়, ইহকালে ও পরকালে সত্বর কিংবা বিলম্বে আমার পক্ষে মঙ্গলজনক হবে তা হলে আমার জন্য তা নির্ধারিত করে দাও এবং তার প্রাপ্তি আমার জন্য সহজতর করে দাও। অতঃপর তুমি তাতে বারাকাত দাও। আর যদি তুমি মনে কর এই জিনিসটি আমার দ্বীন ও দুনিয়ায় ইহকালে ও পরকালে আমার জন্য ক্ষতিকর হবে শীঘ্র কিংবা বিলম্বে তাহলে তুমি তাকে আমা হতে দূর করে দাও এবং আমাকে তা হতে দূরে রাখো; অতঃপর তুমি আমার জন্য যা মঙ্গলজনক তা ব্যবস্থা কর- সেটা যেখান থেকেই হোক না কেন এবং আমাকে তার প্রতি সন্তুষ্টচিত্ত করে তোল।’’ তিনি ইরশাদ করেন هَذَا الْأَمْرَ তার প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করবে।(সহীহ বুখারী-শামেলা;২/৫৭,হাদীস নং১১৬২) (কিতাবুন-নাওয়াযিল-৪/৬২৯)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

আপাত দৃষ্টিতে স্বপ্নের বিবরণ থেকে পজিটিভ কিছু পাওয়া যাচ্ছে না। তবে আপনি নিশ্চিত হওয়ার জন্য পুনরায় ইস্তিখারা করলে ভালো হয়। কারণ, প্রথম দিন সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে না পারলে সাতদিন ইস্তেখারা করা যেতে পারে। আশা করি পর্যাযক্রম সাত দিন ইস্তিখারার মাধ্যমে আপনি সঠিক সিদ্ধান্তে উপনিত হতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by
vi er jnno istekhara kra jay?
by (14 points)
Ji apu vaia/bon er jonno istekhara kora jay.

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...