আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
82 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (30 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ্,

আমি একজন মেয়ে, বয়স ২৫। আমার বাবা মৃত, ঘরে উপার্জনক্ষম বড় ভাই নেই। আমার বাবার পেনশনের অর্থে আমাদের ভরনপোষণ চলে। আমাদের জীবিকার কিছু অংশ আসে সঞ্চয়পত্রের সুদ থেকে, আমি মনেপ্রাণে সুদ ঘৃণা করি। আমি টিউশন করাই, তাতে অল্প কিছু অর্থ আসে, যা এই সুদ পুরোপুরি পরিত্যাগ করার জন্য যথেষ্ট নয়। চাকরির মনমানসিকতা নেই, আমার আম্মারও বয়স হয়েছে, ভাইটা ছোট। সুদের কথা ভাবলেই আমার জগৎটা অন্ধকার হয়ে আসে, হালাল উপার্জনের চিন্তায় মাথা জমাট বেঁধে যায়৷ আমি মন থেকে আল্লাহর কাছে অনেক দুয়া করি, অনেক দুয়া আল্লাহ কবুলও করেছেন। কিন্তু যখনই সুদের কথা মনে পড়ে, আমার কাবা ঘরের ধূলিধূসরিত সেই মুসাফিরের কথা মনে পড়ে। যার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, আল্লাহ হারাম কোনো কিছু থেকে গ্রহন করেন না। তখন খুবই কষ্ট হয়, নিজের অপারগতার কথা মনে পড়ে। আমি সাধ্যমতো ইবাদাত করি, পর্দা করি, দুয়া করি, নন মাহরামের সাথে মিশি না। অর্থাৎ আমার পক্ষে যা যা করা সম্ভব আমি চেষ্টা করি। কিন্তু এই একটা জায়গায় আমি আটকে যাই, চোখে পানি চলে আসে যে, আমার চোখের পানিও কি তাহলে অপবিত্র, যা আল্লাহ গ্রহণ করবেন না? কারণ আমার খাদ্যে কিছুটা হলেও হারাম মিশেছে।

আমার করনীয় কী? আল্লাহ কি আমাকে এই অপারগতার জন্য ক্ষমা করবেন?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান মতে সূদ দেওয়া,গ্রহন করা,তাতে সহযোগিতা করা সবই হারাম।

কুরআনে কারীমে ইরশাদ হচ্ছে-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَذَرُوا مَا بَقِيَ مِنَ الرِّبَا إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ [٢:٢٧٨] 

হে ঈমানদারগণ,তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে সমস্ত বকেয়া আছে,তা পরিত্যাগ কর,যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক। [সূরা বাকারা-২৭৮] 

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا الرِّبَا أَضْعَافًا مُّضَاعَفَةً ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٣:١٣٠] 

হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো। [সুরা আলে ইমরান-১৩০] 

হাদিস শরিফে  এসেছে-

لَعَنَ رَسُولُ اللهِ ﷺ آكل الربا وموكله وكاتبه وشاهديه، وقال : هم سواء.

আল্লাহর রাসূল ﷺ সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক এবং তার উপর সাক্ষীদ্বয়কে অভিশাপ করেছেন, আর বলেছেন, ওরা সকলেই সমান। (মুসনাদে আহমাদ ৩৮০৯)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনাদের জীবিকার কিছু অংশ আসে সঞ্চয়পত্রের সুদ থেকে।
আপনি এই সুদ ভক্ষন করবেননা।

প্রয়োজনে আপনি নিজের খাবার নিজের টাকা হতে বা বাবার পেনশনের টাকা হতে ম্যানেজ করে নিবেন।
বা চেষ্টা করবেন,খাবারের টাকায় যেনো কোনোভাবেই সঞ্চয়পত্রের সুদ দাখিল না হয়।

নিজের কাপড় ইত্যাদি জরুরী খরচ হালাল টাকা হতে করবেন,এতে জরুরত কম পুরো হলেও মনে কষ্ট নিবেননা।

আপনার বয়স যেহেতু ২৫, তাই দ্রুত বিবাহের চেষ্টা করবেন,দ্রুত বিবাহের আমল করবেন।

ইনশাআল্লাহ সমস্ত সমস্যার সমাধান হবে।

এ সংক্রান্ত আমল জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...