আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
106 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম।

1.আমি সরকারি হোস্টেলে থাকি।আমাদের হোস্টেল এ ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র ব্যবহার করার অনুমতি নেই।সরকারের অনুমতি ছাড়া সরকারি জিনিস ব্যবহার করা জায়েজ নেই জানার পর, আলহামদুলিল্লাহ আমি রুম এ চুলা,হিটার,ব্যবহার করা ছেড়ে দেই। অনেক সিরিয়াল থাকা সত্বেও নিচ তলায় গ্যাস এর চুলায় রান্না করার ব্যাবস্তা থাকায় আমি সেখানেই রান্না করি আলহামদুলিল্লাহ।কিন্তু আমার রুম ম্যাট রা এখনো ব্যবহার করে।ওই চুলায় রান্না করা খাবার তারা আমাকে মাজে মাজে দিলে আমার কি সেই খাবার খাওয়া জায়েজ হবে?

2.আমার রুম ম্যাট এর বয়ফ্রেন্ড মাজে মাজে  খাবার দিয়ে যায়।আমি ইগনর করার চেষ্টা করি,কিন্তু ও জোর করে টেবিলের উপর রেখে যায়।আমি একদিন লুকিয়ে ফেলে দিসি।এতে কি আমার গুনাহ হবে?  এবং ওই খাবার খাওয়া টা কি আমার জন্যে জায়েজ হবে?

3.হোস্টেলের ভিতরে অনেক আম,কাঠাঁল গাছ রয়েছে।কলেজ জানে যে এই আম,কাঠাঁল গুলো স্টুডেন্ট রা খায়,কিন্তু হোস্টেল সুপার বলে এইগুলা অফিসের কাঠাঁল।কিন্তু কলেজ কোনোদিন আম, কাঠাঁল এর খুঁজ নেয় না এবং আম, কাঠাঁল গাছ থেকে পারা ও হয় না। স্টুডেন্ট রা না খেলে আবার আম,কাঠাঁল বাইরের লুকেরা নিয়ে খায়, কেও না খেলে পঁচে ও যেতে পারে।এই অবস্থায় আমরা স্টুডেন্ট রা কি গাছের আম, কাঠাঁল খেতে পারব?

4. আমার দেবর ব্যংকে জব করে।হালাল +হারামের টাকায় আমাদের ফেমেলি চলে।ঘরের ৮/১০হাজার টাকা আমার স্বামী দেন(হালাল)(উনি ক্রিপ্ট কারেন্সির কাজ করেন,উনি আমাকে বলেন যে উনি হালাল সাইড গুলাতে কাজ করেন,উনিও হালাল হারাম নিয়ে সচেতন নন), ৩/৪হাজার টাকা দেবর দেয়( হারাম)।

০.আমার শাশুড়ী মা একবার আমার জন্য জামা এনে বলেছিলেন যে আমার দেবরের বেতন থেকে আমাকে কিনে দিলেন,তিনি ঘরের মুট টাকা থেকেই কিনে দিয়েছিলেন।তখন কি আমার জামাটা পরা জায়েজ হবে?

০.এইবার ঈদে আমার দেবর সবার জন্য কাপড় কিনেছে।বেতনের বুনাস দিয়ে, আমার স্বামী ঘরের টাকা দিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু কাপর বাবদ কোনো টাকা দেন নি।এই জামাটা পরা কি জায়েজ হবে?

5.আমার শশুর বাড়ির আত্ত্বীয় দের অনেকেই ব্যাংকের সাথে জরিত।বাধ্য হয়ে তাদের বাসায় যাওয়া হয়েছে,খাওয়া হয়েছে।উনাদেরকে এইসব ব্যাপার আমি বলতেও পারি না।আমার দেবরের ব্যাংক এর জবের ব্যাপারে আমি আমার পরিবারের সবাইকে যথাসাধ্য বুঝিয়েছি।কেউ বুঝেনি।

বাধ্য হয়ে খাওয়া লাগলে তখন কি আমার গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সম্পদ তার সন্তুষ্টি ব্যাতিত ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা। 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾ 
হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
সেই খাবার হারাম মিশ্রিত, তাই সেটা আপনি খাবেননা।

তবে হালালের আধিক্যতা থাকলে সেই খাবার খাওয়া আপনার জন্য হারাম হবেনা।

(০২)
ফেলে দেয়া তে সেই খাবার নষ্ট হয়ে গিয়েছে,তাই সেটা ঠিক হয়নি।
আপনার জন্য করনীয় ছিলো সেটা রুমমেটকে ফেরত দেয়া, ফেরত না নিলে সেটা কোনো গরিব মিসকিনকে ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া,কোনো কিছু না বলে দান করে দেয়া।

(০৩)
বিষয়টির বিধান হোস্টেল কর্তৃপক্ষ থেকে জেনে নিতে হবে।
যদি তারা তাহা খাওয়ার অনুমতি দেয় বা এভাবে খাওয়াতে তাদের যদি মৌন সমর্থন থাকে,নিষেধাজ্ঞা না থাকে,সেক্ষেত্রে স্টুডেন্টরা তাহা খেতে পারবে।
অন্যথায় খেতে পারবেনা।

(০৪)
প্রয়োজনের অন্তর্ভুক্ত হলে উক্ত জামা গ্রহণ করা ও তাহা পরিধান করা আপনার জন্য জায়েজ হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৫)
এক্ষেত্রে আপনি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হয়ে থাকলে আপনি খাবার সমপরিমাণ টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিবেন।

অন্যথায় দান করতে হবেনা।
কম খাওয়ার চেষ্টা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...