ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ্ তা'আলা বলেনঃ
(إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهَىٰ عَنِ الْفَحْشَاءِ وَالْمُنْكَرِ)
অর্থ ’নিশ্চয় সালাত নির্লজ্জ ও অশোভনীয় কাজ হতে বিরত রাখে ’ (আনকাবুতঃ ৪৫)
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: جَاءَ رجل إِلَى النَّبِي صلى فَقَالَ: إِن فلَانا يُصَلِّي بِاللَّيْلِ فَإِذَا أَصْبَحَ سَرَقَ فَقَالَ: إِنَّهُ سَيَنْهَاهُ مَا تَقُولُ. رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ
তিনি বলেন, এক লোক রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এলো এবং তাঁকে বলল, অমুক লোক রাত্রে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করে কিন্তু ভোরে উঠে চুরি করে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ খুব তাড়াতাড়ি তার সালাত তাকে এ ’আমল থেকে বাধা দিবে, তার যে ’আমলের কথা তুমি বলছ। [মিশকাত-১২৩৭ আহমাদ ৯৭৭৮, ইবনু হিব্বান ২৫৬০, শু‘আবুল ঈমান ২৯৯১, সিলসিলাহ্ আস্ সহীহাহ্ ৩৪৮২]
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
"অমুক ব্যক্তিকে বড় অপরাধের সাথে জড়িত পাওয়া গেছে অথচ ঐ ব্যক্তি নাকি কোনো ওয়াক্ত নামাজ বাদ দিতো না।এরা হলো লেবাসধারী ভন্ড।"
এধরনের কথা বলা কখনো উচিৎ নয়। তবে এধরণের কথা নামাজকে কটাক্ষকারী হিসেবে বিবেচিত হবে না।সুতরাং এদ্বারা ইমান নষ্ট হবে না। কেননা এধরণের কথা দ্বারা বুঝা যায় যে, ঐ ব্যক্তির নামাযই কবুল হয়নি, নামায কবুল হলে সে এ ধরণের অপরাধ করতো না। যেহেতু কার ইবাদত কবুল হবে আর কার ইবাদত কবুল হবে না? সেটা নিশ্চিত নয়, তাই এ ধরণের কথাবার্তা থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকতে হবে।