আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
75 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (3 points)
আসসালামুআলাইকুম,
কেউ যদি বলে যে , ওমুক ব্যক্তিকে তো অনেক বড় অপরাধের সাথে জড়িত পাওয়া গেছে অথচ ঐ ব্যক্তি নাকি কোনো ওয়াক্ত নামাজ ও  বাদ দিতো না। এরা হলো লেবাসধারী ভন্ড।

এধরনের কথার দ্বারা কি নামাজকে কটাক্ষ করা হয়? এ ধরনের কথায় কি ইমান নষ্ট হতে পারে?

1 Answer

0 votes
by (579,540 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ্  তা'আলা বলেনঃ
 (إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهَىٰ عَنِ الْفَحْشَاءِ وَالْمُنْكَرِ)
অর্থ ’নিশ্চয় সালাত নির্লজ্জ ও অশোভনীয় কাজ হতে বিরত রাখে ’ (আনকাবুতঃ ৪৫)
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: جَاءَ رجل إِلَى النَّبِي صلى فَقَالَ: إِن فلَانا يُصَلِّي بِاللَّيْلِ فَإِذَا أَصْبَحَ سَرَقَ فَقَالَ: إِنَّهُ سَيَنْهَاهُ مَا تَقُولُ. رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ
 তিনি বলেন, এক লোক রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এলো এবং তাঁকে বলল, অমুক লোক রাত্রে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করে কিন্তু ভোরে উঠে চুরি করে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ খুব তাড়াতাড়ি তার সালাত তাকে এ ’আমল থেকে বাধা দিবে, তার যে ’আমলের কথা তুমি বলছ। [মিশকাত-১২৩৭ আহমাদ ৯৭৭৮, ইবনু হিব্বান ২৫৬০, শু‘আবুল ঈমান ২৯৯১, সিলসিলাহ্ আস্ সহীহাহ্ ৩৪৮২]

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
"অমুক ব্যক্তিকে বড় অপরাধের সাথে জড়িত পাওয়া গেছে অথচ ঐ ব্যক্তি নাকি কোনো ওয়াক্ত নামাজ বাদ দিতো না।এরা হলো লেবাসধারী ভন্ড।"
এধরনের কথা বলা কখনো উচিৎ নয়। তবে এধরণের কথা নামাজকে কটাক্ষকারী হিসেবে বিবেচিত হবে না।সুতরাং এদ্বারা ইমান নষ্ট হবে না। কেননা এধরণের কথা দ্বারা বুঝা যায় যে, ঐ ব্যক্তির নামাযই কবুল হয়নি, নামায কবুল হলে সে এ ধরণের অপরাধ করতো না। যেহেতু কার ইবাদত কবুল হবে আর কার ইবাদত কবুল হবে না? সেটা নিশ্চিত নয়, তাই এ ধরণের কথাবার্তা থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 449 views
...