পরীক্ষায় নকল

Question

একজনের মাদ্রাসায় পড়ালেখায় পাশমার্ক চলে আসার পরেও যদি শয়তানের ওয়াসওয়াসায় পড়ে একটু নকল করে ফেলে। এবং করে ফেলার পরপরেই পাপের কারনে তার আসমান জমিন ভয়ে কাপতে থাকে। এখন তার কী করা উচিত? তাওবা করেছে। তার শুধু মনে হচ্ছে পড়াই ছেড়ে দিতে কারন এই রেজাল্ট অনদের হক্ব নষ্ট করছে। আবার এটাও বুঝছে যে পড়া ছেড়ে দিলে আবার মাদ্রাসায় পড়া শুরু করাই পসিবল না। আবারো বলছি, নকল না করলেও সে পাশ করত ভালোভাবে। এখন সে কী করবে? তার নকলের পরিমান, এতোদিন যা নাম্বার পেয়েছে তার তূলনায় ৫% ও না। প্লিজ জানাবেন। তাওবা করে এবং নকলকৃত পড়াগুলো ভালোভাবে শিখে নিয়ে সামনে আগানোর সুযোগ আছে? প্রয়োজনে আরো অন্য কোথাও এই বিষয়টা শিখে নেবে। কিন্তু পড়া ছাড়লে আর মাদ্রাসায় পড়া সম্ভব নাও হতে পারে।
নাকি সব বাদ দিয়ে দেবে যাতে অন্য কারোর হক্ব নষ্ট না হয়!

Answer 1

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

মানুষ পরীক্ষায় নকল করে সাধারণত নিজ পরিবারবর্গ বা বন্ধুবান্ধবকে খুশী করার জন্য। নিজের ব্যক্তিত্বকে সমাজে প্রতিষ্টিত করার জন্য।

অথচ হাদীসে বর্ণিত রয়েছে, হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,

ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﻗﺎﻟﺖ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻣﻦ ﺍﻟﺘﻤﺲ ﺭﺿﺎ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﺑﺴﺨﻂ ﺍﻟﻠﻪ ﺳﺨﻂ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺃﺳﺨﻂ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﻨﺎﺱ )

যে ব্যক্তি মানুষের সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে আল্লাহর অসুন্তুষ্টিকে অগ্রাধিকার দেয়,আল্লাহ তার উপর অসন্তুষ্ট হবেন,এবং মানুষদেরকেও তার উপর অসন্তুষ্ট করে দেবেন।(সহীহ ইবনে হিব্বান-২৭৬) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/539

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

পরীক্ষায় নকল করার জন্য আপনি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন। ক্লাসের সবার কাছে ক্ষমা না চাওয়াই উচিৎ।বরং শুধুমাত্র আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলেই। 

ভবিষতে এরকম কোনো কাজে মনোনিবেশ করবেন না।