ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
নামাজের এক হাত সামনে খাটে মানুষ শুয়ে থাকলে সেই স্থানে নামাজ পড়া যাবে।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী ‘আয়িশাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত।
عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا قَالَتْ كُنْتُ أَنَامُ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللهِ وَرِجْلَايَ فِي قِبْلَتِهِ فَإِذَا سَجَدَ غَمَزَنِي فَقَبَضْتُ رِجْلَيَّ فَإِذَا قَامَ بَسَطْتُهُمَا قَالَتْ وَالْبُيُوتُ يَوْمَئِذٍ لَيْسَ فِيهَا مَصَابِيحُ
তিনি বলেনঃ আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সামনে শুয়ে থাকতাম আর আমার পা দু’টো থাকত তাঁর কিবলার দিকে। তিনি যখন সিজদা করতেন তখন আমাকে টোকা দিতেন, আর আমি আমার পা সরিয়ে নিতাম। তিনি দাঁড়িয়ে গেলে পুনরায় পা দু’টো প্রসারিত করে দিতাম।‘আয়িশাহ (রাযি.) বলেনঃ তখন ঘরে কোন বাতি ছিল না।( সহীহ বোখারী-৫১৩)
(২)
ঐ কুকুর ঘরে থাকলে ফেরেস্তা প্রবেশ করেন না, যে কুকুরকে লালন-পালনের অনুমোদন শরীয়ত দেয় নাই। আর যে কুকুর কে লালন-পালনের অনুমোদন শরীয়ত দিয়েছে,সে কুকুর ঘরে থাকলে ফেরেস্তা প্রবেশ করেন।
(তরহুত-তাসরিব-৬/৩৫)
কোন কোন উদ্দেশ্যে কুকুর লালন-পালন করার অনুমোদন রয়েছে- এ সম্পর্কে একটি হাদীস শুনুন-
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻋَﻦْ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻗَﺎﻝَ : ( ﻣَﻦْ ﺍﻗْﺘَﻨَﻰ ﻛَﻠْﺒًﺎ ، ﻟَﻴْﺲَ ﺑِﻜَﻠْﺐِ ﺻَﻴْﺪٍ ﻭَﻻ ﻣَﺎﺷِﻴَﺔٍ ﻭَﻻ ﺃَﺭْﺽٍ : ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻳَﻨْﻘُﺺُ ﻣِﻦْ ﺃَﺟْﺮِﻩِ ﻗِﻴﺮَﺍﻃَﺎﻥِ ﻛُﻞَّ ﻳَﻮْﻡٍ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি শিকারের কুকুর বা ক্ষেত পাহাড়ার কুকুর বা পশু পাহাড়ার কুকুর ব্যতীত অন্য কোনো উদ্দেশ্যে কুকুর লালন পালন করবে, তার আ'মল নামা থেকে দৈনিক দুই ক্বিরাত করে সওয়াব কর্তিত হবে। (সহীহ মুসলিম-২৯৭৪) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1334
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কুকুর আল্লাহর মাখলুকাত থেকে একটি। চান কপালি কুকুরকে হত্যা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য কুকুরকে খাবার দেয়া যাবে, তবে বিনা জরুরতে লালন পালন করা যাবে না। আপনার বাসার সামনে যেই কুকুর রয়েছে, সেই কুকুরকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন।বাসার সামনে কখনো খাবার দিবেন না।দূরে কোথাও নিয়ে দিতে পারেন। তাড়ানোর চেষ্টা করার পরও যদি সে দরজার সামনে এসে বসে থাকে, তাহলে ফিরিশতার জন্য প্রতিবন্ধক হবে না।
(২)
আত্মীয়দের সাথে অবশ্যই যোগাযোগ রাখতে হবে।তবে হাদীসে বর্ণিত ভয়ঙ্কর বাণী আত্মীয়র সাথে খারাপ সম্পর্ককে আলোকেই এসেছে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1577