ওয়া আলাইকুমুস-সালাম
ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
তবে গেম,
খেলাধূলা যদি কেবল সময়ের অপচয়ের মাধ্যম
হয়, স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দীন থেকে গাফেল হয় এবং তাতে জুয়ার মিশ্রণ
থাকে, তখন ওই খেলা হারামে পরিণত হয়।
একদিন দুজন
আনসার সাহাবি তীর নিক্ষেপ প্রতিযোগিতা করছিলেন। হঠাৎ একজন বসে পড়লেন। তখন অপরজন বিস্মিত
হয়ে বললেন, কী ব্যাপার। কষ্ট হয়ে গেল নাকি? জবাবে তিনি বললেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (স.)-কে বলতে শুনেছি যে,
প্রত্যেক বস্তুত যা আল্লাহর স্মরণকে
ভুলিয়ে দেয়, সেটাই অনর্থক..।’ (নাসায়ি, সহিহাহ: ৩১৫)
এতে বুঝা যায়
যে, বৈধ খেলাও যদি আল্লাহর স্মরণকে ভুলিয়ে দেয়, তা জায়েজ হবে না। ইমাম বুখারি (রহ) অনুচ্ছেদ রচনা
করেছেন, ‘প্রত্যেক খেলা-ধুলা বাতিল, যদি তা আল্লাহর আনুগত্য থেকে উদাসীন করে দেয়’ (ফাতহুল বারি
‘অনুমতি গ্রহণ’ অধ্যায় ৭৯, অনুচ্ছেদ ৫২; ১১/৯৪ পৃ)
আল্লাহ তাআলা
বলেন, এমন কিছু লোক আছে, যারা অজ্ঞতাবশত বাজে কথা খরিদ করে মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করার জন্য এবং
সত্য পথকে তারা বিদ্রূপ করে, তাদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাকর শাস্তি’। ‘যখন তাদের নিকট আমার আয়াতসমূহ
পাঠ করা হয়, তখন সে দম্ভভরে মুখ ফিরিয়ে নেয়, যেন সে এটা শুনতেই পায়নি। যেন তার দুই কানে বধিরতা
রয়েছে। অতএব তুমি তাকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দাও।’ (সুরা লোকমান ৬-৭)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে যদি উক্ত খেলার মাধ্যমে মেধাবিকাশ হয় এবং
সময়ের অপচয় না হয়। ইবাদাতে গাফেল হওয়ার কারণ না হয়। তাহলে উপরে উল্লেখিত শর্তের
ভিত্তিতে উক্ত খেলা জায়েয আছে।
এসম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানুনঃ https://ifatwa.info/3841/