আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
90 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (19 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ও বারাকাতুহু।

হজরত,যেসব গেম খেললে কোনো দুনিয়াবী ফায়দা নেই বা যেকোনো হারাম জড়িত থাকে সেসব গেমস তো হারাম।

কিন্তু যদি এমন গেম হয় যে,যার মধ্যে অন্যান্য হারাম যুক্ত নেই এবং তা চিন্তাশক্তি বৃদ্ধি করে,অর্থাৎ বুদ্ধিবৃত্তিক গেমস,সেসব গেমস খেলা কি বৈধ হবে?জাযাকাল্লাহু খইরন।

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

তবে গেম, খেলাধূলা যদি কেবল সময়ের অপচয়ের মাধ্যম হয়, স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দীন থেকে গাফেল হয় এবং তাতে জুয়ার মিশ্রণ থাকে, তখন ওই খেলা হারামে পরিণত হয়।

একদিন দুজন আনসার সাহাবি তীর নিক্ষেপ প্রতিযোগিতা করছিলেন। হঠাৎ একজন বসে পড়লেন। তখন অপরজন বিস্মিত হয়ে বললেন, কী ব্যাপার। কষ্ট হয়ে গেল নাকি? জবাবে তিনি বললেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (স.)-কে বলতে শুনেছি যে, প্রত্যেক বস্তুত যা আল্লাহর স্মরণকে ভুলিয়ে দেয়, সেটাই অনর্থক..।’ (নাসায়ি, সহিহাহ: ৩১৫)

এতে বুঝা যায় যে, বৈধ খেলাও যদি আল্লাহর স্মরণকে ভুলিয়ে দেয়, তা জায়েজ হবে না। ইমাম বুখারি (রহ) অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন, ‘প্রত্যেক খেলা-ধুলা বাতিল, যদি তা আল্লাহর আনুগত্য থেকে উদাসীন করে দেয়’ (ফাতহুল বারি ‘অনুমতি গ্রহণ’ অধ্যায় ৭৯, অনুচ্ছেদ ৫২; ১১/৯৪ পৃ)

আল্লাহ তাআলা বলেন, এমন কিছু লোক আছে, যারা অজ্ঞতাবশত বাজে কথা খরিদ করে মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করার জন্য এবং সত্য পথকে তারা বিদ্রূপ করে, তাদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাকর শাস্তি’। ‘যখন তাদের নিকট আমার আয়াতসমূহ পাঠ করা হয়, তখন সে দম্ভভরে মুখ ফিরিয়ে নেয়, যেন সে এটা শুনতেই পায়নি। যেন তার দুই কানে বধিরতা রয়েছে। অতএব তুমি তাকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দাও।’ (সুরা লোকমান ৬-৭)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে যদি উক্ত খেলার মাধ্যমে মেধাবিকাশ হয় এবং সময়ের অপচয় না হয়। ইবাদাতে গাফেল হওয়ার কারণ না হয়। তাহলে উপরে উল্লেখিত শর্তের ভিত্তিতে উক্ত খেলা জায়েয আছে।

এসম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানুনঃ https://ifatwa.info/3841/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...