ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যদি পুরুস্কারের আয়োজক প্রথম প্রকারের হয়।তাহলে স্বাভাবিক অবস্থায় নাজায়েয বলেই গণ্য হবে।
কেননা এতে ক্বেমার(জুয়ার) হালকা সাদৃশ্যতা বিদ্যমান রয়েছে।
কিন্তু যেহেতু তাতে সহীহ ক্রয়-বিক্রয়ের সাদৃশ্যতাও বিদ্যমান রয়েছে,তাই তাকে বৈধতার আওতাভুক্ত ও করা যাবে তবে কিছু শর্ত সাপেক্ষে।
উক্ত পদ্ধতি জায়েয হতে হলে নিম্নোক্ত শর্ত সমূহ অবশ্যই তাতে উপস্থিত থাকতে হবে।
★প্রথম শর্ত মূল্যর সাথে সম্পর্কিত।
★দ্বিতীয় শর্ত ক্রেতার সাথে সম্পর্কিত।
★তৃতীয় শর্ত বিক্রতার সাথে সম্পর্কিত।
(১)প্রথম শর্তঃ
মালের মূল্য বাজারদর থেকে বর্ধিত হতে পারবে না।বরং সমান সমান থাকতে হবে।উক্ত পুরুস্কার ঘোষনার পূর্বে ও পুরুস্কারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মালের দর যত, তখন ততই থাকতে হবে।
(২)দ্বিতীয় শর্তঃ
ক্রেতা প্রয়োজন ব্যতীত শুধুমাত্র পুরুস্কার অর্জনের উদ্দেশ্যে উক্ত মালকে ক্ররিদ করতে পারবে না।কেননা অপচয় করা বৈধ নাজায়েয ।
(৩)তৃতীয় শর্তঃ
বিক্রেতার উক্ত পুরুস্কারের ঘোষনা অন্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে করতে পারবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1505