হায়েজবস্থায় ভাইভা পরীক্ষায় সূরা পড়া দেওয়া।

Question

আসসালামুয়ালাইকুম।

আমি হায়েজগ্রস্ত। দুইদিন পর আমার তাজবীদ পরীক্ষা। এমতবস্থায় আমি পরীক্ষার জন্য সুরাগুলো কি অনুশীলন করতে পারব? আর ভাইভা পরীক্ষার দিনে কি সুরাগুলোর পড়া দিতে পারব?

এমতবস্থায় আমার কি করনীয়?

Answer 1

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 

بسم الله الرحمن الرحيم 

মহিলাদের হায়েজ অবস্থায় কুরআন শরিফ স্পর্শ করা, তেলাওয়াত করা জায়েজ নেই। 

,

হায়েজ,নেফাস,গোসল ফরজ থাকা অবস্থায় কুরআনে কারীম পড়া হারাম। 

عن ابن عمر : عن النبي صلى الله عليه و سلم قال لا تقرأ الحائض ولا الجنب شيئا من القرآن (سنن الترمذى، ابواب الطهارات، باب ما جاء في الجنب والحائض : أنهما لا يقرأن القرآن، رقم الحديث-131

অনুবাদ-হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-ঋতুবতী মহিলা এবং গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তি কোরআন পড়বে না।

(সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১৩১,

সুনানে দারেমী, হাদীস নং-৯৯১,

মুসনাদুর রাবী, হাদীস নং-১১,

মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১০৯০,

মুসন্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৩৮২৩)

হযরত আলী রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,

 عن علي بن أبي طالب رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم  كان يعلمهم القرآن وكان لا يحجزه عن القرآن إلا الجنابة "

রাসূলুল্লাহ সাঃ লোকদিগকে কুরআন শিক্ষা দিতেন।জানাবত তথা সহবাস ও স্বপ্নদোষ পরবর্তী অপবিত্রতা ব্যতীত অন্যকোনো জিনিষ কুরআন শিক্ষা থেকে বাধা দিত না।(সুনানু আবি-দাউদ-১/২৮১,সুনানু তিরমিযি-১৪৬,সুনানু নাসাঈ-১/১৪৪,সুনানু ইবনি মা'জা-১/২০৭মসনদে আহমদ-১/৮৪,সহীহ ইবনে খুযাইমাহ-১/১০৪)

আরো জানুনঃ

https://ifatwa.info/7540/

,

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে হায়েজ অবস্থায় পরীক্ষার জন্য সুরাগুলো  অনুশীলন করতে পারবেননা।

পরীক্ষাতেও পড়তে পারবেননা।

তবে আপনি https://ifatwa.info/4435/ ফতোয়া অনুযায়ী আমল করতে পারবেন। 

,

★উল্লেখিত মাসয়ালাতে কিছু ইসলামী স্কলারদের মতবিরোধ রয়েছে। 

সুতরাং তাদের মতানুসারীগন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন। 

কোনো সমস্যা নেই।