আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু
১/আইফতোয়াতে এক প্রশ্নের উত্তরে দেখেছিলাম–যদি কোনো ফ্রি টাইম পাওয়া যায়,যেই সময় অফিসের কোনো কাজ নেই, সেই সময়ে ব্যক্তিগত কাজ করা যাবে, কিন্তু যদি এমন হয় যেকোনো সময় কাজ চলে আসতে পারে,তাহলে ব্যক্তিগত কাজ করা যাবে না।কিন্তু এক্ষেত্রে যদি ফ্রি টাইমে ব্যক্তিগত কাজ করি,আর যখন কাজ চলে আসবে,তখন কাজে যাই,তাহলে কি সেটা জায়েজ হবে?নয়তো ফ্রি টাইমটা এমনি এমনি চলে যাবে।
২/ অফিস টাইমের পুরো সময় অফিসে থাকতে হবে?যদি নিজের দায়িত্বে যে কাজ আছে,সেগুলো করে দেওয়া হয় আর কাজ শেষে অফিস ত্যাগ করা হয়,তাহলে তা জায়েজ হবে?বা যদি কোনো জরুরি কাজ পড়ে যায়,যার দরুণ নিজের কাজ অন্য কারো দারা ম্যানেজ করা হয় ,তাহলে কি পুরো বেতন হালাল হবে?
৩/কাউকে সাধারণভাবে একটা কথা বললেই কি সেটা ওয়াদার অন্তর্ভুক্ত হবে?অনেক সময় আমরা কাউকে বলি যে,অমুক কাজ আমি করব ইন শাআল্লাহ বা অমুক দিন তোমার বাসায় যাব ইন শাআল্লাহ বা অমুক জিনিস তোমাকে দিব ইন শাআল্লাহ, এক্ষেত্রে এই কাজগুলো কি ওয়াদা দেওয়ার অন্তর্ভুক্ত এবং এই কাজগুলো যদি না করা হয়, তাহলে সেটা কি ওয়াদা ভংগ হিসেবে ধর্তব্য হবে?
৪/কোনোভাবে ঘাম মুখে চলে গেলে কি রোযা ভেংগে যাবে?
৫/সৎ শাশুড়ি বা সৎ শশুড় কি গইরে মাহরাম?
৬/:আমার মায়ের দীনের বুঝ নেই।বিয়ের ক্ষেত্রে শুধু পাত্রের দুনিয়াবি যোগ্যতা দেখেন।দীনি পাত্র কিন্তু পারিবারিক অবস্থানের দিক থেকে তুলনামূলক কম হলে,সেক্ষেত্রে দীনকে ছাড় দিতে বলেন।কোনোভাবেই তাকে বুঝানো সম্ভব হচ্ছে না।আবার জোর করলে অসুস্থ হয়ে পড়েন।এদিকে দীন ঠিকভাবে পালনের জন্য বিয়ের জরুরত বোধ করছি।আমার বাবাকে বুঝানো সম্ভব হবে ইন শা আল্লাহ।এখন যদি বাবার উপস্থিতিতে, মাকে না জানিয়ে বিয়ে করি,তাহলে এক্ষেত্রে মা যদি মাকে না জানিয়ে বিয়ে করার কারণে আমাকে অভিশাপ দেন,তাহলে কি এটা কবুল হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে?