আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
80 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু
১/আইফতোয়াতে এক প্রশ্নের উত্তরে দেখেছিলাম–যদি কোনো ফ্রি টাইম পাওয়া যায়,যেই সময় অফিসের কোনো কাজ নেই, সেই সময়ে ব্যক্তিগত কাজ করা যাবে, কিন্তু যদি এমন হয় যেকোনো সময় কাজ চলে আসতে পারে,তাহলে ব্যক্তিগত কাজ করা যাবে না।কিন্তু  এক্ষেত্রে যদি ফ্রি টাইমে ব্যক্তিগত কাজ করি,আর যখন কাজ চলে আসবে,তখন কাজে যাই,তাহলে কি সেটা জায়েজ হবে?নয়তো ফ্রি টাইমটা এমনি এমনি চলে যাবে।
২/ অফিস টাইমের পুরো সময় অফিসে থাকতে হবে?যদি নিজের দায়িত্বে যে কাজ আছে,সেগুলো করে দেওয়া হয় আর কাজ শেষে অফিস ত্যাগ করা হয়,তাহলে তা জায়েজ হবে?বা যদি কোনো জরুরি কাজ পড়ে যায়,যার দরুণ নিজের কাজ অন্য কারো দারা ম্যানেজ করা হয় ,তাহলে কি পুরো বেতন হালাল হবে?
৩/কাউকে সাধারণভাবে একটা কথা বললেই কি সেটা ওয়াদার অন্তর্ভুক্ত হবে?অনেক সময় আমরা কাউকে বলি যে,অমুক কাজ আমি করব ইন শাআল্লাহ বা অমুক দিন তোমার বাসায় যাব ইন শাআল্লাহ বা অমুক জিনিস তোমাকে দিব ইন শাআল্লাহ, এক্ষেত্রে এই কাজগুলো কি ওয়াদা দেওয়ার অন্তর্ভুক্ত এবং   এই কাজগুলো যদি না করা হয়, তাহলে সেটা কি ওয়াদা ভংগ হিসেবে ধর্তব্য হবে?
৪/কোনোভাবে ঘাম মুখে চলে গেলে কি রোযা ভেংগে যাবে?
৫/সৎ শাশুড়ি বা সৎ শশুড় কি গইরে মাহরাম?
৬/:আমার মায়ের দীনের বুঝ নেই।বিয়ের ক্ষেত্রে শুধু পাত্রের দুনিয়াবি যোগ্যতা দেখেন।দীনি পাত্র কিন্তু পারিবারিক অবস্থানের দিক থেকে তুলনামূলক কম হলে,সেক্ষেত্রে দীনকে ছাড় দিতে বলেন।কোনোভাবেই তাকে বুঝানো সম্ভব হচ্ছে না।আবার জোর করলে অসুস্থ হয়ে পড়েন।এদিকে দীন ঠিকভাবে পালনের জন্য বিয়ের জরুরত বোধ করছি।আমার বাবাকে বুঝানো সম্ভব হবে ইন শা আল্লাহ।এখন যদি বাবার উপস্থিতিতে, মাকে না জানিয়ে বিয়ে করি,তাহলে এক্ষেত্রে মা যদি মাকে না জানিয়ে বিয়ে করার কারণে আমাকে অভিশাপ দেন,তাহলে কি এটা কবুল হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ফ্রি টাইমে ব্যক্তিগত কাজ করার ব্যপারে যদি অফিস কর্তৃপক্ষের পক্ষ কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকে,বা মৌন সমর্থন থাকে,সেক্ষেত্রে ফ্রি টাইমে ব্যক্তিগত কাজ করতে পারবেন।

(০২)
এক্ষেত্রে অফিস কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে আসতে হবে।
নতুবা এটা জায়েজ হবেনা।

(০৩)
হ্যাঁ, এগুলো ওয়াদার অন্তর্ভুক্ত। 
এগুলো পূরন করতে না পারলে ওয়াদা খেলাফির গুনাহ হবে।

(০৪)
এক্ষেত্রে ঘামের স্বাদ জিহবায় অনুভূত হলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।

(০৫)
https://ifatwa.info/78397/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 

আল্লাহ তায়ালা বলেন-

حُرِّمَتْ عَلَيْكُمْ أُمَّهَاتُكُمْ وَبَنَاتُكُمْ وَأَخَوَاتُكُمْ وَعَمَّاتُكُمْ وَخَالَاتُكُمْ وَبَنَاتُ الْأَخِ وَبَنَاتُ الْأُخْتِ وَأُمَّهَاتُكُمُ اللَّاتِي أَرْضَعْنَكُمْ وَأَخَوَاتُكُم مِّنَ الرَّضَاعَةِ وَأُمَّهَاتُ نِسَائِكُمْ وَرَبَائِبُكُمُ اللَّاتِي فِي حُجُورِكُم مِّن نِّسَائِكُمُ اللَّاتِي دَخَلْتُم بِهِنَّ فَإِن لَّمْ تَكُونُوا دَخَلْتُم بِهِنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ وَحَلَائِلُ أَبْنَائِكُمُ الَّذِينَ مِنْ أَصْلَابِكُمْ وَأَن تَجْمَعُوا بَيْنَ الْأُخْتَيْنِ إِلَّا مَا قَدْ سَلَفَ ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ غَفُورًا رَّحِيمًا

তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতা, তোমাদের কন্যা, তোমাদের বোন, তোমাদের ফুফু, তোমাদের খালা, ভ্রাতৃকণ্যা; ভগিনীকণ্যা তোমাদের সে মাতা, যারা তোমাদেরকে স্তন্যপান করিয়েছে, তোমাদের দুধ-বোন, তোমাদের স্ত্রীদের মাতা, তোমরা যাদের সাথে সহবাস করেছ সে স্ত্রীদের কন্যা যারা তোমাদের লালন-পালনে আছে। যদি তাদের সাথে সহবাস না করে থাক, তবে এ বিবাহে তোমাদের কোন গোনাহ নেই। তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রী এবং দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করা; কিন্তু যা অতীত হয়ে গেছে। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাকরী, দয়ালু। (সূরা নিসা, ২৩)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
শরীয়তের বিধান হলো কোন মহিলার সৎ শ্বশুর অর্থাৎ তার শাশুড়ির পূর্বের স্বামী বাতার শাশুড়ীর বর্তমান স্বামী যে তার স্বামীর জন্মদাতা পিতা নয়, সে মাহরাম নয়,সে গায়রে মাহরাম।

মাহরাম হবে কেবল তার স্বামীর জন্মদাতা পিতা।

সৎ শাশুড়ি (অর্থাৎ স্ত্রীর সৎ মা) মাহরাম নয়। তার সাথে পর্দা করা জরুরি। দেখা-সাক্ষাত করা জায়েয নয়। কাজেই আপনার স্বামী তার সাথে দেখা সাক্ষাত করতে পারবে না। তবে সৎ শাশুড়ী যদি অতিশয় বৃদ্ধ হয় এবং তাদের সাক্ষাতে ফিতনার আশঙ্কা না থাকে তাহলে সাক্ষাতের অবকাশ আছে।

(০৬)
উক্ত অভিশাপ কবুল হবেনা,ইনশাআল্লাহ। 

আপনি শুধুমাত্র আপনার বাবার উপস্থিতিতে/অনুমতিতে বিবাহ করতে পারেন,এক্ষেত্রে মায়ের অনুমতি বা জানানো আবশ্যক নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...