আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
49 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ উস্তাদ
১) আমরা এবং আমাদের পরিচিত দুইজন মিলে একটা জমি কিনতে চাচ্ছেন পার্টনারশিপে,কয়েক বছর পর আরেকটু দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা যায় যেন । বিক্রি করে লাভ যা হবে যে যার বিনিয়োগ অনুযায়ী ভাগ করে নেয়া হবে।একা কেনা সম্ভব না তাই তিনজন মিলে এভাবে কিনতে চাচ্ছি।
কিন্তু তাদের দুজনের মধ্যে একজন হলেন ব্যংক অফিসার, আমার জানামতে তার আর কোন মূল ইনকাম সোর্স নেই। তার সাথে এভাবে ব্যাবসায়ীক পার্টনার হওয়া কি জায়েজ হবে?

২)আমার ননাসের হাজবেন্ড ব্যংকের সিনিয়র অফিসার। আপুরা বেড়াতে আসলে অনেক খাবার আনে, আমাকে ইদে জামা হাদিয়া দেয়।কুরবানির মাংস ও দেয় বাসায় সবাই খায়।আমি হারাম খেতে চাইনা, এক্ষেত্রে নিজে সেইফ থাকার জন্য কি করতে পারি?বাসায় বললে তারা এটাকে কোন ইস্যু মনে করবেনা

৩)আমার স্বামীর বয়স ৩৮ , বয়সের তুলনার তার চুল দাড়ি অনেক বেশি সাদা হয়ে গিয়েছে। তাই সে দাড়িতে কালো কলপ ব্যবহার করে,আমি নিষেধ করি কিন্তু সে বলে যে দেয়া যায়। এভাবে কলপ দেয়ায় কি তার ওযু গোসলে সমস্যা হচ্ছে?

1 Answer

0 votes
by (546,690 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
https://ifatwa.info/46417/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ 
ব্যবসার ক্ষেত্রে মুসলমানের জন্য উত্তম হলো নিজের জন্য শরীক হিসেবে মুসলমান,ন্যায় পরায়ন,বিশ্বস্ত ব্যাক্তিকে বানাবে।
যাতে করে তাদের ব্যবসায় বরকত হয়।
এবং যাতে করে মহান আল্লাহর অনুগ্রহে তাদের ব্যবসা লাভজনক হয়।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أبِىْ هُرَيْرَة رَفَعَه قَالَ : «إِنَّ اللّٰهَ عَزَّ وَجَلَّ يَقُولُ : أَنا ثَالِث الشَّرِيكَيْنِ مَا لَمْ يَخُنْ اَحَدُهُمَا صَاحِبَه فَإِذَا خَانَه خَرَجْتُ مِنْ بَيْنِهِمَا». رَوَاهُ أَبُوْ دَاودَ

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আমি দুই অংশীদারদের মধ্যে তৃতীয়, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা একে অপরের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করে। যখন তাদের কেউ অপরের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে, আমি তাদের মধ্যে হতে সরে পড়ি।
আবূ দাঊদ ৩৩৮৩, ইরওয়া ১৪৬৮
ইসলামী স্কলারগন বলেছেনঃ- 
إذا ثبت لديك أن المال الذي سيشاركك به صديقك حرام كله فلا تجوز لك مشاركته، أما إذا ثبت أن ماله مختلط حلاله بحرامه، فمشاركته مكروهة لا محرمة، ويتفاوت مقدار الكراهة بحسب كثرة الحرام وقلته، ولا فرق في كل ذلك بين كون المال منه أو من زوجته أو منهما معاً.
সারমর্মঃ
অংশীদারী ব্যবসার ক্ষেত্রে শরীকের সম্পদ যদি পুরাটাই হারাম হয়,তাহলে তাকে শরীক বানানো জায়েজ হবেনা।
তবে যদি তার সম্পদ হালাল হারাম মিশ্রিত হয়,তাহলে তাকে শরিক বানানো মাকরুহ।
হারাম নয়।
হারামের আধিক্যতার কারনে কারাহাতের সীমা বাড়বে।  

وقال الشيرازي في المهذب: ولا يجوز مبايعة من يُعلم أن جميع ماله حرام. انتهى.
সারমর্মঃ
যার সমস্ত সম্পদ হারাম,তার সাথে (অংশিদারী) ব্যবসা জায়েজ নেই। 

وقال الدسوقي في حاشيته على الشرح الكبير : وأما من كان كل ماله حراماً وهو المراد بمستغرق الذمة فهذا تمنع معاملته ومداينته، ويمنع من التصرف المالي وغيره، خلافاً لمن قال إنه مثل من أحاط الدين بماله فيمنع من التبرعات لا من التصرف المالي.. 
সারমর্মঃ
যার সমস্ত সম্পদ হারাম,তার সাথে (অংশিদারী) ব্যবসা করা নিষেধ।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যদি কোন মুসলিমের টাকার ইনকাম সোর্স হারাম হয়,তাহলে দেখতে হবে যে তার সমস্ত সম্পদ হারাম কিনা?
যদি পুরাটাই হারাম হয়,তাহলে তার সাথে ব্যবসা করা জায়েজ নেই।
তাকে শরীক বানানো জায়েজ নেই।

আর যদি পুরোটাই হারাম না হয়,বরং শরীকানা ব্যবসায় দেয়া সম্পদের মধ্যে তার হালাল টাকাও থাকে, তাহলে এক্ষেত্রে তার সাথে ব্যবসা করা মাকরুহ।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তার সাথে এভাবে ব্যাবসায়ীক পার্টনার হওয়া জায়েজ হবেনা।

তার সাথে জমি পার্টনারশিপে কিনতে চাইলে সেক্ষেত্রে জমির অংশ ও মালিকানা সবই আলাদা করবেন।

অর্থাৎ আপনারা যদি জমি ক্রয়ে অর্ধেক টাকা দেন,সেক্ষেত্রে ঐ জমির কোন অর্ধেক অংশ আপনাদের,সেটা নির্দিষ্ট করতে হবে,সেটার মালিকানাও নির্দিষ্ট করতে হবে,অর্থাৎ ঐ অংশের দলিল আপনাদের নামে করতে হবে 

(০২)
খাবার ব্যাতিত অন্য কিছু দিলে সেটা নিয়ে গরিব মিসকিনকে ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করবেন।
আর খাবার খেলে সেক্ষেত্রে অল্প খাবেন,এবং পরবর্তীতে খাবার সমপরিমাণ টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিবেন।

(০৩)
অযু গোসল হয়ে যাবে।
তবে কালো কলপ ব্যবহারের দরুন তার গুনাহ হচ্ছে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...