আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
67 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (23 points)
আমার প্রেগ্ন্যাসির ৩৮ সপ্তাহ চলছে। আমার আরো তিন জন সতিন আছে।সব মিলিয়ে আমি এক প্রকার টক্সিক রিলেশনশিপ এ আছি।

আমার স্বামী আমার প্রতি যত্নশীল এবং আমার প্রতি আকর্ষণ বেশি,যদিও উনি আমার কাছে কম আসেন, আমি আমার সন্তানের জন্য উত্তম উত্তম দুয়া করি এবং আশা রাখি সেগুলো কবুল হয়েছে।

আমি চাই আমার সন্তান যেনো আমাদের হেদায়েতের উসিলা হয়।আমাদের সম্পর্ক যেন ওর উসিলায় রহমত ও বরকতপূর্ণ হয়।একে অপরের প্রতি বিশ্বাস শ্রদ্ধা এসব মজবুত হয়।

আমি প্রায় ই স্বপ্নে দেখতাম আমার বাচ্চা ডেলিভারি হচ্ছে।

গত পরশুদিন হয়তো দেখলাম আমাকে একটি সাপ চোবল দিয়েছে।

গতকাল রাতে আমি এশার স্বলাতের জন্য অযু করে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। খুব ক্লান্ত ছিলাম।

রাত দেড়টায় আমার ঘুম ভাঙ্গে, স্বপ্নে দেখি আমি আমার স্বামীর থেকে টাকা নিয়েছি ডাক্তার দেখানোর জন্য সেখানে অনেক মানুষ ছিলো আশেপাশে। আমি উনার উপর অভিমান করে ছিলাম,তাই সচারাচর আমাদের মান অভিমানে যেমন আচরণ করি তেমনটাই ছিলাম।

হঠাৎ দেখলাম আমি মক্কায় সেখানে আর কেউ নেই তিনজন মানুষ আমাকে তাড়া করছিলেন এবং তারা উন্মাদ হয়ে আছে।আমি দৌড়ে পালাচ্ছিলাম হঠাৎ নিজেকে কা'বা ঘরের উপরে আবিষ্কার করলাম।আমি নিচে তাকালাম এবং সেখানে ওই তিন জন ছাড়া আর কাউকেই দেখতে পেলাম না।তার আমার দিকে তাকিয়েছিলো।আমার চোখ খুলে গিয়েছে সাথে সাথে। এবং কোন স্বপ্ন দেখে আমার কখনো খারাপ অনুভব হয় নি, মনে হয়েছিলো সব ভালো স্বপ্ন দেখেছি। বলে রাখি গত বছর আমার একটি পুত্র সন্তান মদিনায় আমার গর্ভে মারা যায় তাকে জান্নাতুল বাকি তে দাফন করা হয়। তার উসিলায় আমার স্বামীর সাথে আমার সম্পর্ক স্থায়ী হয় আলহামদুলিল্লাহ। তখন আমার একজন শুধু একজন সতিন ছিলো এবং জুলুম বেইনসাফির মাত্রা অনেক অনেক বেশিই ছিলো।

দয়া করে ভালো ব্যাখ্যা দিবেন,ব্যাখ্যা খারাপ হলে বলার প্রয়োজন নেই।

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার। 
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।

তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
 ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়। 

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। 
,

হাদীস শরীফে এসেছে  

خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ يَقُوْلُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ الرُّؤْيَا مِنْ اللهِ وَالْحُلْمُ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِذَا رَأٰى أَحَدُكُمْ شَيْئًا يَكْرَهُه“فَلْيَنْفِثْ حِينَ يَسْتَيْقِظُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَيَتَعَوَّذْ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّه“وَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَإِنْ كُنْتُ لأَرَى الرُّؤْيَا أَثْقَلَ عَلَيَّ مِنَ الْجَبَلِ فَمَا هُوَ إِلاَّ أَنْ سَمِعْتُ هٰذَا الْحَدِيثَ فَمَا أُبَالِيهَا.

আবূ ক্বাতাদাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, আর মন্দ স্বপ্ন হয় শয়তানের তরফ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু স্বপ্ন দেখে যা তার কাছে খারাপ লাগে, তা হলে সে যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠে তখন সে যেন তিনবার থুথু ফেলে এবং এর ক্ষতি থেকে আশ্রয় চায়। কেননা, তা হলে এটা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। 

আবূ সালামাহ বলেনঃ আমি যখন এমন স্বপ্ন দেখি যা আমার কাছে পাহাড়ের চেয়ে ভারি মনে হয়, তখন এ হাদীস শোনার ফলে আমি তার কোন পরোয়াই করি না। [বুখারী ৫৭৪৭ মুসলিম পর্ব ৪২/হাঃ ২২৬১, আহমাদ ২২৭০৭] 

https://ifatwa.info/30990/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  

ইবনে সিরিন রহঃ বলেন,

فإن رأى حية تمشي خلفه فإنّ عدوه يريد أن يمكر به فإن مشت بين يديه أو دارت حوله فإنّهم أعداء يخالطونه

যদি কেউ স্বপ্নে সাপ দেখে যে,তার পিছু পিছু ছুটছে,তাহলে এর অর্থ হল,ঐ ব্যক্তির শত্রুরা তার সাথে শত্রুতা করা জন্য চেষ্টা করতেছে।আর যদি কেউ দেখে যে তার হাতের সামনে বা তার আশপাশে সাপ ঘুর ঘুর করতেছে,তাহলে এর অর্থ হলো,ঐ ব্যক্তির শুত্রুরা তার পাশেই রয়েছে ঘনিষ্টজনদের মধ্যে। (তাফসিরুল আহলাম-ইবনে সিরান-২/৪)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি সাপ স্বপ্নে দেখেছেন,এর অর্থ হলো,আপনার ঘনিষ্টজনদের মধ্য থেকে কেউ আপনার সাথে শুত্রতার চেষ্টা করতেছে।যেহেতু সাপ আপনাকে কামড় দিয়ে দিতে পারেনি, তাই শত্রুরা আপনার ক্ষতি করতে পারবেনা,ইনশাআল্লাহ। 

তবে আপনার প্রতি নসিহা হল,আপনি ফরয ওয়াজিব বিধানকে গুরুত্বসহকারে পালন করবেন।সামর্থ্যানুযায়ী গরীব-মিসকিনকে কিছু দান করবেন।

আর নিম্নোক্ত দুআ পড়বেন।
আল্লাহুম্মা ইন্না নাজআলুকা ফি নুহুরিহিম,ওয়া নাউযুবিকা মিন শুরুরিহিম।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার আবারো হজ্ব/উমরাহ এর সুযোগ মিলবে,ইনশাআল্লাহ। 
আপনি হয়তোবা নিজেকে নিয়ে নিজের সন্তানকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করেন,সুতরাং চিন্তিত না হওয়ার পরামর্শ থাকবে,ইনশাআল্লাহ কোনো সমস্যা হবেনা।
,
স্বপ্নের কথা কাউকে বলবেননা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...