আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
দুঃখিত,আসলে আমি একমাসে আমি ৪ টা প্রশ্ন করে ফেলেছি,কিন্তু আমার এই বিষয় গুলো জানা জরুরি দরকার,তাই অন্য একাউন্ট থেকে প্রশ্ন করতেছি,এটা কারো হক নষ্ট হয় তাহলে উত্তর দিবেন না,আর ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

১.আমার পরিবার থেকে গ্রামে যেতে বলতেছে,গ্রামে গেলে অনিচ্ছা সত্বেও বিভিন্ন পাপে জড়াতে হবে,যেমন নন মাহরাম এর সামনে পড়া,মাহরাম ছাড়া যাতায়াত,পাত্র পক্ষের সামনেও যেতে হতে পারে,কিন্তু আব্বু আম্মু যাওয়ার জন্য জোর করতেছে যাওয়া কি উচিত হবে?

২.আলহামদুলিল্লাহ আমার ভাই এর বয়স প্রায় ১৪ বছর এর মত,কিন্ত সে এখনো একা দূরে যাতায়াত করতে পারে না,তাকে নিয়ে কি সফর করা যাবে? মানে সে কি দায়িত্ব পালন করতে পারবে?

৩.আলহামদুলিল্লাহ,আমার পিরিয়ড শেষ হওয়ার ১০ দিন পর ও সাদাস্রাব দেখা যায় না,লালচে স্রাব থাকে,তাই আমি কি ১০ দিন পূর্ণ করেই নামাজ পড়বো?

৪.আলহামদুলিল্লাহ,১৮ তারিখ এশার ওয়াক্তে পিরিয়ড হলে নামাজ কত তারিখ কোন ওয়াক্তে শুরু করতে হবে?আর আগের এশার নামাজ কি কাযা পড়তে হবে?

৫.বিভিন্ন হোমিও বা এলোপ্যাথি ওষুধে হারাম উপাদান থাকতে পারে,আমরা সেটা জানিনা,এক্ষেত্রে কি করণীয়?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
আপনি গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার পূর্ণ হিম্মত আর ইচ্ছা নিয়ে যেতে পারবেন।
তবে সেখানে গেলে নিশ্চিত ভাবে হারাম কাজ হবেই,এটা আগে থেকে জেনে থাকলে সেক্ষেত্রে যাবেননা।

(০২)
হ্যাঁ, তাকে নিয়ে আপনি সফর করতে পারবেন।

(০৩)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ৩ তিন,আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হাদীস শরীফে এসেছে   
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
دار قطني، السنن، 1: 219، رقم: 61
রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
১০ হলেও যদি লালচে স্রাব থাকেই,সেক্ষেত্রে পূর্বের মাসের অভ্যাস অনুযায়ী হায়েজ ধরবেন।
অতিরিক্ত দিন গুলো ইস্তেহাজা ধরবেন।
আর যদি আপনার হায়েজ অনিয়মিত হয়,বা পূর্বের মাসেও এভাবে ১০ দিন হায়েজ আসে,সেক্ষেত্রে আপনি ১০ দিন হায়েজ ধরবেন। ১১ তম দিন থেকে নামাজ আদায় শুরু করবেন।

আরো জানুনঃ- 

(০৪)
১৮ তারিখ এশার ওয়াক্তে পিরিয়ড হলে ২৮ তারিখ ঈশার ওয়াক্ত হতে নামাজ শুরু করতে হবে।
আর আগের এশার নামাজ এর কাযা পড়তে হবেনা।

(০৫)
নিশ্চিত ভাবে হারাম উপাদানের বিষয়টি জানা না গেলে সেই ঔষধ খাওয়া যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...