আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
47 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১) কোনো মেয়ের পরিবারে পর্দা বলতে শুধু শালীন পোশাক বোঝে, দ্বীনদারীতা বলতে শুধু ৫ ওয়াক্ত নামাজ,  রোজা বোঝে। মেয়েটা দ্বীন সম্পর্কে এতো বেশি জানেনা, পর্দা এখনও  মাহরাম, নন মাহরাম বাসায় মেইনটেইন করতে পারেনা। কিন্তু সে এ সম্পর্কে জানে এবং পরিপূর্ণ পর্দা করার ইচ্ছা রাখে। বিয়ের ক্ষেত্রে এখন সে কিভাবে কি করবে। বাসায় পাত্রপক্ষকে ছবি দেওয়ার জন্য প্রেসার দেওয়া হচ্ছে। যেহেতু সে নিজে পরিপূর্ণ পর্দা করতে পারছে না তাই জোর দিয়ে কিছুই বলতে পারছে না। জেনারেল পড়ুয়া বলে কেউ তার ছবি না দিতে চাওয়া টা স্বাভাবিক ভাবে নিচ্ছে না।  বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্রের দ্বীনদারিতা কিভাবে বোঝা যায়? মেয়েটার এখন করনীয় কি একটু বলবেন। সে কি শুধু মুখ দেখা যায় এমন কোনো ছবি দিতে পারবে?

২)  অন্ধকার সময়ের নামাাজ গুলো নাকি ঘর আলোকিত করে পড়তে হয় এ বিষয়ে একটু বলবেন। নামাজ পড়ার সময় ঘরে কতটুকু আলো থাকা উচিত।

1 Answer

0 votes
by (709,160 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
https://ifatwa.info/69086/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
শরীয়তের বিধান হলো বিবাহের পূর্বে পাত্রিকে দেখা জায়েজ আছে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ     

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِىِّ ﷺ فَقَالَ : إِنِّىْ 
تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً مِنَ الْأَنْصَارِ قَالَ : «فَانْظُرْ إِلَيْهَا فَإِنَّ فِى اعْيُنِ الْأَنْصَارِ شَيْئًا».

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন জনৈক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলল যে, আমি জনৈকা আনসারী নারীকে বিয়ে করার ইচ্ছা করেছি (আপনার কী অভিমত?)। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, (বিয়ের পূর্বে) তাকে দেখে নাও। কেননা, আনসারী নারীদের চক্ষুতে কিছু দোষ থাকে।
(মুসলিম ১৪২৪, নাসায়ী ৩২৪৬, আহমাদ ৭৮৪২, সহীহাহ্ ৯৫ মিশকাত ৩০৯৮।)

عَنْ جَابِرٍ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «إِذَا خَطَبَ أَحَدُكُمُ الْمَرْأَةَ فَإِنِ اسْتَطَاعَ أَنْ يَنْظُرَ إِلٰى مَا يَدْعُوهُ إِلٰى نِكَاحِهَا فَلْيفْعَلْ»

জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন কোনো নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেবে, আর যদি তার পক্ষে এমন কোনো অঙ্গ দেখা সম্ভব হয় যা বিবাহের পক্ষে যথেষ্ট, তখন তা যেন দেখে নেয়। 

(আবূ দাঊদ ২০৮২, সহীহাহ্ ৯৯, আহমাদ ১৪৫৮৬, ইরওয়া ১৭৯১, সহীহ আল জামি‘ ৫০৬।)

★ইসলামে পাত্র-পাত্রীর সরাসরি দেখার অনুমতি দেয়া হয়েছে,ছবির মাধ্যমে নয় ।
কারণ- একেতো বিনা প্রয়োজনে ছবি তোলা, ব্যবহার ও
আদান-প্রদান শরীয়তে নিষিদ্ধ ।
তাছাড়া ছবিতে বাস্তব অবস্থা পুরোপুরি যাচাই সম্ভব নয় ।
অধিকন্তু পাত্রের নিকট ছবি পাঠানোর দ্বারা বারবার তার জন্য বেগানা নারীকে দেখার সুযোগ করে দেয়া হয়।
যেটি নাজায়েজ। 
 
অথচ বিবাহের উদ্দেশ্যে পাত্র পাত্রীকে বারবার
দেখার বৈধতা নেই ।
তাছাড়াও এ ছবি পাত্র ব্যতীত অন্যকোন পুরুষও দেখতে পারে ।
অথচ শরীয়তের দৃষ্টিতে তা জায়িয নয় । এ সকল কারণে ছবির মাধ্যমে পাত্রী দেখা বা
পাত্রীর ছবি পাত্রের নিকট পাঠানো ইসলামের
দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ ।
{সূত্রঃ রদ্দুল মুখতার, ৬ : ৩৭০}

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে পাত্রপক্ষকে ছবি দেয়া কোনোভাবেই জায়েজ হবেনা।

এক্ষেত্রে যদি পারিবারিক চাপে ছবি দিতেই হয়,সেক্ষেত্রে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন,ইস্তেগফার পাঠ চালিয়ে যাবেন।

★পাত্র দ্বীনদার কিনা,সেটা যাচাইয়ের জন্য সে নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে কিনা? রমজানে পুরো মাস রোযা রাখে কিনা? পাত্রের কমপক্ষে এক মুষ্ঠি দাড়ি আছে কিনা? পাত্র গায়রে মাহরাম মেইনটেইন করে চলে কিনা? পাত্র ধুমপান করে কিনা? পাত্রের পরিবারে শরয়ী পর্দার পরিবেশ আছে কিনা? পাত্রের ইনকাম হালাল কিনা? এসব বিষয়ে সঠিকভাবে তথ্য নিবেন।

(০২)
অন্ধকার স্থানে নামায পড়তে কোন সমস্যা নেই।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

তবে নামাজের ঘরে এই পরিমান আলো রাখা ভালো,যাতে বুঝা যায় যে সেজদার স্থানে কোনো পোকামাকড়,পাথর আছে কিনা,সেই রুমে কোনো গায়রে মাহরাম আসছে কিনা,ইত্যাদি জানার জন্য।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...