আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
97 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (27 points)
১ শায়খ আমার প্রশ্ন হলো আমার একজন জমজ ভাই আছে। আসলে ছোটবেলা থেকেই আমরা একসাথে এই কারণে আমাদের একসাথে চলতে ভালো লাগে তবে ছোটবেলায় আমাদের অনেক মারামারি হতো। শায়খ যদিও আমরা দুজনই মাদ্রাসায় পড়েছি। আমি এখনও পড়ছি( সে আমার ছোট কিন্তু আপাতত পড়ালেখা করেনা)।দুজনই ইসলাম অনুযায়ী চলার চেষ্টা করি কিন্তু তার রাগের কারণে তার সঙ্গে মিশতে পারিনা। ওকে আমি ভালো উপদেশ দিলে ও রেগে যায় । শায়খ সত্য বলতে চেঁচামেচি, হাতাহাতি এই বিষয়গুলো থেকে আমি আমার আমার জীবনে الله এর অনুগ্রহে অনেক দূরে আছি । আমার এই ভাইটা অনেক বদমেজাজি ওর সঙ্গে দুই একদিন কথা বললেই বড়ধরনের মারামারি বেঁধে যায়। যাদের সঙ্গে থাকলে আমার গুনাহ হয় তাদের থেকে দূরে আমি চলে যাই। কিন্তু আমার আপন ভাই হওয়ার কারণে একেবারে কথা না বললে গুনাহ হবে নাকি এই চিন্তা থেকে ওর সঙ্গে মিশতে যাই। অনেক গুনাহ থেকে الله এর রহমতে বেঁচে আছি। ওর সাথে সঙ্গ গ্রহণ করলেই গুনাহ হয়।একজন আলেম বলেছিল সালাম হলেও চালিয়ে যেতে একেবারে সম্পর্ক ভাঙ্গা যাবেনা। শায়খ ওর সঙ্গে একটু কথা শুরু করলে যেমন: দৈনন্দিন জীবনের কথা লাইট বন্ধ করো, ফ্যান বন্ধ করো, এই কথা গুলো বলা শুরু করলে সে আমার সাথে আরো কথা বলা শুরু করে সে বলে এখন মারামারি হবেনা আমরা carefully কথা বলবো কিন্তু পড়ে তার রাগের কারণেই সমস্যা হয়। ওর সঙ্গে কথা বলা শুরু হলেই আমিও দুইতিন দিন পরই একটা বড় ধরনের মারামারি জিনিস পত্র ছোড়াছুড়ি হয়। আমার আম্মুও ওর সঙ্গে আমাকে মিশতে মানা করে। আমি ওর সঙ্গে অনেক দিন কথা বন্ধ রেখেছিলাম ঘরে মারামারি হয়নি। শায়খ নিজেকে পাপ থেকে বাঁচানোর জন্য ওর সঙ্গে কথা বন্ধ করে দেয়া শরীয়তের দিক দিয়ে বৈধ হবে?

২ শায়খ পেশাব পায়খানা (বীর্য নয়)থেকে পবিত্র না হয়ে ঘুমিয়ে থাকা শুয়ে থাকা বা বসে থাকা কি পাপের কাজ?

৩শায়খ চাদর বা কোম্বল দিয়ে ঘুমানোর বা বিশ্রাম নেয়ার উদ্দেশ্যে সারা শরীর ঢাকলে টাখনুও ঢাকা হয় এতে পাপ হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
কোনো মুসলিমের সাথে তিন দিনের বেশি কথা বন্ধ রাখা জায়েজ নেই।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، وَأَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ السَّرْخَسِيُّ، أَنَّ أَبَا عَامِرٍ، أَخْبَرَهُم حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ هِلَالٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا يَحِلُّ لِمُؤْمِنٍ أَنْ يَهْجُرَ مُؤْمِنًا فَوْقَ ثَلَاثٍ، فَإِنْ مَرَّتْ بِهِ ثَلَاثٌ، فَلْيَلْقَهُ فَلْيُسَلِّمْ عَلَيْهِ، فَإِنْ رَدَّ عَلَيْهِ السَّلَامَ فَقَدِ اشْتَرَكَا فِي الْأَجْرِ، وَإِنْ لَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ فَقَدْ بَاءَ بِالْإِثْمِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো ঈমানদারের জন্য বৈধ নয়, সে কোনো ঈমানদারের সঙ্গে তিন দিনের বেশি সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন রাখবে। অতঃপর তিন দিন অতিবাহিত হওয়ার পর উভয়ে দেখা হলে একজন সালাম দিলে এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি তার সালামের উত্তর দিলে উভয়ই সালামের সাওয়াব পাবে। আর দ্বিতীয়জন সালামের উত্তর না দিলে গুনাহগার হবে। ইমাম আহমাদ এর বর্ণনায় রয়েছেঃ সালামদাতা সম্পর্কচ্ছেদের গুনাহ থেকে মুক্ত হবে।
(আবু দাউদ ৪৯১২)
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তার সাথে একদম কথা বলা বন্ধ করা যাবেনা। কমপক্ষে ২ দিন পরপর হলেও আপাতত সালাম চালিয়ে যাবেন।
মারামারি ঝগড়াঝাটি এড়াতে অন্য কথা না বলারই পরামর্শ থাকবে। 
শুধুমাত্র সালাম। 

(০২)
এক্ষেত্রে নামাজ আদায় পর্যন্ত পবিত্র হওয়া হতে যদি দেড়ি করা হয়,সেক্ষেত্রে ঘুমিয়ে থাকা শুয়ে থাকা বা বসে থাকা গুনাহের কাজ নয়।

তবে শরীর নাপাক হয়ে গেলে বিনা ওযরে দেড়ি না করে পবিত্র হয়ে যাওয়াই উত্তম।

(০৩)
এতে গুনাহ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...