আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
24 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আমি একজন ফ্রিল্যান্সার। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য একটা মার্কেটপ্লেস আছে ফাইবার। যেটি একটি ইজরায়েল ভিত্তিক মার্কেটপ্লেস। এখানে বিভিন্ন দেশের ক্লাইনদের সাথে কাজ করার সুযোগ রয়েছে কিন্তু প্রতিটি কাজ করার সাথে সাথে এই মার্কেটপ্লেসকে ২০% করে দিতে হয়।

প্রশ্নঃ

১. এখন এই টাকাটা তো তাদের দেশের কাজে ব্যবহার হচ্ছে ধরে নিলাম তাদের মালিক এই টাকাটা খারাপ ভাবে ব্যবহার করছে না কিন্তু এই টাকাটা তো সে তাদের দেশের ভ্যাট এবং ট্যাক্স দিচ্ছে। এবং এই টাকা দিয়ে তো তারা পরবর্তী অস্ত্র কিনছে যা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে

২. সে হিসেবে কি আমিও কি গুনাহগার হবো এই মার্কেটপ্লেসে কাজ করলে কেননা এই টাকা দিয়েই তো আমাদের ভাই-বোনদেরকে হত্যা করা হচ্ছে।

অভিজ্ঞ কোনো আলেমরা একটু যদি বলতেন।

1 Answer

0 votes
by (691,520 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/25158/ ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
অমুসলিম বা ফাসিকের সাথে যৌথ ব্যবসায় জড়িত হওয়া নাজায়েয নয়।

যেমন হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,
عن عبد الله بن عمر رضي الله عنهما قال : أعطى رسول الله صلى الله عليه وسلم " خيبر " اليهود أن يعملوها ، ويزرعوها ، ولهم شطر ما يخرج منها .

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছ,রাসূলুল্লাহ সাঃ বর্ঘাচাষের ভিত্তিতে ইহুদিদেরকে খায়বারের জায়গা দিয়েছিলেন।(সহীহ বুখারী-২৩৬৬)

এটা ছিলো রাসূলুল্লাহ সাঃ এবং ইহুদিদের মধকার যৌথকারবার।উক্ত চুক্তিতে জমি ছিলো রাসূলুল্লাহ সাঃ এর।এবং কাজ ছিলো ইহুদিদের।আর উৎপাদিত ফসল ছিলো উভয়ের মধ্যে সুনির্দিষ্টভাবে  বন্টিত।ইমাম বোখারী রাহ উক্ত হাদীসের অধ্যায়কে  নিম্নোক্ত শব্দাবলী দ্বারা নামকরণ করেন, '' ইহুদি এবং যিম্মিদের সাথে মুসলমানের যৌথকারবার ''

অমুসলিমের সাথে এমন ব্যবসা নাজায়েয যা অমুসলিমের সাথে মহব্বত সৃষ্টি করে দিতে পারে।যদি অমুসলিমের সাথে যৌথ ব্যবসা-বানিজ্য করা হয়,তাহলে নিজে নেগরানি করতে হবে।যাতে ঐ অমুসলিম কোনো প্রকার হারাম বা সুদের অনুপ্রবেশ এতে না ঘটায়।এবং সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে তার সাথে আন্তরিকতা সৃষ্টি না হয়।কেননা কাফিরের সাথে আন্তরিকতা জায়েয নয়।এবং সেদিকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে যে,যাতে করে ঐ অমুসলিমের পাল্লায় পড়ে বা তার কুমন্ত্রণায় প্রভাবিত হয়ে শরীয়ত বিরোধী কোনো কাজে লিপ্ত না হতে হয়।তবে সর্বাবস্থায় মুসলিমের সাথে ব্যবসা করাই নিজ ঈমান আ'মলের জন্য নিরাপদ।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ফাইভার এ আপনি যে কাজ করছেন,কাজ যদি হালাল হয়,সেক্ষেত্রে আপনার কাজ ও ইনকাম উভয়টিই হালাল হবে।

এটিকে নাজায়েজ বা হারাম বলা যাবেনা।

কাজ বৈধ হলে ইনকাম জায়েজ হবে।
কাজ হারাম হলে ইনকাম হারাম হবে।
নাজায়েজ পদ্ধতিতে ইনকাম বৈধ হবেনা।

তবে ঈমানের দাবিতে এসব সেক্টরে কাজ না করে অফলাইনে মাঠে ময়দানে চাকুরী, ব্যবসা বানিজ্য করাই হলো সতর্কতা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...