আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (24 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহ মাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ।
উস্তাদ
আমাদের বাড়িতে কুঁয়োর মত কিছু একটা আছে।এটাতে নাকি আমাদের বাড়ির প্রায় সবার ভাগ আছে।এটাতে কেউ মাছ চাষ করেনা।আমার আম্মু সেখান থেকে ২ টা মাছ ধরেছে।মাছ ২ টা ছোট মাছ। বড় মাছ নয়।আর এই মাছ গুলা কেউ চাষ করেনি।এই কুঁয়োতে কেউ মাছ চাষ করেনা।এই মাছ গুলা কুঁয়োতে এমনি এমনি হয়।এখন এই মাছের তরকারি কি আমি খেতে পারবো?আমার জন্য হালাল হবে?

আরেকটা প্রশ্ন,
কারো মাছের প্রজেক্ট থেকে আমার বাবা যদি মালিকের অনুমতি
না নিয়ে এমন মাছ ধরে আনে যে মাছ উক্ত প্রজেক্টের মালিক চাষ করেনি।বরং মাছ গুলা সেখানে বিনা চাষেই হয় তাহলএ সেই মাছ আমরা খেতে পারবো?

1 Answer

0 votes
by (721,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)
এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯) আরো জানুন- 3747

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১) মাছ চাষ করা হোক বা এমনিতেই সেখানে জন্ম নেক, কুঁয়োর সকল মালিকের মৌন সম্মতি যদি থাকে, অর্থাৎ যে কেউ এখান থেকে মাছ ধরতে পারে, কারো পক্ষ থেকে বিধিনিষেধ না থাকে, তাহলে আপনারা ঐ মাছ খেতে পারবেন।নতুবা অন্য মালিকদের অনুমতি ব্যতিত খেতে পারবেন না।
(২) কারো মাছের প্রজেক্ট থেকে মালিকের অনুমতি ব্যতিত এমন মাছ ধরে নিয়ে আসলে, যে মাছ উক্ত প্রজেক্টের মালিক চাষ করেনি।বরং মাছ গুলা সেখানে বিনা চাষেই হয়েছে। তাহলে সেই মাছও খাওয়া যাবে না,জায়েয হবে না। হ্যা, এমন মাছ সম্পর্কে মালিকের মৌখিক বা মৌন সম্মতি থাকলে, তখন সেই মাছ খাওয়া জায়েয হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...