আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
37 views
in পবিত্রতা (Purity) by (3 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা খুব জরুরি।

১।গত ২ দিন আগে মাঝরাতে আমার ঘুম ভেংগে যায় তখন লুংগি ভেজা অনুভব এবং লুংগি চেক করে কিছুই পাই নি।কিছুক্ষণ পর আবার চেক করে ও কিছুই পাই নি।সকালে কয়েক বার চেক করেও লুংগিতে কোন দাগ পাইনি।এখন ধরে নিব আমার স্বপ্নদোষ হয়নি?

২।আজকে স্বপ্নদোষ হলে শরীরে কয়েক বার সাবান দিয়ে গোছল করি। গোছল শেষে দেখি শরীরে সাদা সাদা দাগ হয়ে আছে। এতে কোন অসুবিধা হবে মানে শরীর কি নাপাক রয়ে গেছে?

৩।শরীরের ঘাম কি নাপাক?

1 Answer

0 votes
by (685,320 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
এমতাবস্থায় স্বপ্নে আপনি সেরকম কিছু দেখে না থাকলে আপনি ধরে নিবেন যে আপনার স্বপ্নদোষ হয়নি।

উল্লেখ্য, এক্ষেত্রে কোনোক্রমেই আপনার উপর গোসল ফরজ হবেনা। 

(০২)
এ সাদা দাগ গুলি আসলে কি?
এটা যদি নাপাক কিছু হয়,সেক্ষেত্রে শরীর পাক হয়নি। 
নাপাকি দূর করতে হবে।

আর যদি সেই সাদা দাগ গুলি নাপাক কিছু  না হয়,সেক্ষেত্রে ভালোভাবে নাপাকি লেগে থাকা স্থান কচলিয়ে ধোয়ার পরও এসব সাদা কিছু থাকলে সেক্ষেত্রে আপনার শরীর পাক বলেই ধরে নিবেন।

(০৩)
মানুষের ঘাম নাপাক নয়।(আল বাহরুর রায়েক ১/৩৪৮; মাবসূতে সারাখসী ১/১৩৮)

শরীয়তের বিধান মতে জানাবত অবস্থার ঘাম নাপাক নয়।
(ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ ১/২৩৯,জামিউল ফাতওয়া ৩/৫৭০)
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، وَبِشْرٌ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ بَكْرٍ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ لَقِيَنِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي طَرِيقٍ مِنْ طُرُقِ الْمَدِينَةِ وَأَنَا جُنُبٌ فَاخْتَنَسْتُ فَذَهَبْتُ فَاغْتَسَلْتُ ثُمَّ جِئْتُ فَقَالَ " أَيْنَ كُنْتَ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ " . قَالَ قُلْتُ إِنِّي كُنْتُ جُنُبًا فَكَرِهْتُ أَنْ أُجَالِسَكَ عَلَى غَيْرِ طَهَارَةٍ . فَقَالَ " سُبْحَانَ اللهِ إِنَّ الْمُسْلِمَ لَا يَنْجُسُ " . - صحيح 

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, মদীনার এক রাস্তায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে আমার সাক্ষাত হয়। আমি তখন নাপাক অবস্থায় ছিলাম। তাই আমি পিছনে হটে গিয়ে গোসল করে আসলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আবূ হুরাইরাহ্! তুমি এতক্ষণ কোথায় ছিলে? আমি বললাম, আমি নাপাক ছিলাম বিধায় অপবিত্র অবস্থায় আপনার সাথে বসা অপছন্দ করলাম। তিনি বললেনঃ সুবহানাল্লাহ! মুসলমান (কখনো) অপবিত্র হয় না।
বুখারী (অধ্যায়ঃ গোসল, অনুঃ জুনুবী ব্যক্তির ঘাম, নিশ্চয় মুসলিম অপবিত্র নয়, হাঃ ৩৮৩), মুসলিম (অধ্যায়ঃ হায়িয, অনুঃ মুসলমান অপবিত্র হয় না তার প্রমাণ)
আল-জামি‘উস সাগীর ৬১১৭, ইরওয়া ১৯৩,আবু দাউদ ২৩১)

وحکم عرق کسور (درمختار) فسور آدمی مطلفا ولو جنبا او کافر اا لخ ظاھر (الدر المختار علی ہامش ردالمحتارمطلب فی السور ج۱ ص ۲۰۵۔ط۔س۔ج۱ص۲۲۲)ظفیر۔
,
সারমর্মঃ মানুষের ঘামের বিধান মানুষের ঝুটার ন্যায়, সুতরাং মানুষের ঝুটা যদিও সে নাপাকি হালতে হোক,অথবা কাফের হোক,পাক।
  
وفی مبسوط السرخسی:(وَإِذَا عَرَقَ الْجُنُبُ، أو الْحَائِضِ فِي ثَوْبٍ لَمْ يَضُرَّهُ) لِمَا رُوِيَ «أَنَّ النَّبِيَّ - صلي الله عليه وسلم - كَانَ يَأْمُرُ الْحَائِضَ مِنْ نِسَائِهِ بِالِاتِّزَارِ، ثُمَّ كَانَ يُعَانِقُهَا ۔۔۔۔۔، وَالْحَرُّ حَرُّ الْحِجَازِ فَكَانَا يَعْرَقَانِ لَا مَحَالَةَ، وَلَمْ يَتَحَرَّزْ رسول الله - صلي الله عليه وسلم - مِنْ عَرَقِهَا»، وَلِأَنَّهُ لَيْسَ عَلَى بَدَنِ الْإِنْسَانِ الْجُنُبِ، وَالْحَائِضِ نَجَاسَةٌ عَيْنِيَّةٌ فَهُوَ وَأَعْضَاءُ الْمُحْدِثِ سَوَاءٌ.(المبسوط للسرخسي ج 1ص70)
সারমর্মঃ যদি জুনুবি ব্যাক্তি ঘেমে যায়,অথবা হায়েজাহ মহিলা ঘেমে যায়,তাহলে কোনো সমস্যা নেই।,,,

মানুষের ঘাম পাক। তবে তার সাথে নাপাক বস্তুর মিশ্রণ ঘটলে নাপাক হয়ে যায়। এই ঘাম কোন পাক জিনিসের সাথে লাগলে তাও নাপাক হয়ে যাবে।
(কিতাবুন নাওয়াযিল ৩/১৫৩)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (3 points)
সাদা সাদা দাগ গুলা সাবানের দাগ ছিল
by (685,320 points)
এক্ষেত্রে আপনার শরীর পাক বলেই ধরে নিবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+2 votes
1 answer 1,097 views
...