আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
23 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
হুজুর প্রশ্নটা আমার মামাতো বোনের। দয়া করে উত্তর টা দিবেন।।বোন খুব টেনশনে আছে।।কারো থেকে মাসালা জানতে পারছে না।।।তার কোন ওয়াসওয়াসা নেই

১।।।।বোনের স্বামী বোনের সাথে ফোনে কথা বলার সময় বলতেছে কেউ যদি চলে যায় তাহলপ তাকে থাকার জন্য বলবে না সেটা তার বাবা হলেও। তখন বোন বলিতেছে আমি যদি চলে যায় তখন বোনের স্বামী বলতেছে যদি কথার অর্থ নেই।।বোন বলতেছে আমি যদি বলি চলে যাব  তখন তো আপনি বলে দিবেন  যাওগা,,তখন বোনের স্বামী বলছে হ্যা অথবা না বলো যাবা কি না? তখন বোন বলছে চলে যাবো এখন কি বলবেন বলেন,,তখন বোনের স্বামী বলে তোমাকে যেতে দিব না,,তুমি মন থেকে বলো নি।।তখন বোন বলতেছে তালাক দিয়ে দেন চলে যাই,,,তখন বেনের মনে হয়েছে তার স্বামী বলছে আচ্ছা,,, বাট বোনের স্বামী বলে সে আচ্ছা বলে নি,,বোন নাকি ভুল শুনছে,,আর বলে আচ্ছা বলে থাকলেও নাকি তালাকের জন্য বলেনি শুনছি কিংবা বুঝছি এটা নাকি বুঝায়ছে।। আচ্ছা যদি বলেও থাকে তাহলে কি সমস্যা হবে।

২৷।। সকালে বোনের স্বামী বলতেছে তুমিও তো চলে যাবা বলছো এটা তাহলে তালাকের জন্য বলছো।।বোন বলে আমি তালাকের জন্য বলিনি,,তার স্বামী বলপ তুমি তালাকের নিয়তে বলছো,, বোন বলে আমি তো নিজের উপর পতিত করি নি।।বাট বোনের স্বামী বার বার বলতেছে কোন নিয়তে বলছো,,,তখন বোন রাগে বলছে আপনাকে আমি তালাক দিছি এই উদ্দেশ্য বলছি।।আপনাকে আমি তালাক দিছি আপনার সাথে এখন আর আমার কোন সম্পর্ক নাই,,সব সম্পর্ক শেষ  আপনি আমার জন্য পরপুরুষ  এসব কথা বোন বলছে।।।বাট বোন নিজের উপর কোন তালাক পতিত করে নি।।।কিন্তু বোনের মনে নফসের উপর তালাক নেওয়ার কথা চলে আসছে।।। স্বামী যদি তামাকের  অধিকার দিয়ে থাকে তাহলে কি বোনের এসব কথায় কোন সমস্যা হবে।।

৩।।বোন তার স্বামীর সাথে কথা বলে না।।তাই বোনের স্বামী দুপুরে  মেসেজ দিয়ে বলে স্বামীর সাথে কথা না বললে তালাক হয়ে যায়।।।।তখন বোন বলছে এটা মিথ্যা কথা কথা না বললে তালাক হবে কেন।।তাও বোন তার স্বামী সাথে কথা বলে নি।।।রাতে কথা বলছে কথায় কি সমস্যা হবে।।

৪।।আরেকদিন নাকি বোন তার স্বামীকে  তালাক সম্পর্কে বুঝাতে গিয়ে বলছে, স্বামী  যদি তার বউকে বলে - আমি তোমাকে তালাক দিলাম তাহলে তালাক হয়ে যাবে।।তখন বোনের স্বামী বলে-আমি তোমাকে তালাক দিছি এটা বলছি আমি/আমি কি তেমাকে তালাক দিছি.? এই দুই ভাবের কোন এক ভাবে বলছে বাট কোনটা বলছে মনে করতে পারতেছে না।তখন বোন বললো এখন তো বললেন আমি তোমাকে তালাক দিছি।।তখন বোনের স্বামী বলে আমি তোমাকে কখন বললাম,, আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করছি যে আমি তোমাকে তালাক দিছি এভাবে  বলছি আমি।।।

কিন্তু বোনের স্বামী বলতেছে সে নাকি বলছে আমি কি তাোমাকে তালাক দিছি এভাবে বলছে।।।আচ্ছা যেভাবেই বলুক তাদের কি সমস্যা হবে।।বোনের স্বামী বোনকে উদ্দেশ্য করে বলেনি।।বোন বুঝাচ্ছিল তাই তার স্বামী বলছে আমি তোমাকে তো এভাবে বলি নি।।,,মানে সে বুঝাতে চায়ছে সে তো এই কথা বলে নি কখনো

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...