আসসালামু আলাইকুম, মুহতারাম!
সমস্যা ১: ২০২০/২০২১ সালে রমজান মাসে আমি নফসের ধোঁকায় পরে রোজা অবস্থায় হস্তমৈথুন করে ফেলি। হস্তমৈথুন করার পরে রোজা ভেঙে গিয়েছেই এখন পানি খেলে কি হবে ভেবে বাথরুমে থেকেই এক ঢক পানি খেয়ে ফেলি।
তখন সম্পূর্ণ নফসের কন্ট্রোলে ছিলাম।
সাথে সাথে গোসল শেষ করে যোহরের সালাত আদায় করে আল্লাহর কাছে কেঁদে ক্ষমা প্রার্থনা করি। এবং ইফতার পর্যন্ত পানাহার ত্যাগ করি।
(১) এখন আমি কি ১ টা রোজা রাখলে আদায় হয়ে যাবে? ৬০ জনকে খাবার দেওয়া বা ৬০ দিন টানা রোজা রাখার সামর্থ এবং পরিবেশ কোনটিই নেই।
সমস্যা ২: ২০২৩ সালে আমার মাথায় স্ক্রিন প্রবলেমের জন্যে ডাক্তার দেখানোর কথা হচ্ছিল।আমি রাজি হচ্ছিলাম না। কেননা ডাক্তারের ফি ছিল ১৫০০ টাকা।আমি আব্বুর এত টাকা খরচ করতে আগ্ৰহী ছিলাম না।আমি বলছিলাম অন্য ডাক্তার দেখাতে। এমতাবস্থায় আমি বোধহয় রাজি হয়েছিলাম ডাক্তার দেখাতে। কিন্তু একদিন আম্মু আমার পিছনে টাকা ব্যায়ের খোঁটা দিলে আমি বিষয়ে করে হলে আমি বলি,"আল্লাহর কসম আমি ঐ ডাক্তার দেখাবো না।"
কিন্তু পরবর্তীতে সময় হলে পারিবারিক জোড়াজুড়ির কারণে আমি ঐ ডাক্তার দেখাতে বাধ্য হই।যার ফলে আমার কসম ভঙ্গ হয়ে যায়।আমি এর জন্যে তওবা করেছি এবং এখন কসম করি না দৈনন্দিন জীবনকেন্দ্রীয় বিষয়ে।
(২) এখন আমার করণীয় কি?
উল্লেখ্য: আমার বর্তমান বয়স ১৯ বছর। একাদশ শ্রেণীর ছাত্র।নিজের কোন ইনকাম নেই। জমানো টাকা রয়েছে ৪০০০ হাজারের মতো।আর পূর্বের ফ্রিল্যাসিং করে আয় করা ৪১ হাজার মতো টাকা পরিবারের ঋণ হিসেবে দিয়েছি।কবে পাবো ঠিক নাই। আনুমানিক ১-২ বছর পরে পেতে পারি।বাসা থেকে ১০০০ টাকা মাসিক দেয় সেটা যাতায়াত ভাড়া এবং হাত খরচ বাবদ। সেখান থেকে অল্প কিছু জমে। সমস্যা ১ এর জন্যে ৬০ দিন টানা রোজা রাখা আমার পক্ষে সম্ভব না এবং ৬০ জনকে খাবার খাওয়ানোর সামর্থ্য নেই তা তো উপরোক্ত বক্তব্য থেকে পরিষ্কার। সমস্যা ১ এর জন্যে পরিবার থেকেও টাকা নেয়া সম্ভব না। একমাত্র ভবিষ্যতে আমার উপার্জনের ক্ষমতা হলে আদায় করতে পারব। তবে এর পূর্বে আমার মৃত্যু হলে কিভাবে কি হবে সেটা নিয়ে চিন্তিত।
অনুগ্রহ করে জবাব দিবেন।জাযাকাল্লাহু খাইরান।