আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
680 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
edited by
আমি আমার আত্মীয়কে কিছু টাকা (ধরুন দশ লাখ টাকা) ধার দিয়েছিলাম। টাকাটা নেয়ার সময় সেই আত্মীয় আমাকে বলেছিলো, "যেহেতু বিপদের সময় আমি তাকে সাহায্য করছি, তাই ফেরত দেয়ার সময় তিনি খুশি হয়ে আমাকে এক লাখ টাকা বেশি দিবেন।"

আমি কিন্তু টাকাটা ধার দেয়ার সময় নিজে থেকে কিছু চাইনি। তিনি নিজে থেকেই আমাকে বেশি দেয়ার কথা বলেছেন। এখন টাকা ফেরত নেয়ার সময়, আমার আত্মীয়কে যদি সেই খুশি হয়ে অতিরিক্ত দেয়ার কথা মনে করিয়ে দিলাম এবং প্রথমে তিনি বললেন, তিনি খুশি হয়ে ৫০ হাজার দিবেন।
আমি বললাম,  "আচ্ছা ঠিক আছে।"

তারপর তিনি বললেন, ৫০ হাজারে খুশি না তুমি ? তারপর জিজ্ঞেস করলেন, কত হলে খুশি হবা ?

আমি বললাম,  "এক লাখ দিলে ভালো হয়"।

তারপর তিনি বললেন, "ঠিক আছে। আমি এক লাখই দিবো। তোমাকে আমি অখুশি রাখবো না।"
এখন সেই অতিরিক্ত এক লাখ টাকাটা কি আমার জন্য হালাল হবে ?

1 Answer

0 votes
by (727,360 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/7485 নং ফাতাওয়ায় টাইম ভ্যালু অব মানি সম্পর্কে আলোচনা করতে যেয়ে আমরা বলেছিলাম যে,
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত
عن ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻛَﺎﻥَ ﻟِﺮَﺟُﻞٍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺳِﻦٌّ ﻣِﻦْ ﺍﻹِﺑِﻞِ ﻓَﺠَﺎﺀَﻩُ ﻳَﺘَﻘَﺎﺿَﺎﻩُ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ﺃَﻋْﻄُﻮﻩُ ، ﻓَﻄَﻠَﺒُﻮﺍ ﺳِﻨَّﻪُ ﻓَﻠَﻢْ ﻳَﺠِﺪُﻭﺍ ﻟَﻪُ ﺇِﻻ ﺳِﻨًّﺎ ﻓَﻮْﻗَﻬَﺎ ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : ( ﺃَﻋْﻄُﻮﻩُ ، ﺇِﻥَّ ﺧِﻴَﺎﺭَﻛُﻢْ ﺃَﺣْﺴَﻨُﻜُﻢْ ﻗَﻀَﺎﺀً )
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কাছে জনৈক ব্যক্তির একটি বাচ্ছা বয়সী উট পাওনা ছিলো,অতঃপর যখন সে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কাছে এসে তা চাইলো।তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের প্রতি লক্ষ্য করে বললেনঃ উনার পাওনা উনাকে বুঝিয়ে দাও।সাহাবায়ে কেরাম (সদকার মালের মধ্যে খুজে)উক্ত ব্যক্তির পাওনা কমবয়সী উট পেলেন না।বরং তার থেকে একটু বেশী বয়সী উট পেলেন।তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেনঃ তোমরা তা তাকে দিয়ে দাও,কেননা তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তিই সর্বোত্তম, যে ঋণ পরিশোধের সময় উদারতা প্রদর্শন করে।তথা অতিরিক্ত দিয়ে দেয়।(সহীহ বুখারী-২৩৯৩,সহীহ মুসলিম-১৬০০)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ
কাউকে বিনা সুদে ঋণ দেওয়া পর, যদি ঐ ঋণ গ্রহণকারী ব্যক্তি যদি নিজ পক্ষ্য থেকে সন্তুষ্টির সাথে কিছু অতিরিক্ত দিয়ে দেয়, তাহলে তা জায়েয হবে। তবে নিজের অন্তরে মুনাফার লোভ রাখা যাবে না। সুতরাং আপনার বিবরণ অনুযায়ী আপনার জন্য অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করা জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (727,360 points)
কেন নাম্বারের কি প্রয়োজন?
by
আপনার নাম্বার দিলে wahtsapp এ কয়েক টি প্রশ্ন করব 
by
আসসালামুয়ালাইকুম। ছোটবেলা না বুঝে একদিন আমার এক বন্ধুর সাইকেলের চাকার বাতাস আমি ছেড়ে দিয়েছিলাম। এখন কি সে কিয়ামতের দিন সে দাবি করতে পারবে 
by
আসসালামুয়ালাইকুম। আমার একটি মাসআলা জানা খুব জরুরী। দয়া করে আমার এই প্রশ্নের উত্তর দিবেন। আমি শুনেছি ইসলামের কোনো কাজ ছোট করে দেখলে ঈমান চলে যায়। এখন আমার প্রশ্ন হল। আমি যেকোনো নামাজের সুন্নাত পড়ার সময় নামাজে অলসতা করে সুন্নাত নামাজ আদায় করি। এবং আমি মনে মনে ভাবি যে এটা তো সুন্নাত তাই এই নামাজ যে কোন ভাবে পড়লেই হবে। এখন আমার এরকম মনে  আনার কারনে কী ঈমান চলে গেছে।
by (727,360 points)
ইসলামের কোনো বিধানকে ছোট করা বলতে, অস্বীকার বা তিরস্কার করলেই ঈমান ভঙ্গ হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...