আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
484 views
in দাফন ও জানাজা (Burial & Janazah) by (5 points)
অনেকেই করোনা ভাইরাসের কারণে মারা যেতে পারে আসন্ন দিনগুলোতে। আল্লাহ মাফ করুন। করোনা ভাইরাসে মরন হলে কি শাহাদাতের মযাদা পাবে? করোনায় যারা মারা যায়, তাদের জানাযাও হয় না, তারা কি জান্নাতে যেতে পারবে? যদি লাশ সরকার পুড়িয়ে ফেলে, তাহলেও কি জান্নাতে যেতে পারবে?

1 Answer

0 votes
by (581,940 points)

বিসমিহি তা'আলা


জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻭَﺇِﻥ ﻣَّﻦ ﻗَﺮْﻳَﺔٍ ﺇِﻻَّ ﻧَﺤْﻦُ ﻣُﻬْﻠِﻜُﻮﻫَﺎ ﻗَﺒْﻞَ ﻳَﻮْﻡِ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ ﺃَﻭْ ﻣُﻌَﺬِّﺑُﻮﻫَﺎ ﻋَﺬَﺍﺑًﺎ ﺷَﺪِﻳﺪًﺍ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﻟِﻚ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻜِﺘَﺎﺏِ ﻣَﺴْﻄُﻮﺭًﺍ
এমন কোন জনপদ নেই, যাকে আমি কেয়ামত দিবসের পূর্বে ধ্বংস করব না অথবা যাকে কঠোর শাস্তি দেব না। এটা তো গ্রন্থে লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে।
ﻭَﻣَﺎ ﻣَﻨَﻌَﻨَﺎ ﺃَﻥ ﻧُّﺮْﺳِﻞَ ﺑِﺎﻵﻳَﺎﺕِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﻛَﺬَّﺏَ ﺑِﻬَﺎ ﺍﻷَﻭَّﻟُﻮﻥَ ﻭَﺁﺗَﻴْﻨَﺎ ﺛَﻤُﻮﺩَ ﺍﻟﻨَّﺎﻗَﺔَ ﻣُﺒْﺼِﺮَﺓً ﻓَﻈَﻠَﻤُﻮﺍْ ﺑِﻬَﺎ ﻭَﻣَﺎ ﻧُﺮْﺳِﻞُ ﺑِﺎﻵﻳَﺎﺕِ ﺇِﻻَّ ﺗَﺨْﻮِﻳﻔًﺎ
পূর্ববর্তীগণ কতৃক নিদর্শন অস্বীকার করার ফলেই আমাকে নিদর্শনাবলী প্রেরণ থেকে বিরত থাকতে হয়েছে। আমি তাদেরকে বোঝাবার জন্যে সামুদকে উষ্ট্রী দিয়েছিলাম। অতঃপর তারা তার প্রতি জুলুম করেছিল। আমি ভীতি প্রদর্শনের উদ্দেশেই(কখনো কখনো) নিদর্শন প্রেরণ করি।(সূরা বনী ইসরাঈল;৫৮-৫৯)


ﻇَﻬَﺮَ ﺍﻟْﻔَﺴَﺎﺩُ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺒَﺮِّ ﻭَﺍﻟْﺒَﺤْﺮِ ﺑِﻤَﺎ ﻛَﺴَﺒَﺖْ ﺃَﻳْﺪِﻱ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﻟِﻴُﺬِﻳﻘَﻬُﻢ ﺑَﻌْﺾَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻋَﻤِﻠُﻮﺍ ﻟَﻌَﻠَّﻬُﻢْ ﻳَﺮْﺟِﻌُﻮﻥَ
স্থলে ও জলে মানুষের কৃতকর্মের দরুন বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে।আল্লাহ তাদেরকে তাদের কর্মের শাস্তি আস্বাদন করাতে চান, যাতে তারা ফিরে আসে।

ﻗُﻞْ ﺳِﻴﺮُﻭﺍ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﻓَﺎﻧﻈُﺮُﻭﺍ ﻛَﻴْﻒَ ﻛَﺎﻥَ ﻋَﺎﻗِﺒَﺔُ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻣِﻦ ﻗَﺒْﻞُ ﻛَﺎﻥَ ﺃَﻛْﺜَﺮُﻫُﻢ ﻣُّﺸْﺮِﻛِﻴﻦَ
বলুন, তোমরা পৃথিবীতে পরিভ্রমণ কর এবং দেখ তোমাদের পুর্ববর্তীদের পরিণাম কি হয়েছে। তাদের অধিকাংশই ছিল মুশরিক।(সূরা আর-রূম-৪১-৪২)


মহামারি এর প্রকৃত রহস্য কি? সে সম্পর্কে হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,

হযরত আওফ ইবনে মালিক রাযি থেকে বর্ণিত,
عن عَوْفَ بْنَ مَالِكٍ، قَالَ: أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ وَهُوَ فِي قُبَّةٍ مِنْ أَدَمٍ، فَقَالَ: " اعْدُدْ سِتًّا بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ: مَوْتِي، ثُمَّ فَتْحُ بَيْتِ المَقْدِسِ، ثُمَّ مُوْتَانٌ يَأْخُذُ فِيكُمْ كَقُعَاصِ الغَنَمِ، ثُمَّ اسْتِفَاضَةُ المَالِ حَتَّى يُعْطَى الرَّجُلُ مِائَةَ دِينَارٍ فَيَظَلُّ سَاخِطًا، ثُمَّ فِتْنَةٌ لاَ يَبْقَى بَيْتٌ مِنَ العَرَبِ إِلَّا دَخَلَتْهُ، ثُمَّ هُدْنَةٌ تَكُونُ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ بَنِي الأَصْفَرِ، فَيَغْدِرُونَ فَيَأْتُونَكُمْ تَحْتَ ثَمَانِينَ غَايَةً، تَحْتَ كُلِّ غَايَةٍ اثْنَا عَشَرَ أَلْفًا "
রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, কিয়ামতের আগের ছয়টি নিদর্শন গণনা করে রাখো।
(১)আমার মৃত্যু।(২)অতঃপর বায়তুল মুকাদ্দাস বিজয়।(৩) অতঃপর তোমাদের মধ্যে ঘটবে মহামারি, বকরির পালের মহামারির মতো।(৪) সম্পদের প্রাচুর্য, এমনকি এক ব্যক্তিকে একশ’ দিনার দেয়ার পরও সে অসন্তুষ্ট থাকবে।(৫)অতঃপর এমন এক ফিতনা আসবে, যা আরবের প্রতিটি ঘরে প্রবেশ করবে।
(৬) অতঃপর যুদ্ধবিরতির চুক্তি, যা তোমাদের ও বনি আসফার বা রোমকদের মধ্যে সম্পাদিত হবে। অতঃপর তারা বিশ্বাসঘাতকতা করবে এবং ৮০টি পতাকা উড়িয়ে তোমাদের বিপক্ষে আসবে; প্রতিটি পতাকার নিচে থাকবে ১২ হাজার সৈন্য। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩১৭৬)

হযরত উসামা ইবনে যায়েদ রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَكَرَ الطَّاعُونَ، فَقَالَ: بَقِيَّةُ رِجْزٍ، أَوْ عَذَابٍ أُرْسِلَ عَلَى طَائِفَةٍ مِنْ بني إسرائيل، فَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا فَلاَ تَخْرُجُوا مِنْهَا، وَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَلَسْتُمْ بِهَا فَلاَ تَهْبِطُوا عَلَيْهَا.
মহামারি প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, এটি আল্লাহর গজব বা শাস্তি।বনি ইসরাঈলের এক গোষ্ঠীর ওপর এসেছিল, তার বাকি অংশই হচ্ছে মহামারি। অতএব, কোথাও মহামারি দেখা দিলে এবং সেখানে তোমরা অবস্থানরত থাকলে সে জায়গা থেকে চলে এসো না। অন্যদিকে কোনো এলাকায় এটা দেখা দিলে এবং সেখানে তোমরা অবস্থান না করলে সে জায়গায় যেয়ো না। (তিরমিজি শরিফ, হাদিস : ১০৬৫)


মহামারি থেকে পরিত্রাণের উপায় কি?

(১)বেশী বেশী করে তাওবাহ-ইস্তেগফার করা-
এ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻭَﻣَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻟِﻴُﻌَﺬِّﺑَﻬُﻢْ ﻭَﺃَﻧﺖَ ﻓِﻴﻬِﻢْ ﻭَﻣَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻣُﻌَﺬِّﺑَﻬُﻢْ ﻭَﻫُﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻐْﻔِﺮُﻭﻥَ
অথচ আল্লাহ কখনই তাদের উপর আযাব নাযিল করবেন না যতক্ষণ আপনি তাদের মাঝে অবস্থান করবেন। তাছাড়া তারা যতক্ষণ ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে আল্লাহ কখনও তাদের উপর আযাব দেবেন না।(সূরা আনফাল-৩৩)

(২)প্রতিদিন সকাল-বিকাল নিম্নোক্ত দু'আ তিনবার করে পড়া।
أَبَانَ بْنَ عُثْمَانَ، يَقُولُ: سَمِعْتُ عُثْمَانَ يَعْنِي ابْنَ عَفَّانَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ قَالَ بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ، ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، لَمْ تُصِبْهُ فَجْأَةُ بَلَاءٍ، حَتَّى يُصْبِحَ، وَمَنْ قَالَهَا حِينَ يُصْبِحُ ثَلَاثُ مَرَّاتٍ، لَمْ تُصِبْهُ فَجْأَةُ بَلَاءٍ حَتَّى يُمْسِيَ»، وَقَالَ: فَأَصَابَ أَبَانَ بْنَ عُثْمَانَ، الْفَالِجُ، فَجَعَلَ الرَّجُلُ الَّذِي سَمِعَ مِنْهُ الْحَدِيثَ يَنْظُرُ إِلَيْهِ، فَقَالَ لَهُ: «مَا لَكَ تَنْظُرُ إِلَيَّ؟ فَوَاللَّهِ مَا كَذَبْتُ عَلَى عُثْمَانَ وَلَا كَذَبَ عُثْمَانُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَكِنَّ الْيَوْمَ الَّذِي أَصَابَنِي فِيهِ مَا أَصَابَنِي غَضِبْتُ فَنَسِيتُ أَنْ أَقُولَهَا»
অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় তিনবার বলবে ‘বিসমিল্লা-হিল্লাজী লা ইয়াদ্বুররু মাআসমিহি শাইউন ফিল আরদ্বি ওয়ালা ফিস সামা-ই, ওয়াহুয়াস সামী‘উল আলীম’, অর্থাৎ ‘আল্লাহর নামে, যাঁর নামের বরকতে আসমান ও জমিনের কোনো বস্তুই ক্ষতি করতে পারে না, তিনি সর্বশ্রোতা ও মহাজ্ঞানী’; সকাল হওয়া পর্যন্ত তার প্রতি কোনো হঠাৎ বিপদ আসবে না। আর যে তা সকালে তিনবার বলবে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার ওপর কোনো হঠাৎ বিপদ আসবে না। (আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৮৮)

(৩)বেশী বেশী নিম্নোক্ত দু'আ পড়া।
হযরত আনাস রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُولُ: «اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ البَرَصِ، وَالْجُنُونِ، وَالْجُذَامِ، وَمِنْ سَيِّئِالْأَسْقَامِ»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
(উচ্ছারণ)আল্লাহম্মা ইন্নি আ'উযু বিকা মিনাল বারাসি,ওয়াল-জুনুনি,ওয়াল জুযামি,ওয়া মিন সাইয়্যিল আসক্বামি।

(অর্থ) হে আল্লাহ আমাকে শ্বেত রোগ,পাগলামি, কুষ্ট রোগ,এবং জটিল-কঠিন রোগ থেকে পানাহ চাই।(সুনানে আবি-দাউদ;১৫৫৪)

(৪)
বেশী বেশী করে লা-হাওলা পড়া।

মহামারি-তে মৃত্যুবরণ কারী কি শাহাদতের মর্যাদা পাবে?

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " الشُّهَدَاءُ خَمْسَةٌ: المَطْعُونُ، وَالمَبْطُونُ، وَالغَرِقُ، وَصَاحِبُ الهَدْمِ، وَالشَّهِيدُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ "

আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, পাঁচ প্রকার মৃত শহীদ—মহামারিতে মৃত, পেটের পীড়ায় মৃত, পানিতে ডুবে মৃত, ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে মৃত এবং যে আল্লাহর পথে শহীদ হলো। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৮২৯)

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الطَّاعُونُ شَهَادَةٌ لِكُلِّ مُسْلِمٍ»

অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, মহামারিতে মৃত্যু হওয়া প্রতিটি মুসলিমের জন্য শাহাদাত। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৮৩০)

ইমাম নববী রাহ বলেন,

قَالَ الْعُلَمَاءُ الْمُرَادُ بِشَهَادَةِ هَؤُلَاءِ كُلِّهِمْ غَيْرِ الْمَقْتُولِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَنَّهُمْ يَكُونُ لَهُمْ فِي الْآخِرَةِ ثَوَابُ الشُّهَدَاءِ وَأَمَّا فِي الدُّنْيَا فَيُغَسَّلُونَ وَيُصَلَّى عَلَيْهِمْ وَقَدْ سَبَقَ فِي كِتَابِ الْإِيمَانِ بَيَانُ هَذَا وَأَنَّ الشُّهَدَاءَ ثَلَاثَةُ أَقْسَامٍ شَهِيدٌ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَهُوَ الْمَقْتُولُ فِي حَرْبِ الْكُفَّارِ وَشَهِيدٌ فِي الْآخِرَةِ دُونَ أَحْكَامِ الدُّنْيَا وَهُمْ هَؤُلَاءِ الْمَذْكُورُونَ هُنَا وَشَهِيدٌ فِي الدُّنْيَا دُونَ الْآخِرَةِ وَهُوَ مَنْ غَلَّ فِي الْغَنِيمَةِ أَوْ قُتِلَ مُدْبِرًا قَوْلُهُ

আল্লাহ রাস্তায় জিহাদ করে শাহাদত বরণ কারী ব্যতীত হাদীসে বর্ণিত অন্য সবের শাহাদত বরণের অর্থ হলো যে,তারা আখেরাতে শহীদের মর্যাদা পাবে।কিন্তু দুনিয়াতে তাদের উপর শহীদের মর্যাদা প্রয়োগ হবে না বরং নিয়মতান্ত্রিক তাদেরকে গোসল দিয়ে জানাযা পড়ে তারপর তাদেরকে দাফন করা হবে।

শহীদ মূলত তিন প্রকার।যথাঃ-

(১)দুনিয়া-আখেরাতে শহীদের মর্যাদা পাবে।ঐ ব্যক্তি যে কাফেরের সাথে যুদ্ধ করে করে যুদ্ধক্ষেত্রে মারা গেছে।

(২)আখেরাত হিসেবে শহীদ।তথা আখেরাতে শহীদের মর্যাদা পাবে।কিন্তু দুনিয়া হিসেবে শহীদ হকে না তথা তাকে শহীদ বলে ডাকা যাবে না।বরং তাকে গোসল দিয়ে তার জানাযা পড়ে তাকে দাপন করা হবে।এরাই হল তারা যাদের আলোচনা বিভিন্ন হাদীসে এসেছে যে,যারা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা যাবে বা আগুনে জ্বলে কিংবা পানিতে ডুবে মারা যাবে।

(৩)দুনিয়া হিসেবে শহীদ।অর্থাৎ যাদের ব্যাপারে শহীদের মর্যাদা পেশ করা হবে কিন্তু আখেরাতে তারা শহীদের মর্যাদা পাবে না।এরা হল,তারা যারা জিহাদ পরবর্তী গণিমতের মালকে আত্মস্বাৎ করেছে।বা জিহাদের ময়দার থেকে পলায়নপর অবস্থায় যার মৃত্যু হয়েছে। আল-মিনহাজ্ব শরহে মিশকাত-১৩/৬৩।

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ! ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

করোনা ভাইরাস 'মহামারি' এর একটি ভয়ঙ্কর প্রকার।সুতরাং এই ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা পড়লে অবশ্যই সে আখেরাতে শহীদের মর্যাদা পাবে।লাশকে জ্বালানোর কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই।বরং দাফন করাই বিজ্ঞানসম্মত।কেননা দাফনের সাথে ভারইরাসটিরও অটোমেটিক দাফন হয়ে যায়। হ্যা যদি কোনো দেশের সরকার করুনা আক্রান্ত লাশ-কে জ্বালিয়ে দেয়,তারপরও সে আখেরাতের শহীদের মর্যাদা পাবে।

আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

উত্তর  লিখনে

`````````````````

মুফতী  ইমদাদুল  হক

ইফতা বিভাগ, IOM.

পরিচালক

ইসলামিক রিচার্স কাউন্সিল বাংলাদেশ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...