আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
220 views
in সালাত(Prayer) by (27 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।আমার একটা বিয়ের প্রস্তাব আসে।ছেলের কিছু দিক খটকা ছিল।যেমন ফেসবুকে হারাম মিউজিকসহ নাচের একটা ভিডিও পাই।পরবর্তীতে ছেলেকে জানানোর পর তিনি ভুল স্বীকার করেন এবং ভিডিও ডিলেট করে দেন।তো এই বিষয় টা নিয়েই মেয়ের মনে আপত্তি ছিল।ইস্তিখারা করার পর মন শুরুতে পজেটিভ নেগেটিভ দুইটা হচ্ছিল।একবার পজেটিভ ত একবার নেগেটিভ।ছেলে একমাস পর দেখতে আসে।দেখতে আসার আগে আগে মেয়ে অনেকটাই পজেটিভ ফিল করে।কিন্তু শুরুতে মেয়ের বাবা ছেলের সৌন্দর্য্য এবং ছেলের বাসার এলাকার কারনে রাজি ছিলেন না।বার বার বলছিলেন ওই এলাকার মানুষের মুখের ভাষা খারাপ।এক্ষেত্রে মেয়ে বার বার ই বলে সবাই ত এক না।মেয়ের মা রাজি ছিলেন।এরপর মেয়ের বাবার সাথে ছেলে দেখা করেন।তখন সৌন্দর্য্যর বিষয় টি মেয়ের বাবার পছন্দ হয় নি।মেয়ে এটাকেও গুরুত্ব দেন নি।যেহেতু দ্বীন ই তার প্রধান প্রায়োরিটি।এখন সমস্যা হচ্ছে দেখতে আসার পর ছেলে মাগরিবের জামাত খেয়াল করে নি।ওই সময় মেয়ের সাথে কথা বলছিলেন।মেয়েই তাকে মনে করায়ে দেন যে আজান দিছে।তখন তিনি জামাতে যান।এরপর এশার সময় মেয়ের সাথে কথা বলছিলেন+মেয়ের মা খাবার দিয়েছিলেন তাই তার জামাত কাযা হয়ে যায়।ওইদিন দুপুরেও নাকি ছেলের জামাত কাযা হয়েছিল ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে।তো মেয়ে এই বিষয়ে জানায় যে এই বিষয় টি তার ভালো লাগে নি।আর ছেলে বলে তার রাগ আছে মোটামুটি।কারো উপর রাগ হলে  তিনি ব্লক ও দিয়ে দেন কথা বলেন না।তিন দিনের বেশি যে মুসলিম ভাইয়ের সাথে কথা না বলে থাকা যাবে না এই হাদিস ও তিনি জানেন।কিন্তু আমল করে উঠতে পারছেন না।এটি বলেছেন।তার মা জর্দা খায়।তিনি এই বিষয়ে উনার মাকে পুর্ণ সাপোর্ট করেন।তিনি মোটামুটি কৃপণ তিনি ই বলেছেন।নন মাহরাম স্ট্রিক্ট্রলি মানতে পারেন না।মিউজিক না দেখার ই চেষ্টা করেন তাও চোখে যা দেখা পড়ে যায়।


কুফুর ব্যাপার বলতে গেলে ছেলে গ্রামে বড় হয়েছে এস এস সি পর্যন্ত।এরপর শহরে থেকেছে লেখাপড়ার জন্য।আর মেয়ে বুঝ হওয়ার পর থেকে শহরেই বড় হইছে।ছেলের বাসা গ্রামে।মেয়ে শহরের।মেয়ে মোটামুটি বিলাসিতায় বড় হইছে।তবে সে কষ্ট করতে রাজি আছে।মেয়ের বাসার অবস্থা ভালো তবে সম্পত্তি উল্লেখযোগ্য কিছু নেই।ছেলের বাসার অবস্থা ভালো না তবে বাসা করবেন শীঘ্রই।কিন্তু সম্পত্তি আছে।এই হচ্ছে কুফু


পজেটিভ দিক গুলো হচ্ছে ছেলে পাত্রির পর্দার বিষয়ে কোনো সমস্যা হবে না বলেছে।হালাল ইনকামের বিষয়ে অনেক সচেতন। একটা বড় রোগ আছে।এটাও ছেলে মেনে নিয়েছে।ছেলের যে ভুল গুলো ধরায় দেয়া হয়েছে তিনি মেনে নিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে আর ও পরিবর্তন হবেন বলেছেন।

ছেলে দেখে যাওয়ার পরে মেয়ের বার বার মনে হচ্ছে ছেলে জামাতের ব্যাপারে সচেতন না।প্রথমে মেয়ের বাবা রাজি ছিলেন না।এখন তিনি ও রাজি।মেয়ের বাবা মা বলেন মেয়ে যা বলবে তাতেই উনারা রাজি।তবে মেয়ের ছোট বোন রাজি না।পরিবারের ছোট তাই তার মতামতের গুরুত্ব কেউ দিচ্ছে না।তবে তার ও ছেলের দ্বীনি সাইড এবং কথা বার্তায় কমতি মনে হয়েছে।তাই ছোট  বোন কান্নাকাটি ও করেছে।ছেলের পরিবার ও রাজি।কিন্তু মেয়ে  দোটানায় ভুগছে।পজেটিভ নেগেটিভ দুই দিক মিলায়ে।বার বার ইস্তিখারা করেও মন একদিকে ঝুকছে না।মনে হচ্ছে এখানে বিয়ে হলে হয়ত পরে আফসোস করতে হবে।আবার এটাও মনে হচ্ছে ইনাকে ফিরিয়ে দিলে যদি আফসোস করতে হয়।মেয়ে চাচ্ছে পরিবারের সবাই ই বিয়েতে খুশি থাকুক।ছোট বোন কষ্ট পাচ্ছে এটাও মেয়ের ভালো লাগছে না।


সর্বপরি বিয়েতে মেয়ে মত দিলেই ইন শা আল্লাহ সব ওকে।কিন্তু মেয়ে বিয়েতে মত দিতে পারছেনা খুশি ভাবে।সংকোচ কাজ করছে।আমার কি করা উচিত এখন।ইস্তিখারার ফল পজেটিভ নাকি নেগেটিভ ধরব?আমি দীর্ঘ দেড় মাসের মত ইস্তিখারায় শুধু একদিন একটা স্বপ্ন দেখেছিলাম যে আমার মামাতো ভাইয়ের সাথে আমার হুট করেই বিয়ে হয়ে গেছে তবে আমি আফসোস করছি যে আমাকে ত আরেকজন প্রস্তাব দিয়েছিল এই প্রস্তাব চলাকালীন আমার মামাত ভাইকে বিয়ে করা ঠিক হয় নি।তারপর ইস্তিখারা করে পজেটিভ হই কিন্তু বর্তমান অবস্থা সংকোচ কাজ করছে
by
জর্দা খাওয়া সাপোর্ট করে।
জামাআতের নামাজ কাযা দেয়, যেখানে শায়খ আবু বকর জাকারিয়া(হাফি.) একে ফরজ বলেছেন!

আপনার পরিবার আপনার কথা মানবে। অর্থাৎ আপনি না করে দিলে তারা সেটাতে রাজি থাকবে। আবার, এতে ছোট বোনের মনও ভালো থাকবে!
আমার মতে, না করে দেন।

1 Answer

0 votes
by (573,930 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

বিবাহের ক্ষেত্রে রাসুল সাঃ কুফু মিলাইতে বলেছেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
 
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!
(সহীহ বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)

কুফু সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ  https://www.ifatwa.info/4541/

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নের বিবরন মতে এক্ষেত্রে ইস্তেখারা নেগেটিভ বলেই মনে হচ্ছে।
সুতরাং না করে দেয়াই ভালো বলে মনে করছি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...