বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কিস্তিতে অতিরিক্ত মূল্যে পন্য ক্রয় জায়েয আছে।সুদ হবে না।তবে শর্ত হল যে, দেড়ীতে মালের মূল্য পরিশোধ করার দরুণ প্রথমেই একটি মূল্য নির্ধারণ করে নিতে হবে।যেমন -একটি ফ্রিজ, নগদ হলে চল্লিশ হাজার টাকা।আর ১২মাসের কিস্তিতে হলে পঞ্চাশ হাজার টাকা।এভাবে লেনদেনের পূর্বেই দুটি মূল্য ঠিক করে নিতে হবে।পরবর্তীতে আবার অতিরিক্ত মূল্য চার্জ করা যাবে না।কিস্তি মিস হলে অতিরিক্ত চার্জ করা সুদের অন্তর্ভুক্ত হবে।(কিতাবুল ফাতাওয়া-৫/১৯৯--৫/২২৪)
হযরত শুবা ইবনুল হাজ্জাজ রাহ. (মৃত্যু : ১৬০ হি.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হাকাম ইবনে উতাইবা এবং হাম্মাদ ইবনে আবু সুলাইমকে এক ক্রেতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, সে অন্যের থেকে পণ্য ক্রয় করে আর বিক্রেতা তাকে বলে যে, নগদ মূল্যে কিনলে এত টাকা আর বাকিতে কিনলে এত টাকা। (এতে কোনো অসুবিধা আছে কি?) তারা উভয়ে বললেন, ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে যদি (মজলিস ত্যাগ করার পূর্বে) কোনো একটি (মূল্য) চূড়ান্ত করে নেয় তাহলে এতে কোনো অসুবিধা নেই।
দেখুন : মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ২০৮৩৬; জামে তিরমিযী ১/১৪৭। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
325
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মুরাবাহা চুক্তিতে ৩৬ লক্ষ টাকার লিফট ৬০ লক্ষ টাকায় ক্রয় করার পর, সেই লিফট কে ৩৫ লক্ষ টাকা নগদে ও স্বল্প কালীন কিস্তিতে নির্মাণাধীন বাড়ির শেয়ার হোল্ডারদের কাছে বিক্রি করা হলে, সেটা নাজায়েয হবে না। তবে ক্রেতা বিক্রেতা একই ব্যক্তি হলে, সেই একই ব্যক্তির জন্য একই সময়ে ক্রেতা বিক্রেতা হওয়া জায়েয হবে না।
"الْوَكِيلُ بِالْبَيْعِ لَايَمْلِكُ شِرَاءَهُ لِنَفْسِهِ؛ لِأَنَّ الْوَاحِدَ لَايَكُونُ مُشْترِيًا وَ بَائِعًا."( کتاب الوکالة ، فصل : لايعقد وكيل البيع والشراء ، 5/521، ط: دار الفکر بیروت)
সুতরাং লিফটকে অন্য কেউ ক্ররিদ করে তারপর বিল্ডিং শেয়ার হোল্ডারদের কাছে বিক্রি করে নিলে জায়েয হয়ে যাবে।