আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
77 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
যদি কনভেনশনাল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান (ডিবিএইচ ফাইন্যান্স) এর ইসলামিক উইন্ডো থেকে ১০ বছরের মুরাবাহা  চুক্তিতে ৩৬ লক্ষ টাকার লিফট ৬০ লক্ষ টাকায় ক্রয় করা হয়, এবং এই লিফট টি ই ৩৫ লক্ষ টাকায় নগদে ও স্বল্প কালীন কিস্তিতে নির্মাণাধীন বাড়ির শেয়ার হোল্ডারদের কাছে বিক্রি করা হয় (যেখানে সে নিজেও একজন সদস্য), এবং প্রাপ্ত টাকা হতে নির্মাণ সামগ্রী ক্রয় করা হয় এবং শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া হয় এবং ব্যক্তিগত অন্যান্য প্রয়োজন মেটানো (যেমন, মোটরবাইক কেনা) হয় তবে তা কি জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কিস্তিতে অতিরিক্ত মূল্যে পন্য ক্রয় জায়েয আছে।সুদ হবে না।তবে শর্ত হল যে, দেড়ীতে মালের মূল্য পরিশোধ করার দরুণ প্রথমেই  একটি মূল্য নির্ধারণ করে নিতে হবে।যেমন -একটি ফ্রিজ, নগদ হলে চল্লিশ হাজার টাকা।আর ১২মাসের কিস্তিতে হলে পঞ্চাশ হাজার টাকা।এভাবে লেনদেনের পূর্বেই দুটি মূল্য ঠিক করে নিতে হবে।পরবর্তীতে আবার অতিরিক্ত মূল্য চার্জ করা যাবে না।কিস্তি মিস হলে অতিরিক্ত চার্জ করা সুদের অন্তর্ভুক্ত হবে।(কিতাবুল ফাতাওয়া-৫/১৯৯--৫/২২৪)

হযরত শুবা ইবনুল হাজ্জাজ রাহ. (মৃত্যু : ১৬০ হি.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হাকাম ইবনে উতাইবা এবং হাম্মাদ ইবনে আবু সুলাইমকে এক ক্রেতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, সে অন্যের থেকে পণ্য ক্রয় করে আর বিক্রেতা তাকে বলে যে, নগদ মূল্যে কিনলে এত টাকা আর বাকিতে কিনলে এত টাকা। (এতে কোনো অসুবিধা আছে কি?) তারা উভয়ে বললেন,  ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে যদি (মজলিস ত্যাগ করার পূর্বে) কোনো একটি (মূল্য) চূড়ান্ত করে নেয় তাহলে এতে কোনো অসুবিধা নেই।
দেখুন : মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ২০৮৩৬; জামে তিরমিযী ১/১৪৭। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 325 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মুরাবাহা  চুক্তিতে ৩৬ লক্ষ টাকার লিফট ৬০ লক্ষ টাকায় ক্রয় করার পর, সেই লিফট কে ৩৫ লক্ষ টাকা নগদে ও স্বল্প কালীন কিস্তিতে নির্মাণাধীন বাড়ির শেয়ার হোল্ডারদের কাছে বিক্রি করা হলে, সেটা নাজায়েয হবে না। তবে ক্রেতা বিক্রেতা একই ব্যক্তি হলে, সেই  একই ব্যক্তির জন্য একই সময়ে ক্রেতা বিক্রেতা হওয়া জায়েয হবে না। 
"الْوَكِيلُ بِالْبَيْعِ لَايَمْلِكُ شِرَاءَهُ لِنَفْسِهِ؛ لِأَنَّ الْوَاحِدَ لَايَكُونُ مُشْترِيًا وَ بَائِعًا."( کتاب الوکالة ، فصل : لايعقد وكيل البيع والشراء ، 5/521، ط: دار الفکر بیروت) 

সুতরাং লিফটকে অন্য কেউ ক্ররিদ করে তারপর বিল্ডিং শেয়ার হোল্ডারদের কাছে বিক্রি করে নিলে জায়েয হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...