আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
194 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (7 points)
আস্সালামু আলাইকুম উস্তাদ।

মেসেঞ্জারে একটা মেসেজ গ্রুপ খুলে সেখানে যদি পাত্র-পাত্রী,পাত্রের একজন বন্ধু আর বন্ধুর স্ত্রী  সাক্ষী হিসেবে থাকে।তখন পাত্র বিবাহের জন্য প্রস্তাব দেয় আর পাত্রী কবুল করে নেয় তাহলে কি বিয়ে হয়? পুরো বিষয় টা ই মেসেজের মাধ্যমে হয়েছে এবং পাত্র পাত্রীর কারোর বাবা মা ই জানতো না।আর এভাবে বিয়ে করে আবার তালাক দিলে কি সেটা তালাক হবে।মানে বিয়ে ই যদি না হয় তাহলে তো তালাক হওয়ার কথা ই না।বিষয়টা যদি একটু ক্লিয়ার করতেন।উস্তাদ দয়া করে উত্তর দিবেন।আমার একজন পরিচিত তখন দ্বীনের বুঝ ছিলো না তেমন।এখন বিষয় গুলো বুঝতে চাচ্ছে। আল্লাহ যদি কবুল করেন।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

শরীয়তের দৃষ্টিতে বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার জন্য জরুরী হল, একই মজলিসে পাত্র পাত্রীর ইজাব ও কবুল করা। এবং পাশাপাশি সাক্ষী হিসেবে জ্ঞানসম্পন্ন সাবালক দুইজন পুরুষ অথবা একজন পুরুষ ও দুইজন নারী কর্তৃক উক্ত ইজাব-কবু্ল শ্রবণ করা। 

যদি চিঠি বা মেসেজের মধ্যমে বিবাহ হয়, তাহলে এর পদ্ধতি হল নিম্নরূপঃ-

পাত্র পাত্রীর কোনো একজন অন্যজনকে বিবাহের প্রস্তাব লিখে পাঠাবে এবং অপরজন শরয়ী সাক্ষীর সামনে এভাবে বলবে যে, অমুক আমার নিকট বিবাহের প্রস্তাব প্রেরণ করেছে, আমি কবু্ল করলাম। যদি শরয়ী সাক্ষীর সামনে ঐ ব্যক্তি ইজাব কবুল না করেন, তাহলে কিন্তু বিবাহ সম্পন্ন হবে না।

সুতরাং মেসেঞ্জারে কোনো একটা গ্রুপ খুলে সেখানে যদি পাত্র-পাত্রী ইজাব কবুল করে, এবং সেই গ্রুপে যদি কেউ সাক্ষী হিসেবে থাকে, তাহলে উক্ত বিবাহ বিশুদ্ধ হবে না।কেননা কবুল কারীর মজলিসে উপস্থিত থেকেই সাক্ষীদ্বয়ের জন্য কবুল কে শ্রবণ করা জরুরী।

যেহেতু এখানে পুরো বিষয়টাই মেসেজের মাধ্যমে হয়েছে। সাক্ষীদ্বয় মজলিসে উপস্থিত ছিল না, তাই প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী বিবাহ বিশুদ্ধ হবে না ।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 75153


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...