আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
408 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)

একজন রবিবার রাতে নিয়ত করল সোমবার রোজা রাখবে কিন্তু উঠতে পারল না , সোমবার নফল রোজা কি সে রাখতে পারবে? 

একজন তাহাজ্জুদ এর নামায ঘুম থেকে উঠে আদায় করার নিয়তে তারাবী পড়ল না কিন্তু ফজর নামাজর সময় ঘুম থেকে উঠল।  এখন কি সে এশার কাযা নামায আদায় করে ফজরের নামাজ আদায়  করবে?  ইসলাম কি বলে?

1 Answer

0 votes
by (709,320 points)
বিসমিহি তা'আলা

জবাবঃ-

সাহরী খাওয়া সুন্নাত।
হাদীসে এসেছে-

ﺗﺴﺤﺮﻭﺍ ﻓﺈﻥ ﻓﻲ ﺍﻟﺴﺤﻮﺭ ﺑﺮﻛﺔ

‘তোমরা সাহরী খাও। কেননা, সাহরীতে বরকত রয়েছে।’-সহীহ মুসলিম ১/৩৫০
অন্য হাদীসে বলা হয়েছে, ‘সাহরী খাওয়া বরকতপূর্ণ কাজ। সুতরাং তোমরা তা পরিত্যাগ করো না। এক ঢোক পানি দিয়ে হলেও সাহরী কর। কারণ যারা সাহরী খায় আল্লাহ তাআলা তাদের উপর রহমত বর্ষণ করেন এবং তাঁর ফেরেশতারা তাদের জন্য রহমতের দুআ করেন।’ -

মুসনাদে আহমদ ৩/১২;
মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা হাদীস : ৯০১০;
সহীহ ইবনে হিব্বান ৩৪৭৬।

রাত্রে নফল রোযার নিয়ত করার পর যদি কেউ সুবহে সাদিকের সময় ঘুম থেকে না উঠে,এবং সেহরী না খায়,তাহলে সে সেহরী না খেয়েই রোযা রাখবে।কেননা রাত্রে নফল রোযার নিয়ত করার পর সুবহে সাদিক সেই নিয়তের উপর অতিক্রম হওয়ার দ্বারা নফল রোযা নির্দিষ্ট হয়ে গেছে।এক্ষেত্রে রোযা না রাখলে উক্ত নফলের কাযা আদায় করতে হবে।রোযা রাখার জন্য সেহরী খাওয়া জরুরী নয় বরং সুবহে সাদিকের পূর্বে নিয়ত করাই মূল বিষয়।

তবে সুবহে সাদিকের পূর্ব পর্যন্ত নিয়তকে পরিবর্তন করার অবকাশ থাকবে।

আবকে মাসাঈল আউর উনকা হল-৩/৩০৮

কা'যা নামায এবং ওয়াক্তিয়া নামাযের আদায় সম্পর্কিত লক্ষণীয় কিছু বিষয়।

(১)

কা'যা নামাযের কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। তিনটি মাকরুহ ওয়াক্ত ব্যতীত যেকোনো সময় কা'যা নামায পড়া যায়।

(২)

যে ব্যক্তির যিম্মায় ছয় বা তার চেয়ে বেশী কা'যা নামায রয়েছে, তার জন্য ওয়াক্তিয়া নামায এবং কা'যা নামাযের মধ্যে তারতীব কে লক্ষ্য রাখা জরুরী নয়।বরং এক্ষেত্রে সে ইচ্ছাস্বাধীন।সে ইচ্ছা করলে প্রথমে কা'যা নামাযকে পড়তে পারে।আবার ইচ্ছা করলে ওয়াক্তিয়া নামাযকেও পড়তে পারে।

(৩)

যে ব্যক্তির যিম্মায় ছয় বা তার চেয়ে কম নামায কা'যা রয়েছে, সে সাহেবে তারতীব। তার জন্য প্রথমে কা'যা নামায পড়া জরুরী।কা'যা পড়ে শেষ করার পর সে ওয়াক্তিয়া নামায পড়বে।তবে যদি কেউ ভুলে প্রথমে ওয়াক্তিয়া নামাযকে পড়ে নেয়, তাতে কোনো সমস্যা নেই।পরে সে কা'যা নামাযকে পড়ে নেবে।

হ্যা কা'যা নামাযের কথা যদি স্বরণে রয়েছে,তবে ওয়াক্ত এত সংকির্ণ যে,এই মূহুর্তে প্রথমে কাযা নামায পড়লে ওয়াক্ত চলে যাবে,তাহলে এমতাবস্থায় প্রথমে ওয়াক্তিয়া নামায,তারপর সুযোগমত কা'যা নামায আদায় করা হবে।

আবকে মাসাঈল আউর উনকা হল;২/৩৫০

আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

উত্তর লিখনে

মুফতী ইমদাদুল হক

ইফতা বিভাগ, Iom.

পরিচালক

ইসলামিক রিচার্স কাউন্সিল বাংলাদেশ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
zajakallah Ustad

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 178 views
0 votes
1 answer 108 views
0 votes
1 answer 121 views
0 votes
1 answer 134 views
...