ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ
আমি একে নাযিল করেছি শবে-কদরে।
وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ
শবে-কদর সমন্ধে আপনি কি জানেন?
لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ
শবে-কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
تَنَزَّلُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِم مِّن كُلِّ أَمْرٍ
এতে প্রত্যেক কাজের জন্যে ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশক্রমে।
سَلَامٌ هِيَ حَتَّى مَطْلَعِ الْفَجْرِ
এটা নিরাপত্তা, যা ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : مَنْ قَامَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি লাইলাতুল ক্বদরে ঈমানের সাথে সাওয়াবের আশায় রাত জেগে ‘ইবাদত করে, তার পিছনের সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করা হবে। আর যে ব্যক্তি ঈমানসহ সওয়াবের আশায় রমাযানে সিয়াম পালন করবে, তারও অতীতের সমস্ত গোনাহ মাফ করা হবে।(সহীহ বোখারী-১৯০১,সহীহ মুসলিম-৭৫৯, আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭৬৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৭৭৭)
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত
عن ﻋﺎﺋﺸﺔ رضي الله عنها ﻗﺎﻟﺖ: ﻗﻠﺖ: ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ اﻟﻠﻪ، ﺃﺭﺃﻳﺖ ﺇﻥ ﻋﻠﻤﺖُ ﺃﻱُّ ﻟﻴﻠﺔٍ ﻟﻴﻠﺔُ اﻟﻘﺪْﺭِ، ﻣﺎ ﺃﻗﻮﻝ ﻓﻴﻬﺎ؟ ﻗﺎﻝ: (ﻗﻮﻟﻲ: اﻟﻠﻬﻢ ﺇﻧﻚ ﻋﻔﻮٌّ ﺗﺤﺐ اﻟﻌﻔﻮَ ﻓﺎﻋﻒُ ﻋﻨﻲ)
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বললাম,যদি আমি লাইলাতুল কদরকে পাই তাহলে কি দু'আ করবো? রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,তুমি পড়বে,
''আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা'ফু আন্নি ইয়া কারীম" (সুনানে তিরমিযি-৮০২৫)
এ সমস্ত আয়াত ও হাদীস প্রমাণ করে যে,লাইলাতুল কদর দু'আ কবুল হওয়ার উত্তম মুহুর্ত।
(২)
عن جابر رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: " ماء زمزم لما شرب له " رواه أحمد وصححه الألباني في صحيح الجامع " (5502)
জ্বী, জমজমের পানি পানের সময় যে দু'আ নিয়তে রাখা হবে,আল্লাহ চাহে তো সেই দু'আকে কবুল করা হবে।নিয়ত পানের পূর্বে বা পানের সময়েই করতে হবে।কেননা নিয়ত কোনো কাজের পূর্বে করতে হয়।
নিয়ত অন্তর দ্বারা করলেই হবে।জবান নাড়িয়ে করা জরুরী নয়।বরং মুস্তাহাব।
وَاعْلَمْ أَنَّ النِّيَّةَ لَا تَتَأَدَّى بِاللِّسَانِ؛ لِأَنَّهَا إرَادَةٌ وَالْإِرَادَةُ عَمَلُ الْقَلْبِ لَا عَمَلُ اللِّسَانِ؛ لِأَنَّ عَمَلَ اللِّسَانِ يُسَمَّى كَلَامًا لَا إرَادَةً إلَّا أَنَّ الذِّكْرَ بِاللِّسَانِ مَعَ عَمَلِ الْقَلْبِ سُنَّةٌ فَالْأَوْلَى أَنْ يَشْغَلَ قَلْبَهُ بِالنِّيَّةِ وَلِسَانَهُ بِالذِّكْرِ
প্রকাশ থাকে যে,নিয়ত জবান দ্বারা আদায় হয় না।কেননা নিয়ত হল, ইরাদা বা ইচ্ছার নাম।আর ইরাদা বা ইচ্ছা অন্তরের বিষয়।সেটা জবানের বিষয় না।কেননা জবান দ্বারা যা উচ্ছারিত হয়,সেটাকে 'কালাম' বলা হয়,ইরাদা বলা হয় না।হ্যা অন্তরের ইচ্ছার সাথে জবান দ্বারা উচ্ছারণ করা সুন্নাত।সুতরাং উত্তম হল,অন্তরে কাজের নিয়ত রাখা এবং সাথে সাথে জবান দ্বারা সেই নিয়তকে উচ্ছারণ করা।(আল জাওহারাতুন-নাইয়্যিরাহ-১/৪৮)