ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠّﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠّﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﺃَﺣَﺪَﻛُﻢْ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﻘُﻮﻝَ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﺭَﺑَّﻚَ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺑَﻠَﻐَﻪُ ﻓَﻠْﻴَﺴْﺘَﻌِﺬْ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟْﻴَﻨْﺘَﻪِ ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻣﺴﻠﻢ : ( ﺁﻣﻨﺖ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻭﺭﺳﻠﻪ)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,শয়তান তোমাদের কারো নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করে, এটা কে বানিয়েছে?ওটা কে বানিয়েছে?শেষ পর্যন্ত জিজ্ঞেস করে, খোদা-কে বানিয়েছে? যখন এমন অবস্থায় কেউ পতিত হবে,সে যেন আল্লাহর নিকট পানাহ চায়।এবং সাথে সাথে সে যেন উক্ত বিষয়ে চিন্তা করা থেকে বিরত থাকে।এক বর্ণনায় এসেছে সে যেন আ'মানতু বিল্লাহি ওয়া রুসুলিহি পড়ে নেয়। (সহীহ বোখারী-৩১০২,সহীহ মুসলিম-১৩৪) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
1379
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) দুনিয়াবি বিষয়ে অযাচিত ভাবনা আসাটাও শয়তানি ওয়াসওয়াসার অন্তর্ভুক্ত। 'পড়াশুনায় ভাল করতে পারি না, তাই হাল ছেড়ে দেওয়া উচিত' এটাও একরকম শয়তানি ওয়াসওয়াসা।
ইমান নিয়ে ওয়াসওয়াসা আসলে যেসব দুয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে পানাহ চাওয়া হয়, অতিরিক্ত টেনশনের জন্য আপনি সেই দু'আগুলো পড়বেন।
(২) ভূত,প্রেত, ডাকিনী, পিশাচিনী ইত্যাদি, এগুলোও জ্বিনদের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে বিশ্বাস করা যাবে।