আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
107 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (25 points)

আসসালামু আলাইকুম।

 )১) কোনো দুনিয়াবি বিষয়ে অযাচিত ভাবনা আসাও কি শয়তানি ওয়াসওয়াসার অন্তর্ভুক্ত? (যেমন মনে করা যে আমি পড়াশুনায় ভাল করতে পারি না, তাই হাল ছেড়ে দেওয়া উচিত, এবং এসব চিন্তার ফলে আসলেই পড়াশুনা ভাল হয় না. ইত্যাদি) 

ইমান নিয়ে ওয়াসওয়াসা আসলে যেসব দুয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে পানাহ চাওয়া হয়, আমার অতিরিক্ত টেনশনের জন্য কি আমি উক্ত দুয়াগুলো পড়তে পারি?

২) ভূত,প্রেত, ডাকিনী, পিশাচিনী ইত্যাদি বিষয়কে কি জ্বিন হিসেবে তুলনা করা যায়? আমি কি এগুলোকে জ্বীন হিসেবে বিশ্বাস করতে পারি? কোনো হাদিস কি এসেছে এদের ব্যাপারে?

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠّﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠّﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﺃَﺣَﺪَﻛُﻢْ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﻘُﻮﻝَ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﺭَﺑَّﻚَ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺑَﻠَﻐَﻪُ ﻓَﻠْﻴَﺴْﺘَﻌِﺬْ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟْﻴَﻨْﺘَﻪِ ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻣﺴﻠﻢ : ( ﺁﻣﻨﺖ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻭﺭﺳﻠﻪ)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,শয়তান তোমাদের কারো নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করে, এটা কে বানিয়েছে?ওটা কে বানিয়েছে?শেষ পর্যন্ত জিজ্ঞেস করে, খোদা-কে বানিয়েছে? যখন এমন অবস্থায় কেউ পতিত হবে,সে যেন আল্লাহর নিকট পানাহ চায়।এবং সাথে সাথে সে যেন উক্ত বিষয়ে চিন্তা করা থেকে বিরত থাকে।এক বর্ণনায় এসেছে সে যেন আ'মানতু বিল্লাহি ওয়া রুসুলিহি পড়ে নেয়। (সহীহ বোখারী-৩১০২,সহীহ মুসলিম-১৩৪) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 1379

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) দুনিয়াবি বিষয়ে অযাচিত ভাবনা আসাটাও শয়তানি ওয়াসওয়াসার অন্তর্ভুক্ত। 'পড়াশুনায় ভাল করতে পারি না, তাই হাল ছেড়ে দেওয়া উচিত'  এটাও একরকম শয়তানি ওয়াসওয়াসা।

ইমান নিয়ে ওয়াসওয়াসা আসলে যেসব দুয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে পানাহ চাওয়া হয়, অতিরিক্ত টেনশনের জন্য আপনি সেই দু'আগুলো পড়বেন।

(২) ভূত,প্রেত, ডাকিনী, পিশাচিনী ইত্যাদি, এগুলোও জ্বিনদের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে বিশ্বাস করা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...