আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুুহ। শাইখ। একজন বোনের প্রশ্ন :

 স্বর্ণের পরিমাণ আনুমানিক - ১২ ভরি, রূপার পরিমাণ আনুমানিক - ৫ ভরি, টাকার পরিমাণ (ব্যাংকে) - ১ লাখ ৬৫ হাজার, টাকা (অনিশ্চিত, কিস্তিতে রাখা, উনি পাবেন কিনা এখনও জানেন না) - ১ লাখ ২০ হাজার
আয় এর অন্যান্য ইনকাম ১০,০০০ মাসিক

প্রশ্ন : ১. উনার যাকাত এর পরিমাণ কত হবে।

২. আগে যাকাত দেন নী। জানতেন না যাকাত যে উনার উপর ফরয বা বুঝতেন না। এখন এই বছর থেকে যাকাত দিলে কি আগের গুলো ও দিতে হবে? [হিসেব করা তো একটু কঠিন]

৩. আগের যাকাত না দিয়ে তাওবাহ ইস্তিগফার করলে কি হবে?

৪. মাসিক ইনকাম থেকে যাকাত বেশি আসলে এক্ষেত্রে উনি কিভাবে যাকাত দেয়ার ব্যবস্থা করবেন

দয়া করে জানাবেন। আল্লাহ আপনাকে উত্তম বিনিময় দিন

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী স্বর্ণের ক্ষেত্রে যাকাতের নিসাব হল বিশ মিসকাল। -সুনানে আবু দাউদ ১/২২১; মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক  হাদীস ৭০৭৭, ৭০৮২
আধুনিক হিসাবে সাড়ে সাত ভরি।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى قَالَا حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُوسَى أَنْبَأَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ إِسْمَعِيلَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ وَاقِدٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ وَعَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَأْخُذُ مِنْ كُلِّ عِشْرِينَ دِينَارًا فَصَاعِدًا نِصْفَ دِينَارٍ وَمِنْ الْأَرْبَعِينَ دِينَارًا دِينَارًا

ইবনু ‘উমার ও ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)  থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি বিশ দিনার বা তার চেয়ে কিছু বেশি হলে অর্ধ দিনার এবং চল্লিশ দিনারে এক দিনার (যাকাত) গ্রহণ করতেন।

ইবনে মাজাহ ১৭৯১ ইরওয়াহ ৮১৩।
দারাকুতনী ১৮৭৯, ১৮৯২।

সাড়ে ৫২ ভরি রুপা হলে তার উপর যাকাত ফরজ। 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
عن أبي سعيد الْخُدْرِي رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : «ليس فيما دون خمس أَوَاقٍ صدقة، ولا فيما دون خمس ذَوْدٍ صدقة، ولا فيما دُونَ خمسة أَوْسُقٍ صدقة».  
[صحيح] - [متفق عليه]

আবূ সা‘ঈদ আল-খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “পাঁচ উকিয়ার কম রৌপ্যমুদ্রায় যাকাত নেই এবং পাঁচটি উটের কমের ওপর যাকাত নেই। পাঁচ ওয়াসাক এর কম শষ্যের ওপর যাকাত নেই।”
(বুখারী,মুসলিম)

শরীয়তের বিধান হলো যদি কাহারো কাছে সোনা-রুপা, টাকা-পয়সা কিংবা বাণিজ্য-দ্রব্য- এগুলোর কোনোটি পৃথকভাবে পূর্ণ  নিসাব পরিমাণ না থাকে, কিন্তু এসবের একাধিক সামগ্রী এ পরিমাণ রয়েছে, যা একত্র করলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার সমমূল্য বা তার চেয়ে বেশি হয় তাহলে এক্ষেত্রে সকল সম্পদ হিসাব করে যাকাত দিতে হবে।
(মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক হাদীস ৭০৬৬,৭০৮১; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা ৬/৩৯৩)

আরো জানুনঃ  

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
তার মাসিক ১০ হাজার ইনকাম তো তার মাসের খরচ হিসেবেই চলে যায়। সুতরাং এটি দৈনন্দিন প্রয়োজন অতিরিক্ত টাকা নয়।

স্বর্ন আর রুপার ক্ষেত্রে বর্তমান বাজার হিসেবে মূল্য ধরতে হবে। অর্থাৎ তার কাছে থাকা এই স্বর্ন আর রুপা বাজারে বিক্রয় করতে গেলে কত টাকা তারা দাম বলতে পারে,আনুমানিক ভাবে সেটির হিসেব করতে হবে।
এক্ষেত্রে স্বর্ন ক্যারেটের, সেটিও বিবেচনার বিষয়। 

এক্ষেত্রে যদি ঐ বোনের স্বর্ন এক লক্ষ টাকা ভরি ধরা হয়,আর রুপা ১৪০০ টাকা ভরি ধরা হয়। সেক্ষেত্রে সব মিলে আসেঃ-

১,২০০,০০০+৭০০০+১,৬৫,০০০+১,২০,০০০=১,৪৯২,০০০ টাকা। 

১,৪৯২,০০০÷৪০=৩৭,৩০০ টাকা।

ঐ বোনকে ৩৭,৩০০ টাকা যাকাত দিতে হবে। 

(০২)
বালেগাহ হওয়ার পর যেই বছর থেকে সে নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হয়েছে, সেই বছর থেকেই তাকে যাকাত দিতে হবে। 
এক্ষেত্রে অনাদায়ী বছর গুলোর ক্ষেত্রে অনুমান করে যাকাত দিতে হবে।

(০৩)
না,এক্ষেত্রে তওবা ইস্তেগফার করে কাজ হবেনা।
যাকাতই দিতে হবে।

(০৪)
ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করবেন।
অথবা কাহারো থেকে ঋন নিবেন। 
অথবা কিছু স্বর্ন বিক্রয় করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...