জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
الْيَوْمَ أُحِلَّ لَكُمُ الطَّيِّبَاتُ وَطَعَامُ الَّذِينَ أُوتُواْ الْكِتَابَ حِلٌّ لَّكُمْ وَطَعَامُكُمْ حِلُّ لَّهُمْ وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الَّذِينَ أُوتُواْ الْكِتَابَ مِن قَبْلِكُمْ إِذَا آتَيْتُمُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ مُحْصِنِينَ غَيْرَ مُسَافِحِينَ وَلاَ مُتَّخِذِي أَخْدَانٍ وَمَن يَكْفُرْ بِالإِيمَانِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهُ وَهُوَ فِي الآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ
আজ তোমাদের জন্য পবিত্র বস্তুসমূহ হালাল করা হল। আহলে কিতাবদের খাদ্য তোমাদের জন্যে হালাল এবং তোমাদের খাদ্য তাদের জন্য হালাল। তোমাদের জন্যে হালাল সতী-সাধ্বী মুসলমান নারী এবং তাদের সতী-সাধ্বী নারী, যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তোমাদের পূর্বে, যখন তোমরা তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর তাদেরকে স্ত্রী করার জন্যে, কামবাসনা চরিতার্থ করার জন্যে কিংবা গুপ্ত প্রেমে লিপ্ত হওয়ার জন্যে নয়। যে ব্যক্তি বিশ্বাসের বিষয় অবিশ্বাস করে, তার শ্রম বিফলে যাবে এবং পরকালে সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।(সূরা মায়েদা-৫)
অমুসলিম ( আহলে কিতাব ব্যাতিত) কেহ যদি কোনো প্রাণী জবাই করে তবে সেই প্রাণী ভক্ষণ করা কখনো জায়েয হবে না।সে হিসেবে হিন্দুদের জবাইকৃত প্রাণী খাওয়া কখনো জায়েয হবে না।
হিন্দুদের জবাইকৃত প্রাণী ব্যতীত তাদের তৈরীকৃত অন্যান্য খাবার ততক্ষণ হারাম হবে না, যতক্ষণ না প্রমাণিত হচ্ছে তারা এতে হারাম কিছুর সংমিশ্রণ ঘটিয়েছে।
বিধর্মীদের রান্না করা খাবার যেমন, মাছ, তরকারি ইত্যাদি খাওয়া জায়েয আছে, যদি সে খাদ্যটি হারাম না হয় এবং তাতে যদি হারাম কোন কিছুর সংমিশ্রণ না থাকে।
যেহেতু রাসূলুল্লাহ ﷺ অমুসলিমদের দেয়া দাওয়াত খেয়েছেন এবং তাদের দেয়া হাদিয়াও গ্রহণ করেছেন।
(বুখারী ২৬১৫-১৮ ‘মুশরিকদের নিকট থেকে হাদিয়া গ্রহণ’ অনুচ্ছেদ)
★★সুতরাং হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে গিয়ে তাদের রান্না করা খাবার যেমন, সেমাই, তরকারি ইত্যাদি খাওয়া জায়েজ। তবে খাবারটি কোনোভাবেই হারাম না হতে হবে।
গোশত হওয়া যাবেনা,(গোশত হলে সেটি কোনো মুসলিম জবাই করেছে বলে প্রমান থাকতে হবে।)
পাশাপাশি তাতে হারাম কোনো কিছুর সংমিশ্রণ না থাকতে হবে। (তাদের কোনো উপাস্যের জন্য উৎস্বর্গকৃত না হতে হবে। )
বিস্তারিত জানুনঃ
আরো জানুনঃ