ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
مَثَلُهُمْ كَمَثَلِ الَّذِي اسْتَوْقَدَ نَارًا فَلَمَّا أَضَاءَتْ مَا حَوْلَهُ ذَهَبَ اللَّهُ بِنُورِهِمْ وَتَرَكَهُمْ فِي ظُلُمَاتٍ لَّا يُبْصِرُونَ
তাদের অবস্থা সে ব্যক্তির মত, যে লোক কোথাও আগুন জ্বালালো এবং তার চারদিককার সবকিছুকে যখন আগুন স্পষ্ট করে তুললো, ঠিক এমনি সময় আল্লাহ তার চারদিকের আলোকে উঠিয়ে নিলেন এবং তাদেরকে অন্ধকারে ছেড়ে দিলেন। ফলে, তারা কিছুই দেখতে পায় না।(সূরা বাকারা-১৭)
صُمٌّ بُكْمٌ عُمْيٌ فَهُمْ لَا يَرْجِعُونَ
তারা বধির, মূক ও অন্ধ। সুতরাং তারা ফিরে আসবে না।(সূরা বাকারা-১৮)
أَوْ كَصَيِّبٍ مِّنَ السَّمَاءِ فِيهِ ظُلُمَاتٌ وَرَعْدٌ وَبَرْقٌ يَجْعَلُونَ أَصَابِعَهُمْ فِي آذَانِهِم مِّنَ الصَّوَاعِقِ حَذَرَ الْمَوْتِ ۚ وَاللَّهُ مُحِيطٌ بِالْكَافِرِينَ
আর তাদের উদাহরণ সেসব লোকের মত যারা দুর্যোগপূর্ণ ঝড়ো রাতে পথ চলে, যাতে থাকে আঁধার, গর্জন ও বিদ্যুৎচমক। মৃত্যুর ভয়ে গর্জনের সময় কানে আঙ্গুল দিয়ে রক্ষা পেতে চায়। অথচ সমস্ত কাফেরই আল্লাহ কর্তৃক পরিবেষ্ঠিত।(সূরা বাকারা-১৯)
يَكَادُ الْبَرْقُ يَخْطَفُ أَبْصَارَهُمْ ۖ كُلَّمَا أَضَاءَ لَهُم مَّشَوْا فِيهِ وَإِذَا أَظْلَمَ عَلَيْهِمْ قَامُوا ۚ وَلَوْ شَاءَ اللَّهُ لَذَهَبَ بِسَمْعِهِمْ وَأَبْصَارِهِمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
বিদ্যুতালোকে যখন সামান্য আলোকিত হয়, তখন কিছুটা পথ চলে। আবার যখন অন্ধকার হয়ে যায়, তখন ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকে। যদি আল্লাহ ইচ্ছা করেন, তাহলে তাদের শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি ছিনিয়ে নিতে পারেন। আল্লাহ যাবতীয় বিষয়ের উপর সর্বময় ক্ষমতাশীল।(সূরা বাকারা-২০)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কানে আঙ্গুল দেওয়া কাফিরদের বৈশিষ্ট্যর কথা কুরআনে বলা হচ্ছে না বরং তাদেরকে ঐ সমস্ত ব্যক্তিদের সাথে তুলনা করা হচ্ছে, যারা ভয়ে প্রকম্পিত হয়ে কানে আঙ্গুল দিচ্ছে। অর্থাৎ কুরআন বলছে, যেমনিভাবে লোকজন বর্জ্রপাতের সময় কানে আঙ্গুল দিয়ে থাকে, ঠিকতেমনিভাবে ঐ সমস্ত কাফির মুনাফিকরা হেদায়তের বানী শ্রবণ না করার জন্য কানে আঙ্গুল দেয়।
সুতরাং মেঘ গর্জনের সময় কানে আঙ্গুল দেওয়া ঐ আয়াতের অন্তর্ভুক্ত হবে না।তাই নাজায়েযও হবে না।হ্যা, এই সময়ে দু'আ পড়া সুন্নাহ, চায় কানে আঙ্গুল দেয়া হোক বা না হোক।