ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাব,
https://ifatwa.info/6334/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ
করা হয়েছ যে, তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক
সংঘটিত হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا
يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى
بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي
زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ
فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا
النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ
يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর
রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে
বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
মিম্বারে আরোহণ করলেন,
অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের
সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়,
অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার
তার। (সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)
★শরীয়তের
বিধান অনুযায়ী মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক
পতিত করতে পারবে, যদি
স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে। এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ
লেখার মাধ্যমেই হোক,
বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে, আর স্ত্রী স্বামী
কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে
সেটি পতিত হয়ে যাবে।
আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/12329/
★প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার বোন জামাই
কি কোনোদিন আপনার বোনকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা দিয়েছিলেন? নিকাহনামায়
১৮ নং ধারায় স্ত্রীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা দিয়েছিলেন? যদি আপনার বোন জামাই
স্বীয় স্ত্রীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা না দিয়ে থাকেন, তাহলে তো স্পষ্ট
যে আপনার বোন যেই তালাক দিয়েছে, এটার তো সে ক্ষমতাবান হননি। সুতরাং এই তালাক
গ্রহনযোগ্য হবেনা। তারা একত্রে সংসার করতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
আর যদি তিনি স্বীয় স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা
দিয়ে থাকেন,
সেক্ষেত্রে দেখতে হবে যে সেই তালাক নামায় কি লেখা ছিলো? যদি তালাক নামায়
স্ত্রী নিজে নিজে তালাক দেয় বা নিজের নফসের তালাক দেয়, তাহলেই কেবল
তালাক হবে।
নতুবা যদি স্বামীকে তালাক দেওয়ার কথা লেখা থাকে, তাহলে তালাক
হবেনা। আরো জানুন: https://www.ifatwa.info/48526/
https://www.ifatwa.info/52647/