আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
178 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (20 points)
আমার বড় বোন দীর্ঘদিনের সাংসারিক জীবনে সমস্যার কারণে তার স্বামীকে (আমার দুলাভাইকে) তালাক দেয়। কাজীর মাধ্যমে তালাক দেয় এবং নোটিশ/কাগজ পাঠায়।

এখন ৩ মাস পর অনেক ভেবে চিন্তে ২ পরিবারের আলোচনায় আমার আপুকে দুলাভাই এর নিকট ফেরত পাঠাতে চাচ্ছি, তারা বৈবাহিক জীবন চালিয়ে যাক - এমনটাই চাচ্ছি আমরা।

বলে রাখা ভালো- আপুর স্বামী মানে আমার দুলাভাই কখনোই তালাক চান নি। তালাকের নোটিশ পাওয়ার পর থেকেই উনি চেয়েছেন এই তালাকটি উঠিয়ে নিতে। যাতে এটি কার্যকর না হয়।

আমার প্রশ্ন হল: আমার আপু কর্তৃক দেওয়া তালাক কি আসলেই তালাক হয়েছে? তারা কি আবার পুনরায় এক হয়ে বৈবাহিক জীবন শুরু করতে পারবে?


যদি আল্লাহর বিধান ও ইসলামিক আইন, দৃষ্টিকোণ থেকে আপুর ফেরত যাওয়া বৈধ/অনুমোদিত না হয় তবে আমরা তাকে আর দুলাভাই এর নিকট পাঠাবো না।

তাই সঠিক মাসয়ালা জানতে চাচ্ছি।

1 Answer

0 votes
by (59,070 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।

জবাব,

https://ifatwa.info/6334/  নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছ যে, তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার। (সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে। এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক, বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।

সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে, আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ  https://ifatwa.info/12329/

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার বোন জামাই কি কোনোদিন আপনার বোনকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা দিয়েছিলেন? নিকাহনামায় ১৮ নং ধারায় স্ত্রীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা দিয়েছিলেন? যদি আপনার বোন জামাই স্বীয় স্ত্রীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা না দিয়ে থাকেন, তাহলে তো স্পষ্ট যে আপনার বোন  যে তালাক দিয়েছে, এটার তো সে ক্ষমতাবান হননি। সুতরাং এই তালাক গ্রহনযোগ্য হবেনা। তারা একত্রে সংসার করতে পারবে ইনশাআল্লাহ।

আর যদি তিনি স্বীয় স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা দিয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে দেখতে হবে যে সেই তালাক নামায় কি লেখা ছিলো? যদি তালাক নামায় স্ত্রী নিজে নিজে তালাক দেয় বা নিজের নফসের তালাক দেয়, তাহলেই কেবল তালাক হবে।

নতুবা যদি স্বামীকে তালাক দেওয়ার কথা লেখা থাকে, তাহলে তালাক হবেনা। আরো জানুন: https://www.ifatwa.info/48526/

https://www.ifatwa.info/52647/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...