জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার জন্য যাতায়াত বাবদ ভাড়া নেয়া বৈধ হবেনা।
এটি ধোকার শামিল।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার জন্য যাতায়াত বাবদ ভাড়া নেয়া বৈধ হবেনা।
হ্যাঁ আপনি যদি সাইকেল বাদ দিয়ে অন্যের যানবাহনে ভাড়া দিয়ে চলেন,সেক্ষেত্রে যাতায়াত ভাড়া নিতে পারবেন।
অথবা এখনকার বিষয় যদি আপনি উক্ত মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষকে বলে ভাড়া নিতে পারেন,আর তারা সাইকেলের বিষয় শোনার পরেও আপনাকে ভাড়া দেয়,তাহলে তাহা গ্রহন আপনার জন্য বৈধ হবে।
(০২)
এটা নেয়া আপনার জন্য বৈধ হবেনা।
তবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে এটা আপনি নিতে পারবেন।
(০৩)
কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বিষয়টির অনুমোদন না থাকলে আপনি দায়ী থাকবেন।
অন্যথায় কোনো সমস্যা নেই।