আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
900 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
edited by
আমাদের নিজস্ব একটা পুরানো বিল্ডিং আছে লিফট ছাড়া। পুরানো হওয়ায় আর লিফট না থাকায় অফিস ভাড়া দিতে চাইলেও চাহিদা বেশ কম। এখন চিন্তা করছি ওখানকার একটা রুমে নিজেরাই কাপড়ের ব্যবসা করব ইন শা আল্লা।  কিন্তু দোকানের ডেকোরেশন ও নতুন মালামাল তোলার মূলধন হাতেও নাই এবং দেয়ার মতোও কেউ নাই। এমতাবস্থায় আমি কি ইসলামী ব্যাংক বা অন্য ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারব? সেটা কি জায়েয হবে?
বিঃদ্রঃ আমার হাজবেন্ড কোন চাকুরী করেননা।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বিশিষ্ট হানাফি ফিকহ বিশারদ আল্লামা ইবনে নুজাইম লিখেন
 ﻭَﻓِﻲ اﻟْﻘُﻨْﻴَﺔِ ﻭَاﻟْﺒُﻐْﻴَﺔِ: ﻳَﺠُﻮﺯُ ﻟِﻠْﻤُﺤْﺘَﺎﺝِ اﻻِﺳْﺘِﻘْﺮَاﺽُ ﺑِﺎﻟﺮِّﺑْﺢِ 
নিঃস্ব মুখাপেক্ষী মানুষের জন্য সুদের বিনিময়ে ঋণ গ্রহণ জায়েয। (আল-আশবাহ ওয়ান-নাযায়ের-১/৭৯; বাহরুর রায়েক-৬/১৩৭)

সুদের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ হারাম।তবে জরুরত অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে প্রয়োজন পর্যন্ত সিদ্ধ/বৈধ করে দেয়। তাই যদি কারো অন্য কোনো উপায় না থাকে,শত চেষ্টা করেও কোনো উপায় বের করতে না পারে,তাহলে বিলাশীতা পরিহার করে স্বাভাবিক জীবন পরিচালনার জন্য ইস্তেগফারের সাথে লোন নিতে পারবে, জায়েয রয়েছে।কিন্তু আপনাদের বেলায় সেটা আপাতত পপ্রযোজ্য হবে বলে মনে হচ্ছে না।কেননা আপনারা লোন ছাড়াও সাধারণ জীবন যাপন করতে সক্ষম আছেন।আপনাদের কে অনাহারে-অর্ধাহারে থাকতে হচ্ছে না।বরং কোনো রকম জীবনযাপন করে নিতে পারছেন।এবং আপনারদের বাসস্থান ও রয়েছে।বাড়া দেয়ার মত সম্পত্তিও রয়েছে। তাই আপনাদের জন্য লোন গ্রহণ জায়েয হবে না। 

বিঃদ্র: 
এ বিধান শুধুমাত্র ঐ ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য, যে কিনা সাধারণ জীবনযাপন করতে পারছে না।এবং তার নিকট এছাড়া অন্য কোনো রাস্তাও নেই। তাই সবার বেলায় তা প্রযোজ্য হবে না। জদীদ ফেকহী মাসাঈল ৪/৫৫ আমাদেরকে স্বরণ রাখতে হবে যে,যেহেতু শরীয়ত ঐ ব্যক্তিকে প্রয়োজন পর্যন্ত অনুমতি দিয়েছে,বিধায় রুজিরোজগারের কোনো উপায় না থাকার শর্তে প্রয়োজন পর্যন্ত ই সুদের বিনিময়ে ঋণ গ্রহণ জায়েয হবে। সুতরাং কাউকে ঋণ দিয়ে সুদ গ্রহণ করা জরুরতের আওতাভুক্ত নয়। কেননা এক্ষেত্রে তার কাছে কিছু টাকা আছে, অন্য কিছু না থাকলেও অন্ততপক্ষে মূলধন তো অবশিষ্ট রয়েছে। ব্যাংক যদি টাকা না দিয়ে আপনাদেরকে বাকীতে পণ্য দিয়ে দেয়,যার মূল্য বাজার মূল্য থেকে বেশী থাকে, এবং ব্যাংক আপনাদের কিস্তিতে ঐ মূল্য বাবৎ টাকা প্রদানের সুযোগ দিয়ে দেয়,তাহলে এটা জায়েয হবে। যেমন আরব বিশ্বের কিছু ব্যাংকে এমনটা রয়েছে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (1 point)
শুধু আরব বিশ্বে কেন  আমাদের দেশেও ইসলামী ব্যাংকে ইসলামী শরীয়াহ্ র বিভিন্ন বিনিয়োগ পদ্ধতিতে বিনিয়োগ করা হয়।
by (597,330 points)
জ্বী, বৈধ বিনিয়োগের মাধ্যমে হলে,ব্যাংক থেকে টাকা নেয়া জায়েয হবে।
by
আমি একটি ব্যাসাহী ঋন নিতে চাই
by (597,330 points)
যদি ব্যাংক লাভ লেকশানে শরীক থাকে,তাহলে তাদের কাছ থেকে আপনি টাকা নিয়ে মুদারাবা ব্যবসা করতে পারবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...