বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নিজ ইজ্জত আব্রুর হেফাজত করা ফরযে আইন। ফরযে আইন পালনে কোনো ব্যঘাত সৃষ্টি হলে কোনো বিষয়ের সাথে আপোষ করা যাবে না।
ইবনে মালাক হানাফি রাহ বলেন,
قَالَ ابْنُ الْمَلَكِ فِيهِ دَلِيلٌ عَلَى عَدَمِ لُزُومِ الْحَجِّ عَلَيْهَا إِذْ لَمْ يَكُنْ مَعَهَا مَحْرَمٌ، وَبِهَذَا قَالَ أَبُو حَنِيفَةَ وَأَحْمَدُ، وَقَالَ مَالِكٌ - رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى يَلْزَمُهَا إِذَا كَانَ مَعَهَا جَمَاعَةُ النِّسَاءِ، وَقَالَ الشَّافِعِيُّ - رَحِمَهُ اللَّهُ - يَلْزَمُهَا إِذَا كَانَ مَعَهَا امْرَأَةٌ ثِقَةٌ اهـ.
কোনো মহিলার মাহরাম পাওয়া না গেলে তার উপর হজ ফরয হবে না।এটাই ইমাম আবু-হানিফা রাহ এবং ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ এর মাযহাব।ইমাম মালিক রাহ. মনে করেন,মহিলাদের কোনো জামাত পাওয়া গেলে ঐ মহিলার উপর হজ করা ফরয হয়ে যাবে।ইমাম শা'ফেয়ী রাহ. মনে করেন,পরহেযগার মহিলা(মাহরাম সম্ভলিত পরহেযগার মহিলা) পাওয়া গেলে ঐ মহিলার উপর হজ ফরয হয়ে যাবে।
وَقَالَ الشُّمُنِّيُّ مَذْهَبُ مَالِكٍ إِذَا وَجَدَتِ الْمَرْأَةُ صُحْبَةً مَأْمُونَةً لَزِمَهَا الْحَجُّ لِأَنَّهُ سَفَرٌ مَفْرُوضٌ كَالْهِجْرَةِ، وَمَذْهَبُ الشَّافِعِيِّ إِذَا وَجَدَتْ نِسْوَةً ثِقَاتٍ فَعَلَيْهَا أَنْ تَحُجَّ مَعَهُنَّ،
মুহাক্কিক্ব শুমুনি রাহ বলেন,মালিকি মাযহাব হল,যখন মহিলা কোনো নিরাপদ সফরসঙ্গি(মহিলাদের জামাত)পেয়ে যাবে তখন তার উপর হজ ফরয।কেননা হিজরতের মত হজ হল ফরয।এবং শা'ফেয়ী মাযহাব হল,যখন মহিলা কোনো পরহেযগার দ্বীনদার মহিলাদের সঙ্গ পাবে তখন তার উপর হজ ফরয।
(মিরকাতুল মাফাতিহ-২৫১৩ নং হাদিসের ব্যখ্যা দ্রষ্টব্য)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বান্ধবী এবং তার মাহরামের (বাবা) সাথে ভ্রমণ করা কখনো জায়েজ হবে না।