আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
1,148 views
in পবিত্রতা (Purity) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।
১. অনেকের একটা শারীরিক ব্যাপার হচ্ছে বগলের নিচে বেশি ঘাম হয়। সবসময় ঘর্মাক্ত অবস্থায় থাকে। এটা কোনো পরিশ্রমের কাজ করার জন্য না। এমনিতে বসে থাকলে, স্বাভাবিক ঘরের মধ্যে চলাফেরা কাজ করলেই এমন থাকে সবসময়। এক্ষেত্রে তাকে কি পোশাক বদলে সালাত আদায় করতে হবে। যেহেতু ঐ স্থানে পোশাকও ভিজে যায়?
২." আলহামদু লিল্লাহি আলা কুল্লি নিমাতিহী, আলহামদু লিল্লাহি আলা কুল্লি আলাইহি, আলহামদু লিল্লাহি কাবলা কুল্লি হালিন, ওয়া সাল্লাল্লাহু আলা খাইরি খালকিহি মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলিহি ওয়া আসহাবিহী আজমাঈন, বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন। "

উপরের দুআটা এক জায়গায় পেয়েছি যে এটা পড়লে এক হাজার বছরের কাযা নামাজ মাফ হয়। জানতে চাই এটা আসলে কিসের দুআ?
৩. অনুমোদিত নয় এমন পিডিএফ ডাউনলোড করা গুনাহ এই ব্যাপারটা না জেনে কেউ যদি কিছু বই ডাউনলোড করে ফেলে। আর জানে না যে কোনটা অনুমোদিত কোনটা সংরক্ষিত। এখন সে যদি মনে মনে নিয়ত করে যে ইন শা আল্লাহ বইগুলো তার সামর্থ্য হলে সে কিনবে। তবে এখন আপাতত পিডিএফই পড়বে। এরপর সামর্থ্য হলে সে যদি সবগুলো বই কিনতে না পারে, কিছু কিনতে পারে। তাহলে তার কি গুনাহ হবে?

1 Answer

+1 vote
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মানুষের ঘাম নাপাক নয়।(আল বাহরুর রায়েক ১/৩৪৮; মাবসূতে সারাখসী ১/১৩৮)

সুতরাং ঘামযুক্ত কাপড় বা শরীর দ্বারা আপনি নামায পড়তে পারবেন।তবে যদি কাপড়ে ঘাম লাগতে লাগতে কাপড় দুর্গন্ধময় হয়ে যায়,তাহলে সেই কাপড় দ্বারা নামায পড়া মকরুহ হবে।

(২)
এক হাজার বৎসরের নামায মাফের যে দ'আর কথা আপনি বলছেন,এমন কোনো দু'আ কুরআন-হাদীসের কোথাও বর্ণিত হয়নি।

(৩)
আবিস্কার লেখা ও প্রকাশনা সত্ত্বকে কি ইসলামী শরীয়ত সত্ত্ব হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে?

এই মৌলিক প্রশ্নের উত্তর হল এই যে,
যে ব্যক্তি সর্বপ্রথম কোনো জিনিষ আবিস্কার করেছে,তার আবিস্কৃত জিনিষ অস্তিত্বমান বস্তু হোক বা অস্তিত্বহীন, নিঃসন্দেহে সেইব্যক্তি অন্যের তুলনায় তা থেকে উপকৃত হওয়ার, প্রস্তুত করার এবং মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে বাজারজাত করার বেশী অধিকারী।কেননা, আবু দাউদ শরীফে হযরত আসমুর ইবনে মুদরাস (রা.) থেকে একটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, 'আমি নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে হাজির হয়ে তার হাতে বাইআত গ্রহণ করি।এ সময় নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,' যে ব্যক্তি ওই বস্তুর দিতে অগ্রসর হল, যে বস্তুর দিকে কোনো মুসলমান অগ্রসর হয় নাই,তাহলে ওই বস্তু ওই ব্যক্তির।(যে ওই দিকে প্রথম অগ্রসর হয়েছে।)আবু-দাউদ:৪/২৬৪ হাদীস নং২৯৪৭)

আল্লামা মুনাবী রাহ[আব্দুর রউফ আল মুনাবী, মৃত্যু:১০৩১হি,] যদিও এই হাদীসটিকে পতিত ও অনাবাদী জমিন ব্যবহারযোগ্য করে গড়ে তোলার অর্থে প্রয়োগের বিষয়কে প্রধান্য দিয়েছেন, তথাপি তিনি কোনো কেনো উলামায়ে কেরাম থেকে এ বর্ণনাও উদ্ধৃত করেছেন যে,এই হাদীসটির মর্মে যাবতীয় ঝরণা, কূপ এবং খণিজসম্পদ অন্তর্ভুক্ত। আর যে ব্যক্তি এসবের কোনো একটিতে প্রথম অগ্রসর হবে,ওই জিনিসটির সত্ত্বাধিকারী ওই ব্যক্তিই সাব্যস্ত হবে।এ বিষয়ে কোনো সংশয় নেই যে,যে কোনো বাক্যে শব্দের ব্যাপকতাই গ্রহণযোগ্য হয়ে থাকে,তা কোনো নির্দিষ্ট কারণের প্রেক্ষিতে বলা হলেও সেই কারণের মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ হয় না।(ফায়জুল কাদীর:৬/১৩৮)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উপরের আলোচনা থেকে বুঝতে পারলাম যে,কোনো কিতাব নতুন হেক বা পুরাতন হোক,সংরক্ষিত প্রকাশনায় প্রকাশকের অনুমতি ব্যতীত ঐ প্রকাশনার কোনো কপি করা যাবে না।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1197

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

স্বত্ব সংরক্ষিত কোনো কিতাবের পিডিএফ যদি কেউ ডাউনলোড করে ফেলে,এখন যদি সে মনে মনে নিয়ত করে যে ইনশা'আল্লাহ বইগুলো তার সামর্থ্য হলে,সে কিনবে।তবে এখন আপাতত পিডিএফই পড়বে।কিন্তু এরপর সামর্থ্য হওয়ার পরও যদি সে সবগুলো বই কিনতে না পারে,বরং কিছু কিনতে পারে। তাহলে যে সমস্ত বই কিনতে পারেনি,সেই সমস্ত কিতাবের হক্ব নষ্ট করার গোনাহ  হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...