আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
176 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
১) কাফের বোনদেরকে দাওয়াত দেওয়ার জন্য মুসলিম মেয়েদের কি পর্দা করতে হবে? যদি কাফের বোন ৬০ বছর উর্ধ্বে হন?

৬০ বছর না হলেও কিরকম পর্দা করতে হয়?
২) আজকাল বেপর্দা কোন মহিলার উপরই এই ভরসা রাখা যায় না যে সে গাইরে মহরম পুরুষের কাছে আমার সৌন্দর্যের বর্ণনা দিবেনা আমার মা আপন বোন চাচী খালা কারো ওপরেই ভরসা রাখা যায় না। এমতঅবস্থায় আমি কি করতে পারি? কিরকম ভাবে তাদের সামনে গেলে উত্তম হবে?

৩) সহি বুখারী হাদিস নং ৫০৯০ এখানে বলা হয়েছে নারীদেরকে চারটি বিষয় দেখে বিয়ে করা হয়। তার সম্পদ, বংশ মর্যাদা, রূপ সৌন্দর্য ও দ্বীনদারী। অনেক আগে থেকেই অনেক ইউটিউবে আলেম বক্তাদের মুখে শুনে এসেছি রাসূল (সঃ) নাকি এই চারটি বিষয় দেখেই বিয়ে করতে বলেছেন, তবে এখন কিছু জায়গায় এই ব্যাখ্যা করা হয় যে এটি সম্পূর্ণ ভুল এখানে বরং এই চারটি গুণ দেখে সাধারণত বিয়ে করা হয় এবং তোমরা দ্বীনদারিকেই প্রাধান্য দাও এই ব্যাপারটি বুঝানো হয়েছে, অর্থাৎ বংশ মর্যাদা সম্পদ সৌন্দর্য এগুলোকে প্রাধান্য দিতে নিষেধ করা হয়েছে।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে এই হাদিসের সঠিক ব্যাখা কি হবে ওস্তাদ?
৪) কোন আমল বা মাসায়েল নয় এমনি স্বাভাবিক হাদিস ধরা যাক কোন ভবিষ্যৎ বাণী অথবা চারিত্রিক আত্মশুদ্ধি, আখলাক এসব ব্যাপারে যেকোনো হাদিস দেখলে কিভাবে বুঝব সেটি হানাফী ফিকহে জায়েজ কিনা? অথবা হাদিসটি সহিহ কিনা কিভাবে বুঝবো?

৬) ওস্তাদ মেয়েরা গর্ভবতী হলে যে স্বামীরা তাকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয় এবং একপ্রকার বাবার বাড়িকে সকল দায়ভার গ্রহণ করতে হয় ওষুধ কিনে আনা ডাক্তার দেখানো ইত্যাদি সকল কাজ এই প্রথাটি কতটা যুক্তিসঙ্গত?

৫) ওস্তাদ কয়েক বছর আগে আমার আম্মুর এক সময় প্রতিবেশী ছিলেন, কাকি বলে ডাকতেন আম্মু, সে সম্পর্কে আমার নানু হন তো তাদের বাসায় আমাদের বিয়ের দাওয়াত ছিল। সেখানে একটি রুমের ভেতর একটি ব্যাগে কিছু ক্লিপ রাখা ছিল আমি সেখান থেকে কিছু ক্লিপ চুরি করেছি । এখন তার অনুশোচনায় কিছুদিন আগে আমি সেই নানুকে ফোন দিয়ে মাফ চেয়েছি তিনি আমাকে অত্যন্ত আদর করে মাফ করে দিয়েছেন । চুরি করার সময় আমি জানতাম না ব্যাগটি কার ফোনে নানুর কাছে জানতে পারি ওই রুমটা ছিল ওই বাড়ির মেয়েদের। এখন ওই বিয়ের দিন বাসায় তো অনেক মেহমান ছিল., ব্যাগটা যে কার আমি তখনও জানতাম না এখনো জানিনা। নানু আমাকে বলেছেন আর কারো কাছে মাফ চাইতে হবে না। এখন আমি বুঝতে পারছি না কি করব,! যেহেতু জিনিসটা নানুর ছিল না এবং কার তাও জানিনা। তারপরও আমি অনুমান করেছি যে সেই বাড়িতে নানুর আপন একটা মেয়ে, ওই মেয়ের খালাতো বোন এবং আপন ভাবি ওনাদের যাতায়াত বেশি(জানিনা আসলে যেহেতু তাদের সাথে আমাদের কথাবার্তা একেবারেই নেই বললেই চলে)। নানুর মেয়ের সাথে আমার হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয়েছিলো এক বার, আমি তাকে তার বিয়ের ভিডিও থেকে যেনো আমাকে কেটে দেন এমন মেসেজ দিয়েছিলাম তারপর থেকে উনি আমার মেসেজের আর কোন উত্তর দেন না। আমি অনেক মেসেজ দিয়েছি তারপরও। যাহোক শেষমেষ তাকেই এই সকল ঘটনা খুলে বলে মাফ চেয়েছি এবং তার খালাতো বোন এবং ভাবির কাছে যেন মেসেজটি ফরওয়ার্ড করে দেন এ কথা বলেছি, আমি টাকাও দিব একথাও বলেছি কিন্তু উনি যথারীতি আমার মেসেজের কোন উত্তর দেননি। ওই ভাবিকে তো আমার পরিবারের সহ কেউ চিনেই না। এবং এই খালাতো বোনের নামও আমার পরিবারের কেউ মনে করতে পারছে না(আরো কয়েকজন আছেন তাদের কে এখনও জিজ্ঞাস করিনি) যে তার ফেসবুক আইডি খুঁজে বের করে তার কাছে মাফ চাব.. এখন তার খোঁজ লাগানোর জন্য আবার নানুকে ফোন দিতে হবে, যা নিজের কাছেই জানি কেমন ঘোলাটে লাগছে আবার তিনি কি মনে করেন না মনে করেন তাও ভাবছি। যদি সে খালাতো বোনকে পেয়েও যাই জিনিসটা আদৌও তার ছিল কিনা এটা তার মনে থাকবে কি না অথবা জানা যাবে কিনা অর্থাৎ মালিকের কাছে পৌঁছাতে পারবো কিনা জানিনা।

তাই এখন আমার কি করা উচিৎ উস্তাদ?

আমি কিভাবে এই দায় থেকে বাঁচতে পারি?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ- 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


(০১)
https://ifatwa.info/61356/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
অমুসলিম মেয়েদের সামনে মুসলিম নারীদের পর্দা করতে হবে কিনা,সেই ব্যপারে উলামায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ পাওয়া যায়।
কেহ কেহ বলেছেন যে যদিও তাদের সামনে মুসলিম নারীদের পর্দা করা ফরজ নয়,তবে কম আয কম মুসতাহাব অবশ্যই।
তাই তাদের সামনে পর্দা করাই উচিত।  
কিতাবুন নাওয়াজেল ৬/৩৫
      
কেহ কেহ বলেছেন যে প্রত্যেক গাইরে মাহরাম পুরুষের প্রত্যেক গাইরে মাহরাম স্ত্রীলোকের সামনে যে পরিমাণ পর্দা করা ফরজ, কাফির-ফাসিক মেয়েলোক হতেও মুমিন মেয়েদের সে পরিমাণ পর্দা করা ওয়াজিব।

সুতরাং হিন্দু বা খৃষ্টান মেয়েলোক বা যেকোনো বেদ্বীন বা বেপর্দা মেয়ে হতেও পর্দানশীন নারীর পর্দা করা ওয়াজিব। তাদের সামনে কেবলমাত্র মুখমণ্ডল, হাতের পাতা ও পায়ের পাতা ব্যতীত শরীরের কোনো অংশ খোলা রাখা জায়েজ নয়।

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَىٰ عَوْرَاتِ النِّسَاءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٢٤:٣١] 

ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক তথা নিজেদের (মুসলিম) মহিলাগন, অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। {সূরা নূর-৩১}

لا یحل للمسلمۃ أن تنکشف بین یدي یہودیۃ أو نصرانیۃ أو مشرکۃ إلا أن تکون أمۃ لہا۔ (شامي ۹؍۵۳۴ زکریا)
কোনো মুসলিমা মহিলার জন্য অমুসলিম মহিলার সামনে বেপর্দা হওয়া জায়েয নেই।
  
وقال ابن حجرؒ: الأصح تحریم نظرہا إلی ما لا یبدو في المہنۃ من مسلمۃ غیر سیدتہا ومحرمہا ودخول الذمیات علی أمہات المؤمنین الوارد في الأحادیث الصحیحۃ دلیل لحل نظرہا منہا ما یبدو في المہنۃ، وقال الإمام الرازي: المذہب أنہا کالمسلمۃ والمراد بنسائہن جمیع النساء وقول السلف محمول علی الاستحباب وہٰذا القول أرفق بالناس الیوم فإنہ لا یکاد یمکن احتجاب المسلمات عن الذمیات۔ (روح المعاني ۱۸؍۲۱۱ أشرفیۃ، معارف القرآن ۶؍۴۰۴)
যথা সম্ভব এটাকে আমরা মুসতাহাব বলতে পারি।
তাই তাদের সামনে পর্দা করাই জরুরি।   

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কাফের বোনদেরকে দাওয়াত দেওয়ার জন্য মুসলিম মেয়েদের পর্দা করাই উচিত ।

(উল্লেখ্য এক্ষেত্রে যেহেতু উলামায়ে কেরামদের মতবিরোধ রয়েছে, তাই এক্ষেত্রে পর্দা করাকে ফরজ বলার সুযোগ নেই। জরুরি বলা যায়। বিশেষ প্রয়োজনে তাদের সামনে চেহারা খুললে আশা করি গুনাহ হবেনা।)

তবে প্রশ্নের বিবরন মতে যদি কাফের বোন ৬০ বছর উর্ধ্বে হন,সেক্ষেত্রে তার সামনে পর্দা না করলে গুনাহ হবেনা।

(০২)
শালিন ও ঢিলেঢালা পোশাক পড়ে যাওয়া উত্তম হবে।

(০৩)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ: لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَات الدّين تربت يداك 

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত।)

(সহীহ : বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)

ব্যাখ্যা: এ হাদীসের বিশুদ্ধ অর্থ হলো, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিবাহের ক্ষেত্রে লোকজন যা করত তাই উল্লেখ করেছেন। লোকজন উল্লেখিত চারটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিত। আর এ সবগুলোর পর ছিল দীনদারিত্বের বিষয়, আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ হে সঠিক পথের সন্ধানী! তুমি দীন-দারিত্বকেই প্রাধান্য দাও। তবে এটি এ মর্মে নির্দেশ নয়।

‘আল্লামা কুরতুবী (রহঃ) বলেনঃ আলোচ্য হাদীসের অর্থে চারটি বৈশিষ্ট্য যা নারীর বিবাহের প্রতি আগ্রহ যোগায়, তা নির্দেশ বা ওয়াজিব নয়। বরং এ বৈশিষ্ট্যগুলো দেখা বৈধ, তবে দীন-দারিত্ব দেখাটা অধিক অগ্রগণ্য। তিনি আরো বলেন যে, এ হাদীস থেকে এটা মনে করা যাবে না যে, নারী পুরুষের কুফু বা সমতা এ চারটির মধ্যে সীমাবদ্ধ। (ফাতহুল বারী ৯ম খন্ড, হাঃ ৫০৯০)

(০৪)
প্রশ্নের বিবরন মতে যেহেতু স্বামীরা নিজেই স্ত্রীকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছে,তাই এক্ষেত্রে স্ত্রীর ভরনপোষণ দেয়ার স্বামীর উপর কর্তব্য।

হ্যাঁ যদি স্ত্রীর পরিবার তাহা নিতে অসম্মতি জানায়,তাহলে তাহা ভিন্ন কথা।

★এক্ষেত্রে স্ত্রীর চিকিৎসার খরচের মাসয়ালাঃ-

শরীয়তের বিধান মতে স্বামীর উপর স্ত্রীর ভরণপোষণ এবং বাসস্থান ওয়াজিব।চিকিৎসা খরচ ভরণপোষণ বা বাসস্থানের অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বামীর নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। যেভাবে স্বামীর উপর স্ত্রীর চিকিৎসা খরচ ওয়াজিব নয় ঠিক সেভাবে স্ত্রীর উপর স্বামীর রান্নাবান্নারও দায়িত্ব নেই।অন্যদিকে স্ত্রীকে রান্না করা খাবার পাঠিয়ে দেওয়া স্বামীর দায়িত্ব ও কর্তব্য।

সুতরাং যেহেতু আমাদের সমাজের স্ত্রীরা স্বামীকে বা স্বামীর বাড়ীর লোকজনকে রান্না করে খাওয়ান, তাই স্বামীরাও তাদের স্ত্রীদের চিকিৎসা খরচ বহন করবেন।

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্ত্রীর ওষুধ কিনে আনা ডাক্তার দেখানো,ইত্যাদি স্বামীর অনুমতিতে হলে স্বামীই এর খরচ বহন করবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

উল্লেখ্য, সমাজে যে প্রথাটি চালুর কথা প্রশ্নে উল্লেখ আছে,এটি যদি স্ত্রীর পরিবার সন্তুষ্টি চিত্তে মেনে নেয়,তারাই যদি আগ বাড়িয়ে তাদের বাসায় মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে,নিজ থেকেই সন্তুষ্টি চিত্তে সমস্ত খরচ বহনের কথা বলে,স্বামী টাকা দিলেও তাহা না নেয়,তাহলে সমস্যা নেই।

কিন্তু তারা বিষয়টি নিজ থেকে সন্তুষ্টি মেনে না নেয়,স্বামী যদি যাবতীয় খরচ দেয়ার কথা না বলে,বা তাদের উপর বিষয়টি জুলুম মনে হয়, তাহলে এটি কোনো ভাবেই শরীয়ত অনুমোদিত হবেনা।

(০৫)
আপনি যে কিছু ক্লিপ চুরি করেছিলেন,সেই ক্লিপ গুলো অথনা সমপরিমাণ টাকা আপনি ক্লিপের মালিকের ছওয়াবের নিয়তে গরিব মিসকিনকে দান করে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...