ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)আপনার স্বামীর জন্য দোকানে বসে সিগারেট বিক্রি করা নাজায়েয হচ্ছে না, হ্যা ধুমপান করা মাকরুহ।
ককেননা সিগারেট বানানো বা সেল করা মূলত কোনো হারাম কাজ নয় বরং তা বৈধ কাজই।যদিও ধুমপান করা মাকরুহ।
ফাতাওয়া শামীতে বর্ণিত আছে,
ﻭﻟﻮ ﺁﺟﺮ ﻧﻔﺴﻪ ﻟﻴﻌﻤﻞ ﻓﻲ ﺍﻟﻜﻨﻴﺴﺔ ﻭﻳﻌﻤﺮﻫﺎ ﻻ ﺑﺄﺱ ﺑﻪ ﻷﻧﻪ ﻻ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﻓﻲ ﻋﻴﻦ ﺍﻟﻌﻤﻞ
যদি কেউ কোনো গির্জায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করে,অথবা টাকার বিনিময়ে গির্জা নির্মাণ করে দেয়, তাহলে এতে তার কোনো গুনাহ হবে না। কেননা এখানে মূল কাজে কোনো গুনাহ নাই।
(ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺪﺭ ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ٦\٣٩٢ » ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺤﻈﺮ ﻭﺍﻹﺑﺎﺣﺔ » ﻓﺼﻞ ﻓﻲ ﺍﻟﺒﻴﻊ)
(রদ্দুল মুহতার,৬/৩৯২)
وصح بيع غير الخمر و مفاده صحة بيع الحشيشة الخ
মদ ব্যতীত অন্যান্য নেশদ্রব্য বিক্রি করা বৈধ,সারমর্ম হলঃহাশীশ(একপ্রকার তামাক দ্রব্য) বিক্রিও বৈধ।(রদ্দুল মুহতার,৬/৪৫৪)
ফাতাওয়ায়ে উসমানী, ৩/৮৯,তে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
তানক্বিহু ফাতাওয়াল হামিদিয়্যাহ,৬/৩৬৬।
মাজ্বমুআতুল ফাতাওয়া,২/২৭।
ফাতাওয়া রশিদিয়্যাহ, ৪৮৮।
ক্বিফায়াতুল মুফতী, ৯/১৪৮।
(২)
আপনি পানির মাসিক বিল দিলেও প্রয়োজন অতিরিক্ত পানি ব্যবহার করতে পারবেন না।প্রয়োজন অতিরিক্ত পানি ব্যবহার করা আপনার জন্য জায়েয হবে না।কেননা সম্পদের অপচয় তো হারাম।আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«وَلَا تُبَذِّرْ تَبْذِيْرًا، إِنَّ الْـمُبَذِّرِيْنَ كَانُوْا إِخْوَانَ الشَّيَاطِيْنِ، وَكَانَ الشَّيْطَانُ لِرَبِّهِ كَفُوْرًا»
‘‘কিছুতেই সম্পদের অপব্যয় করো না। কারণ, অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই। আর শয়তান হচ্ছে তার প্রভুর অত্যন্ত অকৃতজ্ঞ’’।(ইস্রা/বানী ইস্রাঈল : ২৬-২৭)
আল্লাহ্ তা‘আলা আরো বলেন:
«وَلَا تُسْرِفُوْا، إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْـمُسْرِفِيْنَ»
‘‘তবে তোমরা (পোশাক-পরিচ্ছদ ও পানাহারে) অপচয় ও অপব্যয় করো না। কারণ, আল্লাহ্ তা‘আলা অপচয়কারীদেরকে কখনো পছন্দ করেন না’’।(আ’রাফ : ৩১)
(৩) গোসলের সময় প্রথমে অজু করলাম না কিন্তু অযুর যেই অঙ্গ আছে সেসব গোসলের মধ্যেই ধোয়া হয়েছে। এই অবস্থায় অজু ভাঙ্গার কারণ একটাও না হলে গোসলের পর সালাত আদায় করতে পারবেন।কেননা গোসলের দ্বারা পবিত্রতা অর্জন হয়ে যায়।
(৪)
ফরয গোসলের সময় প্রথমে অজু করা মুস্তাহাব, বাধ্যতামূলক নয়। অজু না করে গোসল কমপ্লিট করলে এবং গোসলের সমস্ত ফরয আদায় হয়েছে বলে নিশ্চিত হলে, গোসল শেষে সালাত আদায় করা যাবে।
(৫) ৪ রাকাত ফরজ/সুন্নত সালাতে ২য় রাকাতের বৈঠক এর পর ৩য় রাকাতে ভুলে যদি তাশাহুদের শুধু মাত্র ১ লাইন পড়ে ফেলা হয়, এর পর ৪র্থ রাকাত শেষে সাহু সেজদা দিতে হবে।
(৬)
বেতর সালাতে ভুলে দুয়ায়ে কুনুত না পড়লে এবং বৈঠক এ গিয়ে মনে পড়লে সাহু সেজদা দিতে হবে।
আর যদি সালাতের মধ্যে আর মনেই না পরে যে দুয়ায়ো কুনুত পড়া হয়নি এবং সালাত শেষ করা হয়, তাহলে ওয়াক্তের ভিতর স্বরণ হলে নামাযকে দোহড়াতে হবে। নতুবা ঐ নামাযকে আর দোহড়াতে হবে না।শুধুমাত্র ইস্তেগফারই যথেষ্ট হবে।