আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
153 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম
১. বিয়ের পরে আমাকে হাত খরচের জন্য কোন টাকা দেয় নাই।
২. কোন আত্মীয় সজনরা আমাকে কাপড় চোপড় কোন কিছু দেন না।
৩. প্রতি ঈদে আমাকে ৩ টা পান্জাবি দেয় না
৪. আমার হাত খরচ দেয় নাই যেহেতু বেকার।।বিয়ের আগে আমার জামাই বলেছি হাত খরচ লাগবে।।বউ শশুড় বাপের বাড়িতে থাকবে চাকরি না হওয়া পর্যন্ত চালাতে কিন্তু ৭-৮ মাস হয়েছে আর নিজের বাড়িতে নিয়ে আসছে উনার বড় ভাইয়ের বউ এর বাচ্চা হবে তাই।
৫. মামা শ্বশুর রা আলাদা দাওয়াত দিয়ে স্পেশাল ভাবে খাওয়ায় না আবার জামা কাপড় ও দেয় নাই
আমার বাবা মাকে আলাদা ইজ্জত দিছে
৬. চাকরি হয় না এজন্য আলাদা কোন টাকা দেয় নাই পড়াশোনা করার জন্য
৭.
খালা শ্বাশুড়ি রা কেউ খোঁজ খবর নেয় নাই, বেকার এজন্য নিয়ে জেরা দাওয়াত ও দেয় নাই আলাদা কাপড় চোপড় দেয় নাই
৮. শ্বশুর অনেক কোন দ্বায়িত্ব পালন করেন নাই যে জামাই র কিছু লাগবে কিনা সব সময় খোঁজ খবর নেয় নাই
৯. শ্বাশুড়ির কথায় ব্যবহার ও খারাপ ছিল।।

এই সব অভিযোগ আমার স্বামীর।।।।এটা নিয়ে আমাকে কথা শুনায়।।ওস্তাদ  ইসলাম কি এসব করার দায়িত্ব দিয়েছে মেয়ে মা বাবার।।।আমাদের অবস্থা আহামরি ভালো না।।।আবার এত খারাপও না।।চাইলে কোন ভাবে না কোন ভাবে দিতে পারতো তপবে চাপ হইত আমার ফ্যামিলির জন্য।।

আমার স্বামী বেকার ছিল তারপরও উনি উনার ফ্যামিলি তে মাসে টাকা দিত।।।তাতে আমার কোন সমস্যা নাই।।কিন্তু আমাকে চাপ দিত বা এখনো বলে উনাকে আমার ফ্যামিলি কেন বেকার থাকা অবস্থায় টাকা দিলো না।।।ওস্তাদ এটা কি আসলেই ইসলাম বলে???
আবার উনি ঢাকা ভার্সিটির  স্টুডেন্ট তাই উনাকে অনেক সম্মান করতে হবে,,একজন রিক্সাসা ওয়ালা আর উনার সম্মান এক না।।।উনাকে উনার মত সম্মান করত।।বলে একজন ইমান সাহেব আর মুয়াজ্জিন এর সম্মান কি এক?? ইসলাম আমার স্বামীর এই ধারনা সম্পর্কে কি বলে??

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সম্পদ তার সন্তুষ্টি ব্যাতিত ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা। 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾ 
হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
পাত্রকে বিয়ের পর হাত খরচের টাকা দেয়া,কাপড়চোপড় দেয়া,প্রতি ঈদে পাঞ্জাবি দেয়া,এগুলো সমাজের প্রথা,শরীয়তে এরকম কিছুর গ্রহনযোগ্যতা নেই।
এগুলো মেয়ের বাবার উপর এক প্রকার জুলুম,যাহা শরীয়তে জায়েজ নেই।

মেয়ের বাবা সমাজের নিয়ম না মেনে এমনিতে নিজে সন্তুষ্টি চিত্তে পাঠালে এটি জায়েজ হবে,নতুবা জায়েজ হবেনা,সেক্ষেত্রে জুলুমের গুনাহ হবে।

মেয়ের বাবার সমাজের চাপে বা ছেলের বাড়ির কাহারো চাপে পাঠালে এটি জুলুম হবে,সেক্ষেত্রে যারা চাপ প্রয়োগ করেছে,তাদের জুলুমের গুনাহ হবে।
আখেরাতে এর দরুন তাদের শাস্তি ভোগ করতে হবে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত যাবতীয় বিষয়াবলী+আপনার ফ্যামিলি যে বেকার অবস্থায় তাকে টাকা দেয়নি+ভার্সিটির স্টুডেন্ট হওয়ার দরুন অনেক বেশি সম্মান তাকে দেয়া হয়নি।

এ সবের কোনোটিই আপনার আপনাত পরিবারের উপর আবশ্যক করে দেয়নি।
এগুলো বলে আপনাকে কথা শোনানো জুলুম।

আপনার স্বামীর ধারনা ও কথা গুলি ইসলাম সমর্থিত নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...