আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
237 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত মুফতি সাহেব,
আপনার কাছে কিছু মাসালা চাই -
(১) আমি অনেক দিন যাবত এক ধরনের সমস্যায় ভুগছি। সারাদিন মাথায় আজে বাজে চিন্তা ঘুরপাক খায়। যতই চেস্টা করি একই চিন্তা বারবার আসে। গতকাল নামাজের মধ্যে সেজদার সময় যতদূর মনে পরে -  যখন সুবহানা রব্বিয়াল আলা পাঠ করে তখন হটাত করে  মনে হয় যে যার চিন্তা হয় তাকে সেজদা করা হয় এই ধরনের কথা। পরের সেজদায় তাসবি পাঠের সময় ইচ্ছা করেই একজন মানুষের কথা মনে করলাম। এরপর পুরু নামাজের মধ্য আতঙ্ক কাজ করছে। এতে কি ইমানের কোন সমস্যা হবে?
(২) যদি কোন স্ত্রী সামিকে বলে আমাদের জেলায় অনেক জুতার দোকান আছে যেমন হিসি , বাটা, টপ টেন, লিবারটি । তখন সামি বলে লিবারটি  নে। স্ত্রী বলে হে। সামির লিবারটি  এর অর্থ জানা ছিল কিন্তু তৎক্ষণাৎ মনে ছিল না। এখন সামি  এটি অর্থাৎ লিবারটি  উচ্চারণ করায় কি কোন তামা* ( একটু বুঝার চেস্টা করুন .) কিছু হবে?
(৩) মাঝে মাঝে ঘুম থেকে জাগা মাত্রই যখন ও সেন্স স্বাভাবিক হয় নি তখন মনে হয় মুখ দিয়ে কোন তামা* ( একটু বুঝার চেস্টা করুন ।) জাতীয় বাক্য উচ্চারণ হয় কিন্তু তা মনে রাখতে পারি না আসলেই কি উচ্চারিত হয়েছে কি না ? এতে কি কোনও সমস্যা হবে ?
(৪) অনেক দিন আগের কথা রমজানের সময় আমার বিবির দুই নাম্বার সিজার অপারেশন এর ঘটনা। আপারেসন এর তারিখ হয় এবং সময় দেয় বিকাল চার ঘটিকার সময়। এবং বলে দুপুর বারটার পরে আর কিছু না খেতে। আমার বিবি সেহেরি খায় রোজার নিয়তে  কিন্তু দুপুর বারটার কিছু আগে সম্ভবত ( অনেক দিন আগের কথা ভাল করে মনে নেই ) খাবার খায় কারণ সিজারের দুই তিন দিন সম্ভবত আর কিছু খাওয়া যাবে না। আসরের পর মাগরিবের আগে সিজার অপারেশন হয়। আর এই রোজার কাজা করেছে। এখন কি এর জন্য কোনও কাফফারা লাগবে নাকি ১ টি কাজা রোজাই হবে?
ধন্যবাদ ।

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 

(০১)
এতে ঈমানের সমস্যা হবেনা। 
তবে ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কিছু ভাবা যাবেনা।

(০২)
স্বামীর এভাবে এটি অর্থাৎ লিবারটি  উচ্চারণ করায় কোন তালাক হবেনা।

(০৩)
এতে কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৪)
https://ifatwa.info/73046/  নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
সুরা বাকারার ১৮৫ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

مَنۡ کَانَ مَرِیۡضًا اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ فَعِدَّۃٌ مِّنۡ اَیَّامٍ اُخَرَ ؕ یُرِیۡدُ اللّٰہُ بِکُمُ الۡیُسۡرَ وَ لَا یُرِیۡدُ بِکُمُ الۡعُسۡرَ ۫ وَ لِتُکۡمِلُوا الۡعِدَّۃَ وَ لِتُکَبِّرُوا اللّٰہَ عَلٰی مَا ہَدٰىکُمۡ وَ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۱۸۵﴾

রমাদান মাস, এতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের হেদায়াতের জন্য এবং হিদায়তের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে এ মাস পাবে সে যেন এ মাসে সিয়াম পালন করে। তবে তোমাদের কেউ অসুস্থ থাকলে বা সফরে থাকলে অন্য দিনগুলোতে এ সংখ্যা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ চান এবং তোমাদের জন্য কষ্ট চান না। আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূর্ণ কর এবং তিনি তোমাদেরকে যে হিদায়াত দিয়েছেন সে জন্য তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা কর এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।

★গর্ভবতী নারী যদি নিজের স্বাস্থ্যহানি বা সন্তানের স্বাস্থ্যহানির আশংকায় রোজা না রাখে, তাহলে এক্ষেত্রে বিধান হচ্ছে- গর্ভবতী নারীর দুইটি অবস্থার কোন একটি হতে পারে:

১. শারীরিকভাবে শক্তিশালী ও কর্মোদ্যমী হওয়া, রোজা রাখতে কষ্ট না হওয়া, গর্ভস্থিত সন্তানের উপর কোন প্রভাব না পড়া- এ নারীর উপর রোজা রাখা ফরজ। যেহেতু রোজা ছেড়ে দেয়ারজন্য তার কোন ওজর নেই।

২. গর্ভবতী নারী রোজা রাখতে সক্ষম না হওয়া: গর্ভ ধারণের কাঠিন্যের কারণে অথবা তার শারীরিক দুর্বলতার কারণে অথবা অন্য যে কোন কারণে। এ অবস্থায় এ নারী রোজা রাখবে না। বিশেষতঃ যদি তার গর্ভস্থিত সন্তানের ক্ষতির আশংকা করে সেক্ষেত্রে রোজা ছেড়ে দেয়া তার উপর ফরজ। যদি সে রোজা ছেড়ে দেয় তাহলে অন্য ওজরগ্রস্ত ব্যক্তিদের যে হুকুম তার ক্ষেত্রেও একই হুকুম হবে তথা পরবর্তীতে এ রোজাগুলো কাযা পালন করা তার উপর ফরজ। 

অর্থাৎ সন্তান প্রসব ও নিফাস থেকে পবিত্র হওয়ার পর এ রোজাগুলো কাযা পালন করা তার উপর ফরজ। তবে কখনো হতে পারে গর্ভধারণের ওজর থেকে সে মুক্ত হয়েছে ঠিক; কিন্তু নতুন একটি ওজরগ্রস্ত হয়ে পড়েছে, অর্থাৎ দুগ্ধপান করানোর ওজর। দুগ্ধপানকারিনী নারী পানাহার করার মুখাপেক্ষী হয়ে পড়তে পারে; বিশেষতঃ গ্রীষ্মের দীর্ঘতর ও উত্তপ্ত দিনগুলোতে। এ দিনগুলোতে এমন নারী তার সন্তানকে বুকের দুধ পান করানোর জন্য রোজা ছেড়ে দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। এমতাবস্থায় আমরা সে নারীকে বলব: আপনি রোজা ছেড়ে দিন। এ ওজর দূর হওয়ার পর আপনি এ রোজাগুলো কাযা পালন করবেন।”
(ফাতাওয়াস সিয়াম পৃষ্ঠা-১৬২)
,
“গর্ভবতী ও দুগ্ধপানকারিনী নারীর ব্যাপারে ইমাম আহমাদ ও সুনান সংকলকগণের গ্রন্থে সহিহ সনদে আনাস বিন মালিক আল-কাবী এর বর্ণিত হাদিস নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সাব্যস্ত হয়েছে যে, তিনি এ দুই প্রকারের নারীকে রোজা ছেড়ে দেয়ার অবকাশ দিয়েছেন এবং এদেরকে মুসাফিরের পর্যায়ে গণ্য করেছেন। অতএব, জানা গেল যে, এরা মুসাফিরের মত রোজা না-রেখে পরবর্তীতে কাযা পালন করবে। আলেমগণ উল্লেখ করেছেন যে, রোগীর অনুরূপ কষ্ট না হলে অথবা সন্তানের স্বাস্থ্যহানির আশংকা না থাকলে এ দুই শ্রেণীর নারীগণ রোজা ছেড়েদিবে না। 
(মাজমুউল ফাতাওয়া ১৫/২২৪)
,
আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার স্ত্রীর উপর একটি কাজাই আবশ্যক। 
কাফফারা আদায় করতে হবেনা
,
«وَعَوَارِضُ الصَّوْمِ الَّتِي قَدْ يُغْتَفَرْ ... لِلْمَرْءِ فِيهَا الْفِطْرُ تِسْعٌ تُسْتَطَرْ

حَبَلٌ وَإِرْضَاعٌ وَإِكْرَاهُ سَفَرْ ... مَرَضٌ جِهَادٌ جُوعُهُ عَطَشٌ كِبَرْ» - «حاشية ابن عابدين = رد المحتار ط الحلبي» 2/ 421)

নয়টি কারণে রোযা না রাখার অুনমোদন রয়েছে, গর্ভ,দুগ্ধপান,জোড়জবরদস্তী,সফর,অসুস্থতা,জিহাদ,অনাহার,পিপাসা,বৃদ্ধ( রদ্দুল মুহতার-২/৪২১)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (10 points)
কেউ যদি দুঃখ করে  বলে কিসের আবার ঈদ তাহলে কি ঈমানে সমস্যা হবে?
by (574,080 points)
তাহলে ঈমানে সমস্যা হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...